আলোচিত এই হত্যা মামলার আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন- আনসার আল ইসলামের আট সদস্য। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক। গত ২৩শে ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
.
নিহত দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এ বিষয়ে বলেছেন, “আমি হিংসা-প্রতিহিংসা বুঝি না। তবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিচার হওয়া দরকার। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।”
.
পুলিশের তদন্ত বলছে, একের পর এক লেখক-ব্লগার-প্রকাশক-অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হত্যার মূলহোতা আনসার আল ইসলামের সামরিক কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা বরখাস্ত মেজর জিয়া। তার কোন সন্ধান পাচ্ছে না গোয়েন্দারা।
.
উল্লেখ্য, লেখক-ব্লগার-অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উপর ধরাবাহিক হামলার সময় ২০১৫ সালের ৩১শে অক্টোবর রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন ও লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুলকে হত্যার জন্য দুটি আলাদা দল পাঠায় জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম। এসময় দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা, আর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান টুটুল।
তিন বছর তদন্ত করে দীপন হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। জঙ্গিদের হাতে নিহত আরেক বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করাই দীপন হত্যার কারণ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ দুই আসামিকে পলাতক দেখিয়ে আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।