মোহনপুরে বড়বিলা বিলের পানি নিষ্কাশনে খাল খননের দাবিতে স্মারকলিপি

  • Update Time : ১০:২৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 166
ইউসুফ আলী চৌধুরী-রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ৬নং জাহানাবাদ ইউনিয়নের বড়বিলা নামক বিলে তিন বছর ধরে এলাকার শতাধিক একর ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধের অভিযোগ উঠেছে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খান ও ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ প্রাং এর বিরুদ্ধে। গত দুই বছর ধরে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ থাকায় বর্ষাকালে উজানের জমিগুলোয় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বোরো, আমন ও আউশ ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকের প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
.
অবৈধভাবে পুকুর খননের জন্য পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। বিলের পানি নিষ্কাশন জলাবদ্ধতার নিরশনের  দাবিতে খাল খননের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার,জেলা প্রশাসক,রাজশাহী ও মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান এলাকার ভুক্তভোগীরা।
.
বৃহস্পতিবার জাহানাবাদ গ্রামের নুরুল ইসলাম মাখন খ.ম শামসুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম শেখ, আবু হেনা কামরুজ্জামানসহ ১৪৮ স্থানীয় বাসিন্দা স্বাক্ষরকৃত এ স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেনের নিকট জমা দেন।
.
লিখিত স্মারক লিপিতে উল্লেখ্য করেন, জাহানাবাদ গ্রামের পশ্চিম পার্শ্বে এবং তেঘরমাড়িয়া গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত বড়বিলা নামক বিলটি মোহনপুর উপজেলার মধ্যে শস্যভার হিসেবে পরিচিত। যা আমাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন। উক্ত বিলের অবৈধভাবে পুকুর খননের জন্য এবং পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারনে ফসল ফলানো কষ্টসাধ্য হলেও বর্তমানে অত্র বিলটির মাঝখানে একাধিক পুকুর খননের ফলে বিলের পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা।
.
বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বিলটির পানি প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি হয় যার কারনে উপরে জমিগুলো ফসল,পানবরজ এবং বিলসংলগ্ন গ্রামগুলোর ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ার আষ্ককা রয়েছে।পূর্বে সরকারী খাল দিয়ে পানি নামলেও বর্তমানে অত্র জাহানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খান, বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ প্রাং, শহিদ, এনামুল হকসহ একাধিক ব্যক্তি ফসলী জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে পুকুর খননের ফলে সমগ্র বিল জুড়ে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। যার ফলে বর্তমানে বোরে মৌসুমে ধান রোপণের সময় অতিক্রম হওয়ার পথে অথচ জলাবদ্ধতার কারনে বোরে ধান রোপণ ব্যাহত এবং সাধারণ কৃষকগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
.
জাহানাবাদ গ্রামের ভুক্তভোগী রস্তুম আলী মন্ডল বলেন, চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খান ও সামাদ প্রাং সাহেব পানি চলাচলের মুখ বন্ধ করে বড়বিলা বিলে সরকারি খাল বন্ধ করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করায় উজানের পানি আটকে গিয়ে গত বর্ষাকালে শতাধিক একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গত ২ বছরে এই এলাকার কৃষকের প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যদি কয়েক দিনের মধ্যে এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা না হয় তাহলে এ বছরও কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বড়বিলার জলাবদ্ধতা নিরসন এবং খাল খননের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে জীবন জীবিকার পথ সুগম করে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।
.
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মোহনপুরে বড়বিলা বিলের পানি নিষ্কাশনে খাল খননের দাবিতে স্মারকলিপি

Update Time : ১০:২৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
ইউসুফ আলী চৌধুরী-রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ৬নং জাহানাবাদ ইউনিয়নের বড়বিলা নামক বিলে তিন বছর ধরে এলাকার শতাধিক একর ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধের অভিযোগ উঠেছে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খান ও ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ প্রাং এর বিরুদ্ধে। গত দুই বছর ধরে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ থাকায় বর্ষাকালে উজানের জমিগুলোয় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বোরো, আমন ও আউশ ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকের প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
.
অবৈধভাবে পুকুর খননের জন্য পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। বিলের পানি নিষ্কাশন জলাবদ্ধতার নিরশনের  দাবিতে খাল খননের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার,জেলা প্রশাসক,রাজশাহী ও মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান এলাকার ভুক্তভোগীরা।
.
বৃহস্পতিবার জাহানাবাদ গ্রামের নুরুল ইসলাম মাখন খ.ম শামসুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম শেখ, আবু হেনা কামরুজ্জামানসহ ১৪৮ স্থানীয় বাসিন্দা স্বাক্ষরকৃত এ স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেনের নিকট জমা দেন।
.
লিখিত স্মারক লিপিতে উল্লেখ্য করেন, জাহানাবাদ গ্রামের পশ্চিম পার্শ্বে এবং তেঘরমাড়িয়া গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত বড়বিলা নামক বিলটি মোহনপুর উপজেলার মধ্যে শস্যভার হিসেবে পরিচিত। যা আমাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন। উক্ত বিলের অবৈধভাবে পুকুর খননের জন্য এবং পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারনে ফসল ফলানো কষ্টসাধ্য হলেও বর্তমানে অত্র বিলটির মাঝখানে একাধিক পুকুর খননের ফলে বিলের পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা।
.
বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বিলটির পানি প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি হয় যার কারনে উপরে জমিগুলো ফসল,পানবরজ এবং বিলসংলগ্ন গ্রামগুলোর ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ার আষ্ককা রয়েছে।পূর্বে সরকারী খাল দিয়ে পানি নামলেও বর্তমানে অত্র জাহানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খান, বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ প্রাং, শহিদ, এনামুল হকসহ একাধিক ব্যক্তি ফসলী জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে পুকুর খননের ফলে সমগ্র বিল জুড়ে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। যার ফলে বর্তমানে বোরে মৌসুমে ধান রোপণের সময় অতিক্রম হওয়ার পথে অথচ জলাবদ্ধতার কারনে বোরে ধান রোপণ ব্যাহত এবং সাধারণ কৃষকগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
.
জাহানাবাদ গ্রামের ভুক্তভোগী রস্তুম আলী মন্ডল বলেন, চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খান ও সামাদ প্রাং সাহেব পানি চলাচলের মুখ বন্ধ করে বড়বিলা বিলে সরকারি খাল বন্ধ করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করায় উজানের পানি আটকে গিয়ে গত বর্ষাকালে শতাধিক একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গত ২ বছরে এই এলাকার কৃষকের প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যদি কয়েক দিনের মধ্যে এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা না হয় তাহলে এ বছরও কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বড়বিলার জলাবদ্ধতা নিরসন এবং খাল খননের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে জীবন জীবিকার পথ সুগম করে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।
.
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।