চাঁদপুরে প্রথম করোনা টিকা নিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েলসহ ১০জন।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে করোনা টিকাদান কেন্দ্রে তিনি এই টিকা গ্রহণ করেন। এর আগে সকাল ১০টায় চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এই দিন পৌর মেয়র ছাড়াও আরো যে ৯জন প্রথমে টিকা গ্রহণ করবেন তারা হলেন, ২৫০ শয্যার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের নার্স ফেরদৌসী জাহান লাভলী, ২৫০ শয্যার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের করোনা ফোকাল পারসন ও আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা রুবেল, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, সিভিল সার্জন মো. সাখাওয়াত উল্লাহ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী মাসুম, মুক্তিযোদ্ধা মুনির আহমেদ ও চাঁদপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক মো.সহিদ উল্লাহ।
জানা যায়, নিকট অতিতেও মহামারী করোনার ভ্যাকসিন বা টিকার জন্যে গোটা বিশ্ব হাহাকার করেছে। ওই ক্রান্তিকালে এমনও ছিলো যে, নিজের আপনজনকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে একটি ভ্যাকসিনের জন্যে অনেকেই কোটি কোটি টাকা খরচ করতেও প্রস্তুত ছিলে।
ভালো খবর হলো, ইতোমধ্যেই করোনার টিকা আবিষ্কার হয়েছে এবং আমাদের দেশেও তা এসে গেছে। অথচ কেউ কেউ করোনার টিকি নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে, মসকারা করছে। টিকা নিতে মানুষকে নিরুৎসাহীত করছে। ফলে টিকা নিতে মানুষকে উৎসাহ দিতে, সাহস যোগাতে সরকারি কর্মকর্তা, চিকিৎসাক, নার্স এবং জনপ্রতিনিধিই সবার আগে এগিয়ে এসসেছে।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, চাঁদপুরে প্রথমবার ১০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ‘নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ভয়ভীতিকে তোয়াক্কা না করে আমি এই টিকা দেব। আমার দেখাদেখি আমার চাঁদপুরের সবাই এই টিকা দিতে আগ্রহী হবেন।’
প্রথম টিকা দেবেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমাকে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস থেকে টিকা দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়। এতে আমি ভীত নই। অনেক খুশি। আমি টিকা নেওয়ার পর সবাইকে টিকা দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করব। পরামর্শ দেব।’
উল্লেখ,জেলায় ২৬ লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে করোনাভাইরাসের টিকা এসেছে ৩২ হাজার।