দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় টাইগারদের

  • Update Time : ০৯:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
  • / 178

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক:

৯ রানের ব্যবধানে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-মাহেদী হাসানের উইকেট হারানোর পরে বেশ চাপে পরেছিলো বাংলাদেশ। সেখানে থেকে পঞ্চাশ ছাড়ানো দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন নুরুল হাসান-আফিফ হোসেন। ৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েডরা। তবে এদিনও খুব ভালো শুরু পায়নি সফরকারীরা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে আশাহত করেননি মাহেদি হাসান। ইনিংসের শুরুতে বল করতে এসে দেন মাত্র ১ রান। পরের ওভারে হাত খুলতে যাওয়া অ্যালেক্স ক্যারিকে তুলে নেন মাহেদি। এর আগের ম্যাচেও ক্যারিকে আউট করেছিলেন টাইগার স্পিন অলরাউন্ডার।

প্রথম ম্যাচে নাসুম ঘূর্ণিতে আড়ালে ছিলেন মুস্তাফিজ। আজ ৬ষ্ঠ ওভারে এসেই মাত্র ৫ রান দিয়ে তুলে নেন জশ ফিলিপের উইকেট। ফিজের শর্ট লেন্থ বল না বুঝেই ব্যাট ঘুরিয়েছিলো জশ। ব্যাটে বলে না হওয়ায় সরাসরি লেগ স্টাম্পে আঘাত হানে বল। অজিরা হারায় তাদের দ্বিতীয় উইকেট।

পরে নিজের কোটার শেষ ওভারে এসে ‘ভয়ংকর’ হয়ে ওঠা জুটি ভাঙ্গেন সাকিব আল হাসান। ৫৭ রানের জুটিতে মোয়েসেস হেনরিকসকে ফেরানোর পরে তার সঙ্গি মার্শও বেশি সময় থাকতে পারলেন না। শরিফুলের বলে নুরুল হাসানের ক্যাচ হওয়ার আগে জমা করেন প্রথম ম্যাচের মতো ৪৫ রান। অবশ্য আজ তিন বল কম খেলেছেন অন্যতম ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান।

শেষের দিকে ঝলক দেখান মুস্তাফিজ-শরিফুল। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অল্পতেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। দুর্দান্ত এক স্পেলে মুস্তাফিজ-শরিফুলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানেই থামে অজিরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেতে নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের দরকার ১২২ রান।

১২২ রানের টার্গেটে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় টাইগাররা। জিম্বাবুয়ে সফরের দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার দেশের মাটিতে চরম ফর্মহীন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯ বলে ২ রান করতে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এসে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এর পরে বেশি সময় নাইমকে থাকতে দেননি জশ হ্যাজলউড।

ক্রিজে নতুন ব্যাটার হিসেবে এসেই স্টার্কের তিন বলে তিন বাউন্ডারি মারেন সাকিব। এর পরে কিছুসময় খোলশে বন্দি থাকে। পরে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে এলবি হলেও রিভিউ নিয়ে বাঁচেন। তবে বেশি সময় থাকতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ১৭ বলে ২৬ রান করে অ্যান্ড্রু টাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন। পরে আত্মঘাতী হন অধিনায়ক রিয়াদ। রানের খাতা খোলতেই পারেননি টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিযাদ।

শেষে ডাউন দ্য উইকেটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন মাহেদি হাসান। আউট হবার আগে ১ ছয়ে ২৪ বলে ২৩ রান। বাংলাদেশ ৯ রানের ব্যবধানে হারায় সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-মেহেদী উইকেট। সেখান থেকে ম্যাচ জয়ী জুটি গড়েন আফিফ-নুরুল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় টাইগারদের

Update Time : ০৯:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক:

৯ রানের ব্যবধানে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-মাহেদী হাসানের উইকেট হারানোর পরে বেশ চাপে পরেছিলো বাংলাদেশ। সেখানে থেকে পঞ্চাশ ছাড়ানো দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন নুরুল হাসান-আফিফ হোসেন। ৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েডরা। তবে এদিনও খুব ভালো শুরু পায়নি সফরকারীরা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে আশাহত করেননি মাহেদি হাসান। ইনিংসের শুরুতে বল করতে এসে দেন মাত্র ১ রান। পরের ওভারে হাত খুলতে যাওয়া অ্যালেক্স ক্যারিকে তুলে নেন মাহেদি। এর আগের ম্যাচেও ক্যারিকে আউট করেছিলেন টাইগার স্পিন অলরাউন্ডার।

প্রথম ম্যাচে নাসুম ঘূর্ণিতে আড়ালে ছিলেন মুস্তাফিজ। আজ ৬ষ্ঠ ওভারে এসেই মাত্র ৫ রান দিয়ে তুলে নেন জশ ফিলিপের উইকেট। ফিজের শর্ট লেন্থ বল না বুঝেই ব্যাট ঘুরিয়েছিলো জশ। ব্যাটে বলে না হওয়ায় সরাসরি লেগ স্টাম্পে আঘাত হানে বল। অজিরা হারায় তাদের দ্বিতীয় উইকেট।

পরে নিজের কোটার শেষ ওভারে এসে ‘ভয়ংকর’ হয়ে ওঠা জুটি ভাঙ্গেন সাকিব আল হাসান। ৫৭ রানের জুটিতে মোয়েসেস হেনরিকসকে ফেরানোর পরে তার সঙ্গি মার্শও বেশি সময় থাকতে পারলেন না। শরিফুলের বলে নুরুল হাসানের ক্যাচ হওয়ার আগে জমা করেন প্রথম ম্যাচের মতো ৪৫ রান। অবশ্য আজ তিন বল কম খেলেছেন অন্যতম ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান।

শেষের দিকে ঝলক দেখান মুস্তাফিজ-শরিফুল। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অল্পতেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। দুর্দান্ত এক স্পেলে মুস্তাফিজ-শরিফুলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানেই থামে অজিরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেতে নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের দরকার ১২২ রান।

১২২ রানের টার্গেটে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় টাইগাররা। জিম্বাবুয়ে সফরের দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার দেশের মাটিতে চরম ফর্মহীন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯ বলে ২ রান করতে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এসে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এর পরে বেশি সময় নাইমকে থাকতে দেননি জশ হ্যাজলউড।

ক্রিজে নতুন ব্যাটার হিসেবে এসেই স্টার্কের তিন বলে তিন বাউন্ডারি মারেন সাকিব। এর পরে কিছুসময় খোলশে বন্দি থাকে। পরে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে এলবি হলেও রিভিউ নিয়ে বাঁচেন। তবে বেশি সময় থাকতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ১৭ বলে ২৬ রান করে অ্যান্ড্রু টাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন। পরে আত্মঘাতী হন অধিনায়ক রিয়াদ। রানের খাতা খোলতেই পারেননি টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিযাদ।

শেষে ডাউন দ্য উইকেটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন মাহেদি হাসান। আউট হবার আগে ১ ছয়ে ২৪ বলে ২৩ রান। বাংলাদেশ ৯ রানের ব্যবধানে হারায় সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-মেহেদী উইকেট। সেখান থেকে ম্যাচ জয়ী জুটি গড়েন আফিফ-নুরুল।