রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারডুবি: আরো ৪ মরদেহ উদ্ধার
- Update Time : ১১:১৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১
- / 196
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় চট্টগ্রাম সন্দ্বীপ এলাকা থেকে আরো ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ বাহিনী।
বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত এ নিয়ে মোট ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
এ ঘটনায় ১৫ জনকে জীবিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার এক শিশুসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্য ৭ জনের মরদেহ এর আগে উদ্ধার হয়। নিখোঁজ বাকিদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাতে আগে উদ্ধার হওয়া ৭ রোহিঙ্গার মরদেহ দাফন করেছেন স্বজনরা। ভাসানচরে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
দাফন সম্পন্ন হওয়া ৭ রোহিঙ্গা হলো- ক্লাস্টার নম্বর ৫৪, কক্ষ নম্বর জি-১৪ এর বাসিন্দা ওসমান গনির ছেলে রফিক (২৭), ক্লাস্টার নম্বর ৫৪, কক্ষ নম্বর জি-১৪ এর বাসিন্দা রফিকের মেয়ে রাজুমা (৫), ক্লাস্টার নম্বর ৫৩, কক্ষ নম্বর এল-৭ এর বাসিন্দা রশিদ আহম্মদের ছেলে আবুল বশর (৮), ক্লাস্টার নম্বর ৫৩, কক্ষ নম্বর এল-৭ এর বাসিন্দা রশিদ আহম্মদের মেয়ে নুর কলিমা (২), ক্লাস্টার নম্বর ৫৩, কক্ষ নম্বর এল-৭ এর বাসিন্দা রশিদ আহম্মদের মেয়ে তছলিমা (৬), ক্লাস্টার নম্বর ৫০, কক্ষ নম্বর সি-৭ এর বাসিন্দা আব্দুর রহমানের মেয়ে নুর আয়েশা (৩ মাস) ও ক্লাস্টার নম্বর ৫, কক্ষ নম্বর বি-৭ এর বাসিন্দা রহিম উল্যার মেয়ে নুর আইশা (২ মাস)।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নিয়মানুযায়ী প্রতিটি মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়াদের ক্লাস্টারের হেড ফোকাল ও সহকারী হেড ফোকাল এবং স্বজনদের সহায়তায় মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
জানা যায়, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে ভাসানচর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা-বোঝাই একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিখোঁজ থাকে ২৭ জন। এর মধ্যে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি নিখোঁজদের মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছে।
ভাসানচরের নৌ বাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ শংকর বিশ্বাস জানান, ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার গভীর রাতে রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশু-বোঝাই একটি ট্রলার ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। ভাসানচর থেকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা চলার পর ট্রলারটি সমুদ্রের বৈরী আবহাওয়ার মুখে পড়ে উল্টে যায়। এতে ট্রলারে থাকা পুরুষ, নারী ও শিশুরা পানিতে পড়ে গেলে কেউ কেউ সাঁতরে আশপাশের মাছ ধরার ট্রলারে আশ্রয় নেয়।