বঙ্গবন্ধুকে সারা বিশ্বে তুলে ধরতে চাই: বাহাউদ্দিন নাছিম

  • Update Time : ১০:১৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 138

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস রেকর্ডে উঠানো হবে। ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে আমরা ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী এই কর্ম এগিয়ে যাচ্ছে।

২১ ফেব্রুয়ারি আমরা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্প কর্মের সব তথ্য গিনেস বুকে পাঠাবো। আমরা চাই মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি তৃণমূলের প্রান্তিক মানুষের কথা বলতেন। তার জন্মশতবর্ষে এটা শ্রেষ্ট কর্ম হবে বলে আমি মনে করি। কারণ ২০১৯ সালে চীনে গড়া হয়েছিল ৭৫ বিঘা জমিতে একটি শস্যচিত্র, যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট।

বগুড়ার শেরপুরের বালিন্দার শস্যচিত্রের আয়তন দাঁড়াচ্ছে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। মোট ১২০ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গড়ে তোলা হচ্ছে। মূল শিল্পকর্মের ক্যানভাস গড়া হচ্ছে ১০০ বিঘা জমিজুড়ে।

এ ধরনের এত বড় শস্যচিত্র বিশ্বের আর কোনো স্থানে হয়নি। শস্যর ক্যানভাসে জাতির পিতার মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে দুধরনের ধানের চারা ব্যবহার হচ্ছে। আমরা চাই এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সারা বিশ্বে তুলে ধরতে।

তিনি আরও বলেন, ধানের চারা চীন থেকে নেওয়া হয়েছে। বেগুনি ও সবুজ রঙের হাইব্রিড ধানের চারা উৎপাদন করা হয়েছে। চারা রোপনের পর থেকে ধান পাকার আগ পর্যন্ত নানা রূপ ধারণ করবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’। ১৪৫ দিনে এই ধান ঘরে ওঠবে। একটি সবুজাভ সোনালি আর অন্যটি বেগুনি রঙের। প্রায় তিন হাজার মণ ধান পাবো। এই ধান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে রচিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নিয়ে এক নতুন ইতিহাস।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় দেশের কৃষকের ভাগ্যেন্নয়নে কাজ করেছেন। কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে কৃষকের অধিকার হরন করেন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। তাদের কারণে সার-বিজ সহ কৃষি উৎপাদনের সকল উপকরণ থেকে প্রতিটি কৃষক বঞ্চিত হয়েছেন।

দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও তারা কৃষি পণ্য সংগ্রহ করতে পারিনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাড়িয়েছে।

আজ কৃষি উপকরণের জন্য কৃষকদের অপেক্ষা করতে হয় না। এটা একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বের সুফল। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ জাতীয় পরিষদের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় বাহাউদ্দীন নাছিমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মহাসচিব খায়রুল আলম পিন্স, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বঙ্গবন্ধুকে সারা বিশ্বে তুলে ধরতে চাই: বাহাউদ্দিন নাছিম

Update Time : ১০:১৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস রেকর্ডে উঠানো হবে। ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে আমরা ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী এই কর্ম এগিয়ে যাচ্ছে।

২১ ফেব্রুয়ারি আমরা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্প কর্মের সব তথ্য গিনেস বুকে পাঠাবো। আমরা চাই মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি তৃণমূলের প্রান্তিক মানুষের কথা বলতেন। তার জন্মশতবর্ষে এটা শ্রেষ্ট কর্ম হবে বলে আমি মনে করি। কারণ ২০১৯ সালে চীনে গড়া হয়েছিল ৭৫ বিঘা জমিতে একটি শস্যচিত্র, যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট।

বগুড়ার শেরপুরের বালিন্দার শস্যচিত্রের আয়তন দাঁড়াচ্ছে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। মোট ১২০ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গড়ে তোলা হচ্ছে। মূল শিল্পকর্মের ক্যানভাস গড়া হচ্ছে ১০০ বিঘা জমিজুড়ে।

এ ধরনের এত বড় শস্যচিত্র বিশ্বের আর কোনো স্থানে হয়নি। শস্যর ক্যানভাসে জাতির পিতার মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে দুধরনের ধানের চারা ব্যবহার হচ্ছে। আমরা চাই এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সারা বিশ্বে তুলে ধরতে।

তিনি আরও বলেন, ধানের চারা চীন থেকে নেওয়া হয়েছে। বেগুনি ও সবুজ রঙের হাইব্রিড ধানের চারা উৎপাদন করা হয়েছে। চারা রোপনের পর থেকে ধান পাকার আগ পর্যন্ত নানা রূপ ধারণ করবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’। ১৪৫ দিনে এই ধান ঘরে ওঠবে। একটি সবুজাভ সোনালি আর অন্যটি বেগুনি রঙের। প্রায় তিন হাজার মণ ধান পাবো। এই ধান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে রচিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নিয়ে এক নতুন ইতিহাস।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় দেশের কৃষকের ভাগ্যেন্নয়নে কাজ করেছেন। কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে কৃষকের অধিকার হরন করেন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। তাদের কারণে সার-বিজ সহ কৃষি উৎপাদনের সকল উপকরণ থেকে প্রতিটি কৃষক বঞ্চিত হয়েছেন।

দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও তারা কৃষি পণ্য সংগ্রহ করতে পারিনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাড়িয়েছে।

আজ কৃষি উপকরণের জন্য কৃষকদের অপেক্ষা করতে হয় না। এটা একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বের সুফল। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ জাতীয় পরিষদের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় বাহাউদ্দীন নাছিমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মহাসচিব খায়রুল আলম পিন্স, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।