ভারতে একদিনে দুই লাখ ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত

  • Update Time : ০৩:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
  • / 180

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ করেও ভারতে করোনা রোগীর চাপ সামলাতে পারছে না অনেক হাসপাতাল। বাধ্য হয়েই এক বেডে দুই রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এক বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন দুইজন করোনা রোগী। চাপ সামলাতে না পেরে ভারতের বেশিরভাগ হাসপাতালের দৃশ্য এখন এমনই। দেশটিতে বৃহস্পতিবারও ২ লাখ ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১ হাজার ১শ’ ৮৩ জন।

বিশ্বে ভারতে এখন সবচেয়ে বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হচ্ছে প্রতিদিন। হাসপাতালে উপচেপড়া ভিড়ে গুরুতর রোগীদেরও প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারছেন না চিকিৎসক।

লোক নায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালের পরিচালক সুরেশ কুমার বলেন, আমাদের হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। তারপরও আমরা চাপ সামলাতে পারছি না। হাসপাতালে যারা আসছেন সবার অবস্থাই বেশ সংকটাপন্ন। অক্সিজেনের লেভেল ৯১/৯২ এর নিচে।

হাসপাতালের বাইরেও অ্যাম্বুলেন্সে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে সংকটাপন্ন রোগীদের। শয্যার জন্য ছুটতে হচ্ছে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে।

হাসপাতালটির পরিচালক সুরেশ কুমার বলেন, দুটি কারণে এমন হচ্ছে। প্রথমত, করোনার নতুন ধরন। এটি দ্রুত ছাড়চ্ছে এবং অনেক সময়ই আরটি পিসিআর টেস্টে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, অনেক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছে।

এদিকে, ভারতে চাহিদা বাড়ায় চোরাইবাজারে রেমডিসিভিরসহ কিছু ওষুধের রমরমা ব্যবসা শুরু হয়েছে। আমদানি বন্ধ থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এই ওষুধের সন্ধান করছেন। এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চোরাকারবারীরা।

১৩৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার ভারতে এখন পর্যন্ত ১১ কোটি ৩ লাখ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media


ভারতে একদিনে দুই লাখ ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত

Update Time : ০৩:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ করেও ভারতে করোনা রোগীর চাপ সামলাতে পারছে না অনেক হাসপাতাল। বাধ্য হয়েই এক বেডে দুই রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এক বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন দুইজন করোনা রোগী। চাপ সামলাতে না পেরে ভারতের বেশিরভাগ হাসপাতালের দৃশ্য এখন এমনই। দেশটিতে বৃহস্পতিবারও ২ লাখ ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১ হাজার ১শ’ ৮৩ জন।

বিশ্বে ভারতে এখন সবচেয়ে বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হচ্ছে প্রতিদিন। হাসপাতালে উপচেপড়া ভিড়ে গুরুতর রোগীদেরও প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারছেন না চিকিৎসক।

লোক নায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালের পরিচালক সুরেশ কুমার বলেন, আমাদের হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। তারপরও আমরা চাপ সামলাতে পারছি না। হাসপাতালে যারা আসছেন সবার অবস্থাই বেশ সংকটাপন্ন। অক্সিজেনের লেভেল ৯১/৯২ এর নিচে।

হাসপাতালের বাইরেও অ্যাম্বুলেন্সে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে সংকটাপন্ন রোগীদের। শয্যার জন্য ছুটতে হচ্ছে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে।

হাসপাতালটির পরিচালক সুরেশ কুমার বলেন, দুটি কারণে এমন হচ্ছে। প্রথমত, করোনার নতুন ধরন। এটি দ্রুত ছাড়চ্ছে এবং অনেক সময়ই আরটি পিসিআর টেস্টে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, অনেক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছে।

এদিকে, ভারতে চাহিদা বাড়ায় চোরাইবাজারে রেমডিসিভিরসহ কিছু ওষুধের রমরমা ব্যবসা শুরু হয়েছে। আমদানি বন্ধ থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এই ওষুধের সন্ধান করছেন। এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চোরাকারবারীরা।

১৩৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার ভারতে এখন পর্যন্ত ১১ কোটি ৩ লাখ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।