স্বামীর মৃত্যুর ১৪ বছরেও বিধবাভাতা পায়নি নবাবগঞ্জের মনোয়ারা
- Update Time : ০৭:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১
- / 134
সোবহান আলম,নবাবগঞ্জ:
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে স্বামী মৃত্যুর ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও বিধবা ভাতা পায়নি অতিদরিদ্র অসহায় মনোয়ারা বেগম(৬০)। মনোয়ারা বেগম উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মৃত জমুর উদ্দিন স্ত্রী। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া মনোয়ারা বেগমের বিবাহ হয় ঐ গ্রামের কৃষি শ্রমিক দিন মজুর জমুর উদ্দিনের সাথে।
.
জমির উদ্দিন ভুমিহীন অতিদরিদ্র। নিজের কোন বাড়ী ঘর নেই। অন্যের জমিতে টাটিবেড়ার ঘর বানিয়ে কোনরকমে বসবাস করতেন। সংসার জীবনে তাদের ৪ মেয়ে ২ ছেলের জন্ম হয়। অভাব থাকলেও ভালই চলছিল তাদের সংসার কিন্তু ২০০৭ সালে কৃষি কাজ করতে গিয়ে হটাৎ অসুস্থ্য হয়ে মারা যান স্বামী জমুর উদ্দিন।
.
একমাত্র উপার্জনকারী স্বামী মারা যাওয়ায় সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন অসহায় মনোয়ারা বেগম। অন্যের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে তিনি সংসার চালাতে শুরু করেন। কথা হয় মনোয়ারার সাথে জানতে চাওয়া সরকারি সুবিধা তিনি পেয়েছেন কি না? তিনি আক্ষেপ করে বলেন- স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বিধবা ভাতার পাবার জন্য তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন চেয়ারম্যান মেম্বার সকলের দারে দারে ঘুরেছেন। কিন্তু কেউ তার কষ্টের কথা শুনে নাই। স্বামী মৃত্যুর ১৪ বছর অতিবাহিত হলেও আজও মেলেনি বিধবা ভাতা। তিনি বলেন তার গ্রামেই তার চেয়েও অনেক স্বচ্ছল মহিলাও বিধবা ভাতা পেয়েছেন। ২ বছর আগে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ২ হাজার টাকাও তিনি দিয়েছেন। তার পরেও পাননি সরকারী সুবিধা।
.
এ বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, “আমি মনোয়ারার কাছে টাকা চায়নি, তিনি আমার কাছে জোরকরে ২ হাজার টাকা রেখে গেছেন। আমি চেষ্টা করছি সামনে বরাদ্দ আসলে মনোয়ারাকে ভাতার আওতায় আনা হবে”।
.
মনোয়ারার প্রতিবেশী লিপি বেগম, জানান- মনোয়ারা খুব অসহায় নারী। আমরা গ্রামের লোকেরা সহযোগিতা করে তার মেয়েদের বিয়ে দিয়েছি। তার জমি নেই, বাড়ী নেই, সে যে ঘরে বসবাস করে শীতে ও বর্ষাতে থাকা খুবই কষ্টকর। এর চেয়ে ভাল ঘরে মানুষের গরু ছাগল থাকে।
.
এ বিষয়ে ইউ,পি চেয়ারম্যান মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা, আগামীতে তাকে ভাতার আওতায় আনা হবে।
.
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন- বিষয়টি দুঃখ জনক। দ্রুত তাকে সরকারী সহযোগিতার আওতায় আনা হবে।
Tag :