স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে ফৌজদারি আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল ওসমান এই রায় দেন।
বিদেশে বাংলাদেশি কোনো আইন প্রণেতার এটিই প্রথম কোনো দণ্ড। কুয়েত কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ওই দেশটিতে পাপুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনও তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ এনেছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর পাপুলের পরিবারের ৮টি ব্যাংকের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব, ৩০ একরের বেশি জমি, গুলশানের ফ্ল্যাটসহ দেশে থাকা সম্পদ জব্দ করে দুদক। ১১ নভেম্বর অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমপি পাপুল, তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানকে আসামি করে মামলা করে দুদক।
এছাড়া গত ২৬শে জানুয়ারি পাপুলের সম্পদের তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কুয়েতে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কুয়েতে থাকা পাপুলের কোম্পানি, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাবের তথ্য ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বছরের ৬ই জুন রাতে পাপুলকে তার কুয়েতের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে ওই দেশের কারাগারেই আছেন পাপুল। পাপুলের বিরুদ্ধে মানব ও অর্থপাচার, ঘুষ লেনদেন ও শ্রমিক শোষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাপুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতার অভিযোগে কুয়েতের দুই পার্লামেন্ট সদস্য সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদ, জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে চারজনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।