ব্যবসায়ীকে মারধরের আদেশ দেওয়া ইউএনও বহাল, পুলিশ কনস্টেবল প্রত্যাহার

  • Update Time : ১১:০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
  • / 192

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ইউএনও রুনা লায়লাকে ‘আপা’ বলে সম্ভোধণ করায় এক স্বর্ণকারকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শনিবার (১০ জুলাই) মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিমের নির্দেশে তাকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে সিংগাইর সার্কেলের এএসপি রেজাউল হক জানান, ইউএনওর নির্দেশেই ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে এটা সত্য। আদালত কাউকে মারধর করার নির্দেশ দিতে পারে না। পাবলিকের গায়ে হাত দেওয়ার কারণেই পুলিশ সুপার তাকে মৌখিকভাবে প্রত্যাহার করেছে।

এর আগে বৃস্পতিবার(৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর বাজার বাস ষ্ট্যান্ডে তপন দাস নামে এক স্বর্ণকারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার তপন দাস জয়মন্টপ এলাকার গৌর চন্দ্র দাসের ছেলে তপন দাস (৩৫)।

তপন দাস বলেন, পেশায় তিনি একজন স্বর্নকার। জায়গীর বাজারে তার দোকান রয়েছে। খরিদ্দারের চাপের মুখে তাদের অর্ডারকৃত কিছু গহনা দেয়ার জন্য দোকান খুলি। ওই সময় দোকান খোলার অপরাধে ইউএনও তাকেসহ খরিদ্দারদের জরিমানা করেন। এ সময় তিনি স্যার না বলে ক্ষমা চেয়ে আপা বললে ইউএনও আমার সাথে রাগারাগি করেন। কেন আপা বললি বলেই পুলিশ লাঠি দিয়ে তার শরীরে আঘাত করতে থাকে।

জরিমানা এবং মারধরের কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা বলেন, অনেকেই আমাকে আপা এবং খালাম্মা তো বলেই। এর জন্য মারধর করা হয়নি। লকডাউন না মেনে দোকান খোলার অপরাধে তাকে মারধর করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রফিক বলেন, ইউএনও লাঠি দিয়ে বাড়ি দিতে বলছে বলেই আমি তার নির্দেশ পালন করছি, এতে আমার কোন দোষ নেই।

Please Share This Post in Your Social Media


ব্যবসায়ীকে মারধরের আদেশ দেওয়া ইউএনও বহাল, পুলিশ কনস্টেবল প্রত্যাহার

Update Time : ১১:০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ইউএনও রুনা লায়লাকে ‘আপা’ বলে সম্ভোধণ করায় এক স্বর্ণকারকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শনিবার (১০ জুলাই) মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিমের নির্দেশে তাকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে সিংগাইর সার্কেলের এএসপি রেজাউল হক জানান, ইউএনওর নির্দেশেই ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে এটা সত্য। আদালত কাউকে মারধর করার নির্দেশ দিতে পারে না। পাবলিকের গায়ে হাত দেওয়ার কারণেই পুলিশ সুপার তাকে মৌখিকভাবে প্রত্যাহার করেছে।

এর আগে বৃস্পতিবার(৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর বাজার বাস ষ্ট্যান্ডে তপন দাস নামে এক স্বর্ণকারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার তপন দাস জয়মন্টপ এলাকার গৌর চন্দ্র দাসের ছেলে তপন দাস (৩৫)।

তপন দাস বলেন, পেশায় তিনি একজন স্বর্নকার। জায়গীর বাজারে তার দোকান রয়েছে। খরিদ্দারের চাপের মুখে তাদের অর্ডারকৃত কিছু গহনা দেয়ার জন্য দোকান খুলি। ওই সময় দোকান খোলার অপরাধে ইউএনও তাকেসহ খরিদ্দারদের জরিমানা করেন। এ সময় তিনি স্যার না বলে ক্ষমা চেয়ে আপা বললে ইউএনও আমার সাথে রাগারাগি করেন। কেন আপা বললি বলেই পুলিশ লাঠি দিয়ে তার শরীরে আঘাত করতে থাকে।

জরিমানা এবং মারধরের কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা বলেন, অনেকেই আমাকে আপা এবং খালাম্মা তো বলেই। এর জন্য মারধর করা হয়নি। লকডাউন না মেনে দোকান খোলার অপরাধে তাকে মারধর করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রফিক বলেন, ইউএনও লাঠি দিয়ে বাড়ি দিতে বলছে বলেই আমি তার নির্দেশ পালন করছি, এতে আমার কোন দোষ নেই।