৭ই মার্চ জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস

  • Update Time : ০১:০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
  • / 269
তানভীর আহমেদ:
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে ততকালীন রেসকোর্স ময়দান বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাঙালী জাতীর অবিসংবাদিত নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সেই অমর ভাষন বাঙ্গালী জাতীর জীবনে আলোর দিশারী হয়ে প্রতিফলিত হয়।
.
বাঙালী জাতীর মহান স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে ৭ই মার্চের ভাষন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো যা বাংলার অবহেলিত, শোষিত, নির্যাতিত,নিপিড়ীত মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির পথ প্রদর্শক। সেদিন পড়ন্ত বিকেলে উত্তাল জনসমুদ্রে অপ্রতিরোধ্য বজ্র কন্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন।
.
তিনি ঘোষণা করেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ” বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান এর এই ঐতিহাসিক ভাষনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনরত নিরস্ত্র বাঙালিকে মুক্তির মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত করে বাঙালি জাতীর স্বাধীনতা সংগ্রামকে জনযুদ্ধে পরিনত করে।
.
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের এই ভাষনে উদ্দীপ্ত হয়ে দির্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু শ্রেষ্ঠ ভাষনই নয়, প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরে মানব ইতিহাসে যে অল্পসংখ্যক শ্রেষ্ঠ ভাষণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ ভাষণ।
.
২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাজারি কমিটি ইউনেস্কো’র মেমরি অব দ্যা ওয়ার্ড (এমওডব্লিউ) কর্মসূচির অধীনে আন্তর্জাতিক তালিকায় ৭৮টি দলিলের মধ্যে স্হান দেওয়া হয়, যা বাঙালি জাতীর জীবনে সবচেয়ে গৌরবময় আনন্দের দিন। ৭ই মার্চের এই গৌরবময় ঐতিহাসিক দিবসকে যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ এর সকল অঙ্গসংগঠন এর নানা কর্মসূচি রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media


৭ই মার্চ জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস

Update Time : ০১:০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
তানভীর আহমেদ:
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে ততকালীন রেসকোর্স ময়দান বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাঙালী জাতীর অবিসংবাদিত নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সেই অমর ভাষন বাঙ্গালী জাতীর জীবনে আলোর দিশারী হয়ে প্রতিফলিত হয়।
.
বাঙালী জাতীর মহান স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে ৭ই মার্চের ভাষন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো যা বাংলার অবহেলিত, শোষিত, নির্যাতিত,নিপিড়ীত মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির পথ প্রদর্শক। সেদিন পড়ন্ত বিকেলে উত্তাল জনসমুদ্রে অপ্রতিরোধ্য বজ্র কন্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন।
.
তিনি ঘোষণা করেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ” বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান এর এই ঐতিহাসিক ভাষনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনরত নিরস্ত্র বাঙালিকে মুক্তির মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত করে বাঙালি জাতীর স্বাধীনতা সংগ্রামকে জনযুদ্ধে পরিনত করে।
.
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের এই ভাষনে উদ্দীপ্ত হয়ে দির্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু শ্রেষ্ঠ ভাষনই নয়, প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরে মানব ইতিহাসে যে অল্পসংখ্যক শ্রেষ্ঠ ভাষণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ ভাষণ।
.
২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাজারি কমিটি ইউনেস্কো’র মেমরি অব দ্যা ওয়ার্ড (এমওডব্লিউ) কর্মসূচির অধীনে আন্তর্জাতিক তালিকায় ৭৮টি দলিলের মধ্যে স্হান দেওয়া হয়, যা বাঙালি জাতীর জীবনে সবচেয়ে গৌরবময় আনন্দের দিন। ৭ই মার্চের এই গৌরবময় ঐতিহাসিক দিবসকে যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ এর সকল অঙ্গসংগঠন এর নানা কর্মসূচি রয়েছে।