মঙ্গলবার দুপুরে টিকিট কাটতে গিয়ে কথা কাটাকাটির জেরেও দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে ফের বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। ভাংচুর করা হয়েছে দুটি বাস।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালে টিকিট কাটতে গিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে দুই ঘণ্টা বাস টার্মিনাল অবরোধ, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও বিআরটিসি বাস কাউন্টারে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। পরে অভিযুক্ত বিআরটিসির স্টাফ রফিককে পুলিশ আটক করলে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
ঘটনার জেরে বুধবার রাত ১টায় রূপাতলী হাউজিংয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া মাহমুদুল হাসান তমালের মেসে ঢুকে ছাত্রদের বেধরক পেটায় পরিবহণ শ্রমিকেরা। আহত হয় অন্তত ১৪ ছাত্র। হামলার ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তমালকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন পাশের বিভিন্ন মেসের শিক্ষার্থীরা। তখন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপনের উপস্থিতিতের হামলার ঘটে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ থেকে ৪০জন শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছে।’ আহতরা শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন,’ভাইসচ্যান্সেলরসহ পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে একটা ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রিফাত ফেরদৌস জানান,’সকলে মিলে বসে এ সমস্যার সমাধান করে ফেলবো।’
এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল পুরো ক্যাম্পাস। এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।