শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে, নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় বিএনপি অহেতুক রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বার বার নির্বাচনের কফিনে গণতন্ত্রের মৃতদেহ উপহার দিয়েছে। তাদের কর্মসূচি মানেই সন্ত্রাস ও সহিংসতা ছড়ানো। জনমানুষের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন আবার সহিংস হয়ে ওঠার অপচেষ্টা করছে, কিন্তু জনগণ সচেতন রয়েছে। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে স্থিতিশীলতা, করোনার অভিঘাত কাটিয়ে প্রতিটি খাতে ফিরতে শুরু করছে চাঞ্চল্য। বিএনপি নির্বাচনেের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলো, সেই ফ্রন্ট ছিলো ক্ষমতা ভাগাভাগির ফ্রন্ট। পারস্পরিক অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতায় কাদা ছোঁড়াছুড়ি, আর একজন আরেকজনকে বহিস্কারই সে ফ্রন্টের সফলতা ছিলো। এখন আবার তারা জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। আসলে বিএনপির নেতৃত্বে মোর্চা গঠন জাতীয় ঐক্যের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতা ভাগাভাগির ফ্রন্ট।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ চলমান রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পটপরিবর্তন এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর সরকার দৃষ্টি রাখছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতির গভীরতা অনুভব করে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে চলমান তৎপরতা আরো বেগবান করবে। বাংলাদেশ আর কতকাল এ বোঝা বহন করবে?
একটি মহল করোনার টিকা নিয়ে এখনো সংশয় সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের কথা কানে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরো জানান, টিকার নেতিবাচক কোন প্রতিক্রিয়া এখনে পাওয়া যায়নি। তাই সকলকে উৎসাহের সাথে টিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সভা-সমাবেশ, প্রতিনিধি সভা ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি এসকল কর্মসূচি পালনে মূলদলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সহযোগী সংগঠনগুলোকেও ঘোষিত কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।