সুন্দরগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বধ্যভূমি যেন ময়লার ভাগাড়!

  • Update Time : ০৪:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / 132
এনামুল হক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বধ্যভূমি তথা নির্মাণাধীন পার্ক এলাকায় প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এ যেন ময়লার ভাগাড়। আবর্জনার স্তুপ অপসারণের উদ্যোগ নেই কারও। এসব ময়লা-আবর্জনার ফলে মশা-মাছির উপদ্রব যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ।
.
উপজেলা প্রশাসন এর দায় পৌরসভার কর্তৃপক্ষের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। জানা যায়, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বধ্যভূমিতে ছড়িয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা।
.
প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে বিনোদনের জন্য পার্কে সময় কাটানোর জন্য এখানে ঘুরতে আসেন মানুষজন। সময় কাটাতে এসে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে যায় তারা। আবর্জনার দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। পৌর শহরে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন বধ্যভূমিতে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আবর্জনাও প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ পৌর শহরে এতদিনেও ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোন জায়গা না করার কারণে যত্রতত্র ময়লা ফেলে স্তুপ করা হচ্ছে।
.
ইতোপূর্বে অনেকবার উপজেলা প্রশাসনের সাথে এবিষয়ে কথা বলেও কোন সমাধান হয়নি। স্থানীয়রা জানায়, ‘শীতকাল চলছে, তারপরও ময়লার দুর্গন্ধে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বধ্যভূমিতে থাকতে পারছি না। মানুষের খুবই সমস্যা হচ্ছে। পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।’
.
উপজেলার সচেতন মহলের প্রশ্ন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় ময়লার ভাগাড় তৈরী হলেও এগুলো অপসারণে কর্তৃপক্ষ কেন নিশ্চুপ? তারা মনে করেন, যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে না ফেলে আপাতত কোথাও একটা নির্দিষ্ট বড় গর্ত করে যদি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়, তাহলে কিছুটা হলেও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
.
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘ময়লা অপসারণের দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের। নব-নির্বাচিত মেয়র শপথ নিলে ওনার সাথে কথা বলে ময়লা অপসারণের ব্যবস্থা করবো।’
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সুন্দরগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বধ্যভূমি যেন ময়লার ভাগাড়!

Update Time : ০৪:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১
এনামুল হক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বধ্যভূমি তথা নির্মাণাধীন পার্ক এলাকায় প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এ যেন ময়লার ভাগাড়। আবর্জনার স্তুপ অপসারণের উদ্যোগ নেই কারও। এসব ময়লা-আবর্জনার ফলে মশা-মাছির উপদ্রব যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ।
.
উপজেলা প্রশাসন এর দায় পৌরসভার কর্তৃপক্ষের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। জানা যায়, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বধ্যভূমিতে ছড়িয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা।
.
প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে বিনোদনের জন্য পার্কে সময় কাটানোর জন্য এখানে ঘুরতে আসেন মানুষজন। সময় কাটাতে এসে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে যায় তারা। আবর্জনার দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। পৌর শহরে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন বধ্যভূমিতে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আবর্জনাও প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ পৌর শহরে এতদিনেও ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোন জায়গা না করার কারণে যত্রতত্র ময়লা ফেলে স্তুপ করা হচ্ছে।
.
ইতোপূর্বে অনেকবার উপজেলা প্রশাসনের সাথে এবিষয়ে কথা বলেও কোন সমাধান হয়নি। স্থানীয়রা জানায়, ‘শীতকাল চলছে, তারপরও ময়লার দুর্গন্ধে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বধ্যভূমিতে থাকতে পারছি না। মানুষের খুবই সমস্যা হচ্ছে। পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।’
.
উপজেলার সচেতন মহলের প্রশ্ন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় ময়লার ভাগাড় তৈরী হলেও এগুলো অপসারণে কর্তৃপক্ষ কেন নিশ্চুপ? তারা মনে করেন, যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে না ফেলে আপাতত কোথাও একটা নির্দিষ্ট বড় গর্ত করে যদি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়, তাহলে কিছুটা হলেও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
.
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘ময়লা অপসারণের দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের। নব-নির্বাচিত মেয়র শপথ নিলে ওনার সাথে কথা বলে ময়লা অপসারণের ব্যবস্থা করবো।’