শীতলক্ষ্যা তীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ চলবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

  • Update Time : ১২:২৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / 147

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম ও সীমানা পিলার স্থাপনসহ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, মেইন সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে। জরিপ করার দরকার হলে সিএস নকশা অনুযায়ী সেটিও করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় সিএসডি গুদাম থেকে ডিইপিটিসি পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ’ সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জমি লিজ নিয়ে যারা লিজের শর্ত ভঙ্গ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার শক্ত অবস্থানে আছে।

এর আগে, ২০১০ সালেই ৯ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর এলাকায় ৫ হাজার ২৩৭টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২৬০ দশমিক ৪ একর জমি উদ্ধার, ৬৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ কোটি ২২ লাখ ৯৪ হাজার টাকার পণ্য নিলাম করা হয়েছে।

সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, বনায়ন, ইকোপার্ক নির্মাণ সংক্রান্ত (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে মোট ২ হাজার ৪০০টি পিলার স্থাপনের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৫ জুলাই থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২ হাজার ৪০০টি পিলারের মধ্যে ১ হাজার ১৭৫টি পিলারের লেআউট দেওয়া হয়। এর মধ্যে দৃশ্যমান পিলার সংখ্যা ২৬৬টি, আংশিক নির্মাণাধীন পিলারের সংখ্যা ৬৩১টি, বাকিগুলোর কাজ চলমান।

নারায়ণগঞ্জের এনায়েতনগর, গঙ্গাকুল ‘ম’ খণ্ড ও একরামপুর মৌজায় ৫৭টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে পাকা আবাসিক ২৭টি, আধাপাকা আবাসিক ১১টি, পাকা দোকান ৭টি, আধাপাকা মার্কেট তিনটি, আধাপাকা দোকান ঘর আটটি, আধাপাকা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একটি।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল আলম এবং নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


শীতলক্ষ্যা তীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ চলবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

Update Time : ১২:২৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম ও সীমানা পিলার স্থাপনসহ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, মেইন সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে। জরিপ করার দরকার হলে সিএস নকশা অনুযায়ী সেটিও করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় সিএসডি গুদাম থেকে ডিইপিটিসি পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ’ সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জমি লিজ নিয়ে যারা লিজের শর্ত ভঙ্গ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার শক্ত অবস্থানে আছে।

এর আগে, ২০১০ সালেই ৯ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর এলাকায় ৫ হাজার ২৩৭টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২৬০ দশমিক ৪ একর জমি উদ্ধার, ৬৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ কোটি ২২ লাখ ৯৪ হাজার টাকার পণ্য নিলাম করা হয়েছে।

সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, বনায়ন, ইকোপার্ক নির্মাণ সংক্রান্ত (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে মোট ২ হাজার ৪০০টি পিলার স্থাপনের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৫ জুলাই থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২ হাজার ৪০০টি পিলারের মধ্যে ১ হাজার ১৭৫টি পিলারের লেআউট দেওয়া হয়। এর মধ্যে দৃশ্যমান পিলার সংখ্যা ২৬৬টি, আংশিক নির্মাণাধীন পিলারের সংখ্যা ৬৩১টি, বাকিগুলোর কাজ চলমান।

নারায়ণগঞ্জের এনায়েতনগর, গঙ্গাকুল ‘ম’ খণ্ড ও একরামপুর মৌজায় ৫৭টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে পাকা আবাসিক ২৭টি, আধাপাকা আবাসিক ১১টি, পাকা দোকান ৭টি, আধাপাকা মার্কেট তিনটি, আধাপাকা দোকান ঘর আটটি, আধাপাকা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একটি।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল আলম এবং নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।