পোড়াদহ মেলায় লাখ টাকার বাঘাইড়, সাড়ে ২৫ হাজার টাকার কাতলা
- Update Time : ০৫:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / 176
বগুড়ায় ঐতিহাসিক পোড়াদহ মেলায় এক বাঘাইড় মাছের দাম লাখ টাকা। মেলায় মাছটি দেখতে ভিড় করেছেন ক্রেতারা।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পোড়াদহ মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ মেলায় উঠেছে। বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইড়, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেলসহ আরও অনেক প্রজাতির মাছ। মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মেলায় সবচেয়ে বড় মাছ ছিল ৬৫ কেজি ওজনের বাঘাইড়। মহিষাবান এলাকার মোস্তাফিজার রহমান মাছটির দাম চেয়েছেন এক লাখ টাকা। এছাড়াও ১৫ কেজি ওজনের বোয়াল মাছের দাম প্রতি কেজি ১৭০০ টাকা হিসাবে ২৫৫০০ টাকা, বৃগেড ৪০০ টাকা কেজি, কাতলা ৩৫০ টাকা, ব্লাক কার্প ৬০০ ও রুই ৪০০ টাকা কেজি করে দাম হাঁকছেন।
জানা গেছে, মাছ বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা। তবে এটা কেবল শুধু মাছ মেলাই নয় বরং তার চেয়েও বেশি কিছু। নামে মাছ মেলা হলেও কী নেই মেলায়। বড় বড় আর লোভনীয় মাছের বিশাল সংগ্রহ, বড় বড় মিষ্টি, সংসারের যাবতীয় আসবাপত্র, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, পালাগান সবই রয়েছে মেলায়।
প্রতি বছরের শীতের শেষে অনুষ্ঠিত হয় পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছ মেলা। গাবতলি উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পোড়াদহ বটতলা (গোলাবাড়ী) এলাকায় এ মেলার আয়োজন করা হয়।
প্রতি বাংলা মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবার অথবা ফাগুন মাসের প্রথম বুধবার এ মেলা শুরু হয়। মেলার দিন বুধবারের পরদিন বৃহস্পতিবার বসে ‘বৌ’ মেলা।
মেলায় এসেছেন আলম হোসেন। তিনি বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার মেলায় বড় মাছ উঠেনি। বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি, সামর্থ্য অনুযায়ী মাছ নিয়েই বাড়ি ফিরব।’
মেলায় মাছের দরদাম করছেন বেলাল। কয়েকটা মাছের দোকান ঘুরেও তার মাছ কেনা হচ্ছে না। কোনটা দামে আবার কোনোটা মনে মিলছে না। বেলাল বলেন, ‘মেলায় মাছ কিনবো বলে মাস দুয়েক আগেই কিছু টাকা রেখেছি। দেখছি, পছন্দ হলেই কিনবো। ওদিকে বাড়িতে সবাই অপেক্ষা করছে।’
স্থানীয়রা ও মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, অনেক মাছচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বিক্রির জন্য মাছ বড় করেন। মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদী থেকে বাঘাইড়, আইড় ইত্যাদি মাছ ধরে পুকুরে বা জলাশয়ে বেঁধে রাখা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রাম-গঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে আমন্ত্রণ করেন ও বড় মাছ দিয়ে আপ্যায়ন করেন।