দেশে ফিরেছেন নির্বাসিত তালেবান নেতারা

  • Update Time : ০১:৩১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১
  • / 183

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তান এখন পুরোদস্তুর তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। খুব শিগগিরই মসনদে আসীন হবেন তারা। এরইমধ্যে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে নির্বাসিত নেতারা দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরেছেন তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারও। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রায় ১০ বছর নির্বাসন শেষে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দেশে ফেরেন তালেবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। কাবুলের বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে তালেবান সদস্যরা স্বাগত জানান। পরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেন, বারাদারসহ অন্য নেতারাও দেশে ফিরেছেন।

নির্বাসনে থাকা তালেবান নেতাদের অনেকেই কাতারের দোহায় অবস্থান করছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কাতারের দোহায় তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তিচুক্তিও হয় এর আগে। সেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন তালেবানের অনেক শীর্ষ নেতারা।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।

অভিযানে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের দমন করা হলেও ‘শান্তিরক্ষার স্বার্থে’ সেখানে ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করছিল পশ্চিমা সেনারা। কিছু বছর পার হওয়ার পর সেখান থেকে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্য দেশের সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করলে প্রত্যন্ত এলাকা দখল করে থাকা তালেবান কাবুলের ক্ষমতার মসনদে উঠতে জোর লড়াইয়ে নামে।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল গত রোববার পুরো দখলে নেয় তালেবান। এরপর দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি পালিয়ে যান। তালেবানের জন্য ক্ষমতা ফিরে পাওয়া আরও সহজ হয়ে যায়। প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। এখন তারা দেশরক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ শাসন ব্যবস্থা চালুর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media


দেশে ফিরেছেন নির্বাসিত তালেবান নেতারা

Update Time : ০১:৩১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তান এখন পুরোদস্তুর তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। খুব শিগগিরই মসনদে আসীন হবেন তারা। এরইমধ্যে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে নির্বাসিত নেতারা দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরেছেন তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারও। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রায় ১০ বছর নির্বাসন শেষে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দেশে ফেরেন তালেবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। কাবুলের বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে তালেবান সদস্যরা স্বাগত জানান। পরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেন, বারাদারসহ অন্য নেতারাও দেশে ফিরেছেন।

নির্বাসনে থাকা তালেবান নেতাদের অনেকেই কাতারের দোহায় অবস্থান করছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কাতারের দোহায় তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তিচুক্তিও হয় এর আগে। সেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন তালেবানের অনেক শীর্ষ নেতারা।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।

অভিযানে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের দমন করা হলেও ‘শান্তিরক্ষার স্বার্থে’ সেখানে ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করছিল পশ্চিমা সেনারা। কিছু বছর পার হওয়ার পর সেখান থেকে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্য দেশের সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করলে প্রত্যন্ত এলাকা দখল করে থাকা তালেবান কাবুলের ক্ষমতার মসনদে উঠতে জোর লড়াইয়ে নামে।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল গত রোববার পুরো দখলে নেয় তালেবান। এরপর দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি পালিয়ে যান। তালেবানের জন্য ক্ষমতা ফিরে পাওয়া আরও সহজ হয়ে যায়। প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। এখন তারা দেশরক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ শাসন ব্যবস্থা চালুর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।