রাজধানীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ

  • Update Time : ১২:১২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 389
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
.

শনিবার সকালে, এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাব ও সচিবালয় এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জলকামান ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
.
এই বিক্ষোভ ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের মহানগর পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নিয়েছে। নেতাকর্মীদের মিছিল ও স্লোগানে পুরো প্রেসক্লাব ও আশপাশের এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক অপচেষ্টা আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে শনিবার ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে এবং রবিবার দেশের সব জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেয়া হয়েছিল। গত মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় সেই খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
.
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি বলছে, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে করা হয়েছে।
.
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘খবরটা অনেকেই হয়তো ঠিকমতো পরিবেশন করেন নাই। বঙ্গবন্ধুর চার হত্যাকারীর বিরুদ্ধে আদালতে রায় ঘোষিত হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় সনদ বা সম্মাননা  সেটা বাতিল করা হয়েছে। আরো চারজনের নাম এসেছে দালিলিক প্রমাণসহ। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এদের মধ্যে জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলম চাষী রয়েছেন। সেজন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি, আগামী সভায় এ বিষয়ে কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে সেটা দাখিল করার জন্য। এবং তাহলে তাদের সম্মাননা বাতিল করা হবে।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাজধানীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ

Update Time : ১২:১২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
.

শনিবার সকালে, এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাব ও সচিবালয় এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জলকামান ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
.
এই বিক্ষোভ ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের মহানগর পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নিয়েছে। নেতাকর্মীদের মিছিল ও স্লোগানে পুরো প্রেসক্লাব ও আশপাশের এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক অপচেষ্টা আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে শনিবার ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে এবং রবিবার দেশের সব জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেয়া হয়েছিল। গত মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় সেই খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
.
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি বলছে, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে করা হয়েছে।
.
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘খবরটা অনেকেই হয়তো ঠিকমতো পরিবেশন করেন নাই। বঙ্গবন্ধুর চার হত্যাকারীর বিরুদ্ধে আদালতে রায় ঘোষিত হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় সনদ বা সম্মাননা  সেটা বাতিল করা হয়েছে। আরো চারজনের নাম এসেছে দালিলিক প্রমাণসহ। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এদের মধ্যে জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলম চাষী রয়েছেন। সেজন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি, আগামী সভায় এ বিষয়ে কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে সেটা দাখিল করার জন্য। এবং তাহলে তাদের সম্মাননা বাতিল করা হবে।’