রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোডে অবস্থিত রাপা প্লাজায় ‘রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্স’ নামক একটি স্বর্ণের দোকানসহ তিনটি দোকানে তালা ভেঙে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্স থেকে প্রায় ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ২ লাখ টাকা, জেন্টেল পার্ক নামক পোষাক বিক্রির দোকান থেকে কয়েক লাখ টাকা এবং আরও একটি দোকান থেকে কয়েক লাখ টাকা লুট করেছে ডাকাত দল।
রোববার সকাল ৯ টার দিকে মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মীদের ফোন পেয়ে দোকান মালিকরা ডাকাতির ঘটনা জানতে পারেন।
রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্সের মালিক মহাদেব কর্মকারের ছোট ভাই অমিত সাহা জানান, সকালে মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মীদের ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। মার্কেটে গিয়ে দেখতে পান, তাদের দোকানের ১৩/১৪ টি তালা সামনের মেঝেতে পড়ে আছে। তালাগুলো ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে খোলা হয়েছে। সার্টার ও কলাবসিবল গেট অর্ধেক খোলা। দোকানের ভিতরে ডিসপ্লে সেলফগুলো তছনছ করা হয়েছে। ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। দোকান থেকে প্রায় ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ২ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দোকানের ভেতর সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেটির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাত ২ টার দিকে ৩ জন মুখোশ পরিহিত ডাকাত দল দোকানের ভিতর প্রবেশ করে। তাদের হাতে ছিলো শাবল, স্লাইরেঞ্জ, হাতুড়ি। এসব দিয়ে তারা ডিসপ্লে সেলফগুলো তছনছ করে। রাত আড়াইটা পর্যন্ত দোকানের ভেতরে থেকে লুট করে। এরপর চলে যায়।
জুয়েলার্সের মালিক মহাদেব কর্মকার সাংবাদিকদের বলেন, রাপা প্লাজার দোতলায় আমার দোকান। শনিবার রাতে কর্মচারীরা দোকান বন্ধ করে চলে যায়। সকালে আমাকে মার্কেট থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, দোকানে ডাকাতি হয়েছে। তালাভেঙে ও খুলে স্বর্ণ নিয়েছে। আমার প্রায় ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, মার্কেটের ভেতরে ও বাইরে সবসময় নিরাপত্তাকর্মীরা থাকেন। এত নিরাপত্তার মধ্যেও কীভাবে তারা ঢুকলো, মার্কেটের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার সাইফুর রহমান এই ডাকাতির ঘটনা সব জানে। কিছু তালা খুলে ফেলেছে। এগুলোর হয়তো চাবি বানানো হয়েছিলো। মার্কেটের সিসি ক্যামেরাগুলো টিস্যু ও স্কচটেপ দিয়ে আটকিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব পরিকল্পিতভাবেই ডাকাতি করা হয়েছে।
প্রকৌশলী সাইফুর রহমান বলেন, মার্কেটের জেন্টেলপার্ক, মুনসুন রেইন ও রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্সে ডাকাতি হয়েছে। জুয়েলার্সের দোকানের স্বর্ণের ভোল্ট ভাঙতে পারেনি ডাকাতরা। বাইরে যে স্বর্ণ ছিল, সেগুলো নিয়েছে হয়তো। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছে। তারা তদন্ত করে দেখছে।
তিনি বলেন, মার্কেটের বাইরে সবসময় নিরাপত্তাকর্মীরা থাকেন। রাতে সবাই বের হওয়ার পর নিরাপত্তাকর্মীরা মার্কেটটি লক করে দেয়। চোর হয়তো গ্রিল কেটে ঢুকেছে। আমরা সেরকম গ্রিল কাটা দেখতে পাচ্ছি।
ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার এসআই কৃষ্ণ কমল রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কর্মকর্তরা গেছেন। তারা বিষয়টি দেখছেন।