২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পেছাচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

  • Update Time : ০২:৫৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
  • / 245

করোনাভাইরাসের কারণে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে। ১৯ জুন থেকে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তিনদিনে তিনটি বিভাগে এই ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সময় ঘোষণা করা হয়নি।

এই গুচ্ছে থাকা সিলেটে অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষা পেছানো ছাড়া উপায় নেই। কারণ প্রাথমিক আবেদনের কাজই শেষ করা যায়নি। চলমান বিধিনিষেধের পর প্রাথমিক আবেদনের জন্য ১০ দিন সময় বাড়ানো হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন যদি ১৬ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ থাকে তাহলেও প্রাথমিক আবেদন করতে ২৬ জুন পর্যন্ত চলে যাবে। তারপর আবার চূড়ান্ত আবেদন। এসব করতে সময় লাগবে। এই অবস্থায় কবে এই পরীক্ষা হবে, তার তারিখও ঘোষণা করা যাচ্ছে না। আগামী শুক্রবার সভা করে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানিয়ে দেয়া হবে।

এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষির প্রাধান্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছিল। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা ও আসন অনুযায়ী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোট তিনটি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে একটি পরীক্ষা হবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য, আরেকটি মানবিকের জন্য এবং অন্যটি ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য।

১৯ জুন মানবিক বিভাগের, ২৬ জুন বাণিজ্যের ও আগামী ৩ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো অনলাইনে নয়, সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা হবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। কিন্তু কবে এই পরীক্ষা হবে, তা অনিশ্চিত। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ও আর্থিক খরচ কমাতে গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

যে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

বর্তমানে দেশে ৪৯টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ও চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় না। বাকি ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা করা হয়। এগুলোতে ৬০ হাজারের কিছু বেশি আসন আছে।

Please Share This Post in Your Social Media


২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পেছাচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

Update Time : ০২:৫৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

করোনাভাইরাসের কারণে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে। ১৯ জুন থেকে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তিনদিনে তিনটি বিভাগে এই ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সময় ঘোষণা করা হয়নি।

এই গুচ্ছে থাকা সিলেটে অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষা পেছানো ছাড়া উপায় নেই। কারণ প্রাথমিক আবেদনের কাজই শেষ করা যায়নি। চলমান বিধিনিষেধের পর প্রাথমিক আবেদনের জন্য ১০ দিন সময় বাড়ানো হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন যদি ১৬ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ থাকে তাহলেও প্রাথমিক আবেদন করতে ২৬ জুন পর্যন্ত চলে যাবে। তারপর আবার চূড়ান্ত আবেদন। এসব করতে সময় লাগবে। এই অবস্থায় কবে এই পরীক্ষা হবে, তার তারিখও ঘোষণা করা যাচ্ছে না। আগামী শুক্রবার সভা করে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানিয়ে দেয়া হবে।

এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষির প্রাধান্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছিল। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা ও আসন অনুযায়ী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোট তিনটি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে একটি পরীক্ষা হবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য, আরেকটি মানবিকের জন্য এবং অন্যটি ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য।

১৯ জুন মানবিক বিভাগের, ২৬ জুন বাণিজ্যের ও আগামী ৩ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো অনলাইনে নয়, সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা হবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। কিন্তু কবে এই পরীক্ষা হবে, তা অনিশ্চিত। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ও আর্থিক খরচ কমাতে গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

যে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

বর্তমানে দেশে ৪৯টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ও চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় না। বাকি ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা করা হয়। এগুলোতে ৬০ হাজারের কিছু বেশি আসন আছে।