নিরাপদ খাদ্যের ঠিকানা হবে সোনার বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ১১:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 162

খুব শীঘ্রই পুষ্টি প্রাচুর্য ও নিরাপদ খাদ্যের ঠিকানা হিসেবে বাংলাদেশের নাম উচ্চারন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ দিবস-২০২১ উপলক্ষে শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণিতে এই তথ্য জানান তিনি।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুষ্টিপ্রাচুর্য ও নিরাপদ-খাদ্যের ঠিকানা হবে আমাদের সোনার বাংলাদেশ। বিদ্যমান কৃষিকে বাণিজ্যিক রূপান্তরের অভিযাত্রায় কৃষিগবেষণা ও সম্প্রসারণ এবং সরকারের নীতি-সহায়তা ও প্রণোদনাসম্পৃক্ত কৃত্যপেশার অনুকূলেই থাকবে-এ আশ্বাস আমি আপনাদের দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১০ টাকায় কৃষকদের জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমানে প্রায় এককোটি ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। কৃষকদের প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষক-উপকরণ কার্ড দেয়া হয়েছে। বর্গাচাষিদের জন্য জামানতবিহীন কৃষিঋণ প্রদানের
ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪ শত ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা প্রণোদনা দিয়েছি।

বিএনপি জামায়াতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামাতের সময় সারের জন্য ১৮ জন কৃষককে প্রাণ দিতে হয়েছিল। আমরা সারের দাম কয়েকদফা কমিয়েছি। সেচের বিদ্যুৎবিলে ২০ শতাংশ রিবেট প্রদান করা হচ্ছে। ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সার, বিদ্যুৎ ও ইক্ষুখাতে মোট ৭৫ হাজার ৮ শত ১৫ কোটি টাকা উন্নয়নসহায়তা প্রদান করা হয়েছে তার সরকারের আমলে দেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, কৃষকের পুষ্টিবিধান ও আয়ের উৎস সৃষ্টি করতে প্রতিটি ইউনিয়নে ৩২টি করে মোট ১ কোটি ৪০ লাখ ৩ শত ৮৭টি পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়। নিরাপদ শাকসবজির যোগান ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে রাজধানীসহ ৪১ জেলায় ‘কৃষকের বাজার’ স্থাপন করা হয়েছে।

১২ বছরে প্রায় ৭০ হাজার কৃষিযন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়, যার মধ্যে অত্যাধুনিক কম্বাইন হারভেস্টর, রিপার, সিডার, পাওয়ার টিলারসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান-উৎপাদনে ৩য়, সবজি-উৎপাদনে ৩য়, আম-উৎপাদনে ৭ম, আলু-উৎপাদনে ৭ম এবং পেয়ারা-উৎপাদনে ৮ম স্থানে থেকে বিশ্বপরিমণ্ডলে সমাদৃত হয়। ২০০৯ সালে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষিবিদ দিবসে আমি দেশের সকল কৃষিবিদ, কৃষক এবং কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কৃষিখাতের সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের প্রথমশ্রেণির মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দেন, যা এদেশের কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিজ্ঞানিদের জন্য ছিল ঐতিহাসিক মাইলফলক, ফলে অধিকতর মেধাবী শিক্ষার্থীরা কৃষিশিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বঙ্গবন্ধুর সেই নীতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিবান্ধব নীতি অনুসরণ করছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নিরাপদ খাদ্যের ঠিকানা হবে সোনার বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ১১:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

খুব শীঘ্রই পুষ্টি প্রাচুর্য ও নিরাপদ খাদ্যের ঠিকানা হিসেবে বাংলাদেশের নাম উচ্চারন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ দিবস-২০২১ উপলক্ষে শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণিতে এই তথ্য জানান তিনি।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুষ্টিপ্রাচুর্য ও নিরাপদ-খাদ্যের ঠিকানা হবে আমাদের সোনার বাংলাদেশ। বিদ্যমান কৃষিকে বাণিজ্যিক রূপান্তরের অভিযাত্রায় কৃষিগবেষণা ও সম্প্রসারণ এবং সরকারের নীতি-সহায়তা ও প্রণোদনাসম্পৃক্ত কৃত্যপেশার অনুকূলেই থাকবে-এ আশ্বাস আমি আপনাদের দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১০ টাকায় কৃষকদের জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমানে প্রায় এককোটি ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। কৃষকদের প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষক-উপকরণ কার্ড দেয়া হয়েছে। বর্গাচাষিদের জন্য জামানতবিহীন কৃষিঋণ প্রদানের
ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪ শত ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা প্রণোদনা দিয়েছি।

বিএনপি জামায়াতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামাতের সময় সারের জন্য ১৮ জন কৃষককে প্রাণ দিতে হয়েছিল। আমরা সারের দাম কয়েকদফা কমিয়েছি। সেচের বিদ্যুৎবিলে ২০ শতাংশ রিবেট প্রদান করা হচ্ছে। ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সার, বিদ্যুৎ ও ইক্ষুখাতে মোট ৭৫ হাজার ৮ শত ১৫ কোটি টাকা উন্নয়নসহায়তা প্রদান করা হয়েছে তার সরকারের আমলে দেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, কৃষকের পুষ্টিবিধান ও আয়ের উৎস সৃষ্টি করতে প্রতিটি ইউনিয়নে ৩২টি করে মোট ১ কোটি ৪০ লাখ ৩ শত ৮৭টি পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়। নিরাপদ শাকসবজির যোগান ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে রাজধানীসহ ৪১ জেলায় ‘কৃষকের বাজার’ স্থাপন করা হয়েছে।

১২ বছরে প্রায় ৭০ হাজার কৃষিযন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়, যার মধ্যে অত্যাধুনিক কম্বাইন হারভেস্টর, রিপার, সিডার, পাওয়ার টিলারসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান-উৎপাদনে ৩য়, সবজি-উৎপাদনে ৩য়, আম-উৎপাদনে ৭ম, আলু-উৎপাদনে ৭ম এবং পেয়ারা-উৎপাদনে ৮ম স্থানে থেকে বিশ্বপরিমণ্ডলে সমাদৃত হয়। ২০০৯ সালে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষিবিদ দিবসে আমি দেশের সকল কৃষিবিদ, কৃষক এবং কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কৃষিখাতের সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের প্রথমশ্রেণির মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দেন, যা এদেশের কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিজ্ঞানিদের জন্য ছিল ঐতিহাসিক মাইলফলক, ফলে অধিকতর মেধাবী শিক্ষার্থীরা কৃষিশিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বঙ্গবন্ধুর সেই নীতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিবান্ধব নীতি অনুসরণ করছে।