এমপিরা নাইটক্লাবে যাওয়ায় ক্ষমা চাইলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ১২:২৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১
  • / 129

করোনার বিধিনিষেধ না মেনে এমপিরা নাইটক্লাবে যাওয়ায় ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।

করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে বেশি রাতে বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ থাকলেও জাপানের ক্ষমতাসীন জোটের কয়েকজন আইনপ্রণেতা সেই নির্দেশ মানেননি৷ খবর জাপান টাইমস ও ডয়েচে ভেলের।

হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জাপান সরকার মহামারীটির বিস্তার রোধে জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷

তবে ক্ষমতাসীন জোটের একাধিক সাংসদকে গভীর রাতে দেখা গেছে নাইটক্লাবে৷ তাই বিব্রত প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, এ ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত৷

আমি জনগণকে রাত ৮টার পর বাইরে না খেতে এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করছি৷ আইনপ্রণেতাদের সবাইকে জনগণের মনোভাব বুঝতে হবে৷

করোনার তীব্র সংক্রমণ ঠেকাতে এ মাসে টোকিওসহ অন্য অঞ্চলেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ বার এবং রেস্তোরাঁগুলো রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও নিয়ম অমান্যকারীদের জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই৷

ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রবীণ আইনপ্রণেতা মাৎসুমোতো টোকিওর দুটি নাইটক্লাবে গিয়েছিলেন৷ আরেক আইনপ্রণেতা কিয়োহিকো শুক্রবার রাতে একটি নাইটক্লাবে যাওয়ার কথা জানান৷

এ ঘটনা নিয়ে টুইটারেও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ একজন লিখেছেন– জনগণের ক্ষোভে ফেটে পড়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার৷ আমি চাই তারা পদত্যাগ করুক৷

আরেকজন টুইট করেছেন, তারা আসলেই বোকা। তাদের কি ধারণা- জনগণ তাদের কার্যকলাপ বুঝতে পারে না? যদি তা ভেবে থাকেন, তা হলে তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার অযোগ্য৷

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এমপিরা নাইটক্লাবে যাওয়ায় ক্ষমা চাইলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ১২:২৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১

করোনার বিধিনিষেধ না মেনে এমপিরা নাইটক্লাবে যাওয়ায় ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।

করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে বেশি রাতে বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ থাকলেও জাপানের ক্ষমতাসীন জোটের কয়েকজন আইনপ্রণেতা সেই নির্দেশ মানেননি৷ খবর জাপান টাইমস ও ডয়েচে ভেলের।

হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জাপান সরকার মহামারীটির বিস্তার রোধে জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷

তবে ক্ষমতাসীন জোটের একাধিক সাংসদকে গভীর রাতে দেখা গেছে নাইটক্লাবে৷ তাই বিব্রত প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, এ ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত৷

আমি জনগণকে রাত ৮টার পর বাইরে না খেতে এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করছি৷ আইনপ্রণেতাদের সবাইকে জনগণের মনোভাব বুঝতে হবে৷

করোনার তীব্র সংক্রমণ ঠেকাতে এ মাসে টোকিওসহ অন্য অঞ্চলেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ বার এবং রেস্তোরাঁগুলো রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও নিয়ম অমান্যকারীদের জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই৷

ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রবীণ আইনপ্রণেতা মাৎসুমোতো টোকিওর দুটি নাইটক্লাবে গিয়েছিলেন৷ আরেক আইনপ্রণেতা কিয়োহিকো শুক্রবার রাতে একটি নাইটক্লাবে যাওয়ার কথা জানান৷

এ ঘটনা নিয়ে টুইটারেও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ একজন লিখেছেন– জনগণের ক্ষোভে ফেটে পড়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার৷ আমি চাই তারা পদত্যাগ করুক৷

আরেকজন টুইট করেছেন, তারা আসলেই বোকা। তাদের কি ধারণা- জনগণ তাদের কার্যকলাপ বুঝতে পারে না? যদি তা ভেবে থাকেন, তা হলে তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার অযোগ্য৷