যাত্রীরা যেন ঢেউয়ের মতো এসে ফেরিঘাটে আছড়ে পড়ছেন

  • Update Time : ০২:১০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১
  • / 197
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:.

করোনা সংক্রমণরোধে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরছে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এ অবস্থায় পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে বাড়িফেরা মানুষের ঢল নেমেছে। গত কয়েকদিন ধরে ঘাটে মানুষের ভিড় থাকলেও সোমবার (১০ মে) তা আরও বেড়েছে। সকাল থেকেই নারীর টানে ঘরে ফেরা মানুষের গাদাগাদি ভিড়ে বাড়তে থাকে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যাত্রীরা ঢেউয়ের মতো এসে ফেরিঘাটে যেন আছড়ে পড়ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ।

ঢাকার গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটের উথলী পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হলেও যাত্রীদের ঈদে বাড়ি যাওয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারা ঢাকা থেকে বিভিন্ন বাইপাস রোডে সিএনজি, অটোরিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলে করে পাটুরিয়া-আরিচা ঘাটে পৌঁছে যাচ্ছেন। স্বাভাবিক সময়ের মতো অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে বাড়ি যাচ্ছেন যাত্রীরা।

এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ও যাত্রী পারাপাররোধে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও হাজার হাজার যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে রজনী গন্ধ্যা, বনলতা, শাপলা শালুকসহ চারটি ফেরি দিয়ে দুই আড়াই ঘণ্টা পর পর পারাপারের কাজ চলছে।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রজনীগন্ধ্যা ও সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাপলা-শালুক নামের দুটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাট থেকে কয়েকটি প্রাইভেটকার ও যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ফেরিতে শুধু ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ আর মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরির বিভিন্ন স্থনে দাঁড়িয়ে, ধরে ও বসে যাচ্ছেন তারা। ঘাটে অরিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলেও যাত্রীদের ফেরিতে গাদাগাদি করে বাড়ি ফেরা ঠেকানো যাচ্ছে না।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অফিসের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা হলেও, লাশবাহী ও অ্যাম্বুলেন্সসহ কিছু ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। তবে দুই আড়াই ঘণ্টা পরপর রজনী গন্ধ্যা, বনলতাসহ ছোট চারটি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীরা ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠে পড়ছেন। কোনও বাধা নিষেধ মানছেন না। তাদের কারণে অ্যাম্বুলেন্স ও লাশের গাড়ি ফেরিতে উঠতে পারছে না।

শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, যাত্রীরা কোনও বাধা-নিষেধ মানছেন না। ঢাকা থেকে নদীর স্রোতের মতো ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা ঘাটে এসে ভিড় করছেন। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে সোমবার সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media


যাত্রীরা যেন ঢেউয়ের মতো এসে ফেরিঘাটে আছড়ে পড়ছেন

Update Time : ০২:১০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:.

করোনা সংক্রমণরোধে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরছে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এ অবস্থায় পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে বাড়িফেরা মানুষের ঢল নেমেছে। গত কয়েকদিন ধরে ঘাটে মানুষের ভিড় থাকলেও সোমবার (১০ মে) তা আরও বেড়েছে। সকাল থেকেই নারীর টানে ঘরে ফেরা মানুষের গাদাগাদি ভিড়ে বাড়তে থাকে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যাত্রীরা ঢেউয়ের মতো এসে ফেরিঘাটে যেন আছড়ে পড়ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ।

ঢাকার গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটের উথলী পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হলেও যাত্রীদের ঈদে বাড়ি যাওয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারা ঢাকা থেকে বিভিন্ন বাইপাস রোডে সিএনজি, অটোরিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলে করে পাটুরিয়া-আরিচা ঘাটে পৌঁছে যাচ্ছেন। স্বাভাবিক সময়ের মতো অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে বাড়ি যাচ্ছেন যাত্রীরা।

এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ও যাত্রী পারাপাররোধে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও হাজার হাজার যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে রজনী গন্ধ্যা, বনলতা, শাপলা শালুকসহ চারটি ফেরি দিয়ে দুই আড়াই ঘণ্টা পর পর পারাপারের কাজ চলছে।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রজনীগন্ধ্যা ও সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাপলা-শালুক নামের দুটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাট থেকে কয়েকটি প্রাইভেটকার ও যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ফেরিতে শুধু ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ আর মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরির বিভিন্ন স্থনে দাঁড়িয়ে, ধরে ও বসে যাচ্ছেন তারা। ঘাটে অরিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলেও যাত্রীদের ফেরিতে গাদাগাদি করে বাড়ি ফেরা ঠেকানো যাচ্ছে না।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অফিসের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা হলেও, লাশবাহী ও অ্যাম্বুলেন্সসহ কিছু ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। তবে দুই আড়াই ঘণ্টা পরপর রজনী গন্ধ্যা, বনলতাসহ ছোট চারটি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীরা ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠে পড়ছেন। কোনও বাধা নিষেধ মানছেন না। তাদের কারণে অ্যাম্বুলেন্স ও লাশের গাড়ি ফেরিতে উঠতে পারছে না।

শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, যাত্রীরা কোনও বাধা-নিষেধ মানছেন না। ঢাকা থেকে নদীর স্রোতের মতো ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা ঘাটে এসে ভিড় করছেন। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে সোমবার সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে বলে জানান তিনি।