বিয়ের দুই মাস ১০ দিনের মাথায় সন্তান প্রসব, যা জানালেন সেই নববধূ

  • Update Time : ১২:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / 179

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

বিয়ে হয়েছিল আজ থেকে তিন মাস আগে। সংসারও চলছিল ভালোই। সুখের সংসারে মাত্র তিন মাস পরেই নববধূর কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে পুত্র সন্তান। কিন্তু এই তিন মাসের ব্যবধানে সন্তান প্রসব কিভাবে সম্ভব? এমন রহস্যজনক প্রশ্ন ঘুরছে চুয়াডাঙ্গার ভিমরুল্লা এলাকা থেকে পুরো শহরে। ঘটনা এখানেই শেষ নয় ওই তরুণী হাসপাতালে আসলে বিষয়টি আরো জানাজানি হতে থাকে। একপর্যায়ে হাসপাতালের বেডেই কাতরানো তরুণীর হাতে পৌঁছায় ডিভোর্সের চিঠি।

জানা যায়, মাস তিনেক আগে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হালিমের মেয়ে সোনালী আক্তারের (১৮) সাথে চুয়াডাঙ্গা শহরের ভিমরুল্লা গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে মুস্তাকিন (২০) পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই তারা বেশ ফুরফুরে মেজাজে সংসার করে আসছিল। দাম্পত্য জীবনেও ছিলনা কলহ। তাদের সেই সুখের সংসারে বাঁধ সাধে একটি পুত্র সন্তান।

গতপরশু শনিবার রাত ১২ টার দিকে শশুর বাড়িতে অবস্থানকালে বাথরুমের ভিতরেই একটি পূত্র সন্তানের জন্ম দেয় নববধূ সোনালী। পরে তার শ^শুড় বাড়ীর লোকজন প্রাথমিকভাবে বিষয়টি বুঝতে পেরে সোনালীর পরিবারকে জানায়। সে রাতেই সোনালীর পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নবজাতক ও মা দুজনই হাসপাতালে ভর্তি হলে গতকাল রোববