তৃতীয় দফায় আমদানি হলো ১৭০০ মেট্টিক টন পেঁয়াজ
- Update Time : ০৫:২১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুন ২০২০
- / 227
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি হলো তৃতীয় দফায় ৪২টি ওয়াগনে (মালগাড়ি) এক হাজার ৭০০ মেট্টিক টন পেঁয়াজ। শনিবার সকালে দর্শনা থেকে পণ্যবাহী ট্রেনটি হিলি রেল স্টেশনে আসে। হিলি রেল স্টেশনে পণ্যবাহী মাল ট্রেনটি আসার পর দুপুর ২টার দিকে পণ্য খালাস শুরু হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের মহারাষ্ট্র ও নাসিক থেকে পেঁয়াজ বোঝাই করে ট্রেনটি হিলি রেল স্টেশনে আসতে সময় লেগেছে ১১ দিন। ভারতে লকডাউনের কারণে আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে হিলি স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের সব কার্যক্রম। এর ফলে বেকার হয়ে বসেছিলেন ব্যবসায়ীরা। বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা রেলযোগে পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রায় ১৬ থেকে ১৭ হাজার মেট্টিক টন পেঁয়াজের এলসি লাগান। সেই এলসির মাল পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে আসছে।
এদিকে গত এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রেনযোগে হিলিতে চার হাজার ৯০০ মেট্টিক টন পেয়াজ আমদানি হলো। এখনো ১০ থেকে ১২টি ট্রেন রয়েছে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায়। ওয়াগনে করে আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১২ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২১ টাকা দরে। আমদানির আগে প্রতি কেজি পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে।
এদিকে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শনিবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা থাকলেও ভারত অভ্যন্তরে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় পুরোপুরি ব্যবস্থা না থাকায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থা পুরোপুরি হলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের অনুমতি দেবে ভারতের প্রশাসন। এর ফলে আরো কয়েকদিন বন্ধ থাকতে পারে বন্দরের কার্যক্রম।