আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছে উৎপল সিং এর ফিল্ম

  • Update Time : ০৪:১১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 265
লিটন মুন্ডা, চুনারুঘাট প্রতিনিধি:
কোভিড-১৯ এর মহমারী ভিত্তি করে ভারতের মণিপুর রাজ্যে মণিপুরী ভাষায় ৩ থেকে ৫ মিনিট এর প্রথম ‘‘খাপরী ইন্টারন্যাশনাল মণিপুরী শর্ট ফিক্সন ফিল্ম ফেস্টিব্যাল এওয়ার্ড লিস্টে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছে চুনারুঘাটের উৎপলের তৈরি ফিল্ম।
.
ফিল্মের স্টোরি লিখে তাকে সহযোগিতা করেছেন রংপুর মেডিকেলে অধ্যায়নরত ভারতীয় নাগরিক নিংথোজম বিদ্যারাণী।
.
জানা যায়, সোরাইজম উৎপল সিংহ চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত। সোরাইজম উৎপল সিংহের তৈরি ফিল্মটি গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২য় ধাপের বাছাই পর্বের ৪টি এওয়ার্ডের লিস্টে স্থান পাওয়ায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়৷
.
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেস্টিব্যালের চেয়ারম্যান ডাঃ এস মনউতন সিং।
.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফেস্টিব্যালের ডিরেক্টর কে এইচ বিশ্বনাথ মিত্রা, কনভেনর রাকেশ নাওরেম এবং কনশালটেন্ট এন জয়কুমার সিং।
.
জানা যায়, ফেস্টিভ্যালের পুরস্কার বিতরণী ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ বিকেল ০১:০০ ঘটিকায় মেইপা ভ্যান্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
.
ফিল্ম নিয়ে জানতে গেলে উৎপল সিংহ বলেন, কোভিড নিয়ে নিজের মেধায় যতটুকু পেরেছি ততটুকু কাজ করতে চেষ্টা করেছি। আমার ফিল্ম আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছে বলে আমি আনন্দিত৷ কোভিড -১৯ মহামারীটি বিশ্বজুড়ে মানব সমাজে প্রচুর দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে। অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সময়োপযোগী পদক্ষেপের অভাব সর্বত্র প্রচুর কষ্ট এবং উচ্চতর হতাহতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
.
সঠিক ব্যবস্থা এবং প্রস্তুতি সহ একটি প্রতিক্রিয়াশীল সিস্টেম করোনার ভাইরাসের শিকার হিসাবে অনেক প্রিয় এবং নিকটস্থ লোকের ক্ষতি এড়াতে পারে। এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের এক দৈনিক বাজির গল্প বর্ণনা করেছে যিনি মহামারী চলাকালীন পরিবারের জন্য শেষ করার চেষ্টা করছেন। এই তালিকায় বিদেশে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের অব্যবহিত গল্পগুলিও প্রকাশিত হয়েছে যারা তালাবদ্ধ হওয়ার ফলে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান এবং দরিদ্র পরিবারগুলির কোনও সমর্থন ছাড়াই নিজেরাই ছেড়ে গিয়েছিল। তবুও, ফিল্মটি দেখিয়েছে যে কীভাবে লোকেরা অভাবী ব্যক্তিদের জন্য সম্ভাব্য সকল প্রকারের সাহায্য প্রসারিত করার চেষ্টা করে।
.
শর্টফিল্মটি দর্শকদের আশার এক কিরণে ফেলেছে কারণ এটি মানবসমাজের মধ্যে এই বিপর্যয় মোকাবেলায় সামান্য মানবসমাজের ছড়িয়ে পড়েছে। শেষ অবধি, রক্তের সম্পর্কের মাধ্যমে সংবেদনশীল সংযুক্তি বিশেষ করে কোভিড -১৯ মহামারীর মতো বড় বিপর্যয়ের সময় সীমান্ত পেরিয়ে মানুষকে সংযুক্ত করে চলেছে।
.
