জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

  • Update Time : ১০:২৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 138

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন।
.
“সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক ৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২১’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
.
গ্রন্থাগার হচ্ছে জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র যা মানুষকে অশিক্ষা-কুশিক্ষা, অন্ধত্ব থেকে মুক্ত করে আলোর পথে পরিচালিত করে। মানব সভ্যতার সুদীর্ঘ পরিক্রমায় মানুষের চিন্তা-চেতনা, মননশীলতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, বুদ্ধিবৃত্তিকে বিকশিত করে একটি আধুনিক, প্রগতিশীল এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে গ্রন্থাগার অপরিসীম ভূমিকা রেখে চলেছে।
বিশ্বব্যাপী তথ্য-প্রযুক্তির প্রসারের ফলে জ্ঞানার্জনের অন্যতম সামাজিক প্রতিষ্ঠান গ্রন্থাগারের সেবা কার্যক্রমে অভূতপূর্ব গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে।
.
গণগ্রন্থাগারে পাঠকসেবা, তথ্যসেবা, গবেষণা কার্যক্রমসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য সেবা প্রাপ্তির সুবিস্তৃত সুযোগ থাকায় গণগ্রন্থাগার এখন যথাথই জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত। তথ্য-প্রযুক্তির বহুমুখী বিকাশের ফলে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির অতি ব্যবহার মানুষের মননশীলতা এবং সৃজনশীলতাকে ব্যাহত করে তাকে যান্ত্রিকতার মাঝে আবদ্ধ করে রাখছে। শিশু-কিশোরসহ সমগ্র জাতিকে এই যান্ত্রিকতার রুদ্ধতা হতে মুক্ত করে চিন্তা-চেতনা, মনন, মানস, মূল্যবোধের যথার্থ বিকাশ ঘটানোর জন্য গ্রন্থাগারমুখী হতে উৎসাহিত করতে হবে।
.
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ আজ এক অপার সম্ভাবনার নাম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার রোধ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তভুর্ক্ত হওয়ার স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য প্রয়োজন একটি সুশিক্ষিত ও আধুনিক চিন্তা-চেতনায়সমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক জাতি। ‘মুজিববর্ষ’ ও আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ যুগসন্ধিক্ষণে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদ্যাপন তরুণ প্রজন্মকে গ্রন্থাগারমুখী হতে অনুপ্রাণিত করবে এবং আলোকিত জাতি গঠনে অবদান রাখবে- এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
আমি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

Update Time : ১০:২৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন।
.
“সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক ৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২১’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
.
গ্রন্থাগার হচ্ছে জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র যা মানুষকে অশিক্ষা-কুশিক্ষা, অন্ধত্ব থেকে মুক্ত করে আলোর পথে পরিচালিত করে। মানব সভ্যতার সুদীর্ঘ পরিক্রমায় মানুষের চিন্তা-চেতনা, মননশীলতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, বুদ্ধিবৃত্তিকে বিকশিত করে একটি আধুনিক, প্রগতিশীল এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে গ্রন্থাগার অপরিসীম ভূমিকা রেখে চলেছে।
বিশ্বব্যাপী তথ্য-প্রযুক্তির প্রসারের ফলে জ্ঞানার্জনের অন্যতম সামাজিক প্রতিষ্ঠান গ্রন্থাগারের সেবা কার্যক্রমে অভূতপূর্ব গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে।
.
গণগ্রন্থাগারে পাঠকসেবা, তথ্যসেবা, গবেষণা কার্যক্রমসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য সেবা প্রাপ্তির সুবিস্তৃত সুযোগ থাকায় গণগ্রন্থাগার এখন যথাথই জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত। তথ্য-প্রযুক্তির বহুমুখী বিকাশের ফলে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির অতি ব্যবহার মানুষের মননশীলতা এবং সৃজনশীলতাকে ব্যাহত করে তাকে যান্ত্রিকতার মাঝে আবদ্ধ করে রাখছে। শিশু-কিশোরসহ সমগ্র জাতিকে এই যান্ত্রিকতার রুদ্ধতা হতে মুক্ত করে চিন্তা-চেতনা, মনন, মানস, মূল্যবোধের যথার্থ বিকাশ ঘটানোর জন্য গ্রন্থাগারমুখী হতে উৎসাহিত করতে হবে।
.
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ আজ এক অপার সম্ভাবনার নাম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার রোধ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তভুর্ক্ত হওয়ার স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য প্রয়োজন একটি সুশিক্ষিত ও আধুনিক চিন্তা-চেতনায়সমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক জাতি। ‘মুজিববর্ষ’ ও আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ যুগসন্ধিক্ষণে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদ্যাপন তরুণ প্রজন্মকে গ্রন্থাগারমুখী হতে অনুপ্রাণিত করবে এবং আলোকিত জাতি গঠনে অবদান রাখবে- এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
আমি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা।