ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়া হবে: ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

  • Update Time : ১০:২৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 161

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ মুসলমান,হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ সকল সম্প্রদায়ের দেশ। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের অনুসারীগণকে নিজ নিজ ধর্ম পালনে সরকার সমসুযোগ দিয়ে থাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে সংবিধান উপহার দিয়েছেন। তাঁরইকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণে দেশ পরিচালনা করছেন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করেছেন।মুসলমান,হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম বিভাগের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৩ সালে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিষয়ক অধ্যাদেশ জারির ২৬ বৎসর পর ৫ নভেম্বর ২০০৯ সালে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। সরকার ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে ট্রাস্টের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫ কোটি টাকার এনডাওমেন্ট তহবিল ছাড়পূর্বক ট্রাস্টের নামে ১টি স্থায়ী আমানত করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর বিগত ১০ বছরে ট্রাস্ট তহবিলের মুনাফা থেকে দেশের ৪১৭টি চার্চকে ২ কোটি ১৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, পালক-পুরোহিতদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ০৬টি এবং ছাত্র-যুবকদের নীতি নৈতিকতা বিষয়ক ১৪টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে ৪৪৬ জন পালক-পুরোহিত এবং ৯৬৬ জন ছাত্র-যুবক অংশগ্রহণ করেছে।

তিনি আরও জানান, বিগত ২০১৮ ,২০১৯ ও ২০২০ সালের শুভ বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে সমগ্র বাংলাদেশে গীর্জা/চার্চ/উপাসনালয়গুলোর জন্য খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর অনুকূলে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার বিশেষ অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান যে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত খ্রীস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়নি এবং খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের কল্যাণে কোন উন্নয়ন কার্যক্রম ইতোপূর্বের সরকারগুলো গ্রহণ করেনি।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম, পিএইচডি, অতিরিক্ত সচিব মো. আ: হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ,বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন বিভাগীয় সভাপতি এ কে এম এহসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি-উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি উত্তম শর্মা, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব নির্মল রোজারিও আওয়ামী যুব লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম,চট্টগ্রামের বিভিন্ন গীর্জার পালক-পুরোহিত এবং খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে মতবিনিময় করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়া হবে: ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

Update Time : ১০:২৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ মুসলমান,হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ সকল সম্প্রদায়ের দেশ। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের অনুসারীগণকে নিজ নিজ ধর্ম পালনে সরকার সমসুযোগ দিয়ে থাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে সংবিধান উপহার দিয়েছেন। তাঁরইকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণে দেশ পরিচালনা করছেন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করেছেন।মুসলমান,হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম বিভাগের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৩ সালে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিষয়ক অধ্যাদেশ জারির ২৬ বৎসর পর ৫ নভেম্বর ২০০৯ সালে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। সরকার ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে ট্রাস্টের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫ কোটি টাকার এনডাওমেন্ট তহবিল ছাড়পূর্বক ট্রাস্টের নামে ১টি স্থায়ী আমানত করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর বিগত ১০ বছরে ট্রাস্ট তহবিলের মুনাফা থেকে দেশের ৪১৭টি চার্চকে ২ কোটি ১৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, পালক-পুরোহিতদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ০৬টি এবং ছাত্র-যুবকদের নীতি নৈতিকতা বিষয়ক ১৪টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে ৪৪৬ জন পালক-পুরোহিত এবং ৯৬৬ জন ছাত্র-যুবক অংশগ্রহণ করেছে।

তিনি আরও জানান, বিগত ২০১৮ ,২০১৯ ও ২০২০ সালের শুভ বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে সমগ্র বাংলাদেশে গীর্জা/চার্চ/উপাসনালয়গুলোর জন্য খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর অনুকূলে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার বিশেষ অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান যে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত খ্রীস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়নি এবং খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের কল্যাণে কোন উন্নয়ন কার্যক্রম ইতোপূর্বের সরকারগুলো গ্রহণ করেনি।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম, পিএইচডি, অতিরিক্ত সচিব মো. আ: হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ,বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন বিভাগীয় সভাপতি এ কে এম এহসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি-উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি উত্তম শর্মা, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব নির্মল রোজারিও আওয়ামী যুব লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম,চট্টগ্রামের বিভিন্ন গীর্জার পালক-পুরোহিত এবং খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে মতবিনিময় করেন।