সোরাইজম উৎপল সিংহ আরো বলেন, গল্পটি লিখে দিয়ে ভারতীয় নাগরিক ও বর্তমানে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেলে কলেজে অধ্যায়নরত নিংথোজম বিদ্যারানী আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন। সোরাইজম উৎপল সিংহ তার প্রতিও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য সোরাইজম উৎপল সিংহ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব হবিগঞ্জের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং চুনারুঘাট ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছে উৎপল সিং এর ফিল্ম

Update Time : ০৪:১১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
লিটন মুন্ডা, চুনারুঘাট প্রতিনিধি:
কোভিড-১৯ এর মহমারী ভিত্তি করে ভারতের মণিপুর রাজ্যে মণিপুরী ভাষায় ৩ থেকে ৫ মিনিট এর প্রথম ‘‘খাপরী ইন্টারন্যাশনাল মণিপুরী শর্ট ফিক্সন ফিল্ম ফেস্টিব্যাল এওয়ার্ড লিস্টে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছে চুনারুঘাটের উৎপলের তৈরি ফিল্ম।
.
ফিল্মের স্টোরি লিখে তাকে সহযোগিতা করেছেন রংপুর মেডিকেলে অধ্যায়নরত ভারতীয় নাগরিক নিংথোজম বিদ্যারাণী।
.
জানা যায়, সোরাইজম উৎপল সিংহ চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত। সোরাইজম উৎপল সিংহের তৈরি ফিল্মটি গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২য় ধাপের বাছাই পর্বের ৪টি এওয়ার্ডের লিস্টে স্থান পাওয়ায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়৷
.
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেস্টিব্যালের চেয়ারম্যান ডাঃ এস মনউতন সিং।
.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফেস্টিব্যালের ডিরেক্টর কে এইচ বিশ্বনাথ মিত্রা, কনভেনর রাকেশ নাওরেম এবং কনশালটেন্ট এন জয়কুমার সিং।
.
জানা যায়, ফেস্টিভ্যালের পুরস্কার বিতরণী ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ বিকেল ০১:০০ ঘটিকায় মেইপা ভ্যান্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
.
ফিল্ম নিয়ে জানতে গেলে উৎপল সিংহ বলেন, কোভিড নিয়ে নিজের মেধায় যতটুকু পেরেছি ততটুকু কাজ করতে চেষ্টা করেছি। আমার ফিল্ম আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছে বলে আমি আনন্দিত৷ কোভিড -১৯ মহামারীটি বিশ্বজুড়ে মানব সমাজে প্রচুর দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে। অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সময়োপযোগী পদক্ষেপের অভাব সর্বত্র প্রচুর কষ্ট এবং উচ্চতর হতাহতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
.
সঠিক ব্যবস্থা এবং প্রস্তুতি সহ একটি প্রতিক্রিয়াশীল সিস্টেম করোনার ভাইরাসের শিকার হিসাবে অনেক প্রিয় এবং নিকটস্থ লোকের ক্ষতি এড়াতে পারে। এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের এক দৈনিক বাজির গল্প বর্ণনা করেছে যিনি মহামারী চলাকালীন পরিবারের জন্য শেষ করার চেষ্টা করছেন। এই তালিকায় বিদেশে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের অব্যবহিত গল্পগুলিও প্রকাশিত হয়েছে যারা তালাবদ্ধ হওয়ার ফলে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান এবং দরিদ্র পরিবারগুলির কোনও সমর্থন ছাড়াই নিজেরাই ছেড়ে গিয়েছিল। তবুও, ফিল্মটি দেখিয়েছে যে কীভাবে লোকেরা অভাবী ব্যক্তিদের জন্য সম্ভাব্য সকল প্রকারের সাহায্য প্রসারিত করার চেষ্টা করে।
.
শর্টফিল্মটি দর্শকদের আশার এক কিরণে ফেলেছে কারণ এটি মানবসমাজের মধ্যে এই বিপর্যয় মোকাবেলায় সামান্য মানবসমাজের ছড়িয়ে পড়েছে। শেষ অবধি, রক্তের সম্পর্কের মাধ্যমে সংবেদনশীল সংযুক্তি বিশেষ করে কোভিড -১৯ মহামারীর মতো বড় বিপর্যয়ের সময় সীমান্ত পেরিয়ে মানুষকে সংযুক্ত করে চলেছে।
.
সোরাইজম উৎপল সিংহ আরো বলেন, গল্পটি লিখে দিয়ে ভারতীয় নাগরিক ও বর্তমানে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেলে কলেজে অধ্যায়নরত নিংথোজম বিদ্যারানী আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন। সোরাইজম উৎপল সিংহ তার প্রতিও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য সোরাইজম উৎপল সিংহ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব হবিগঞ্জের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং চুনারুঘাট ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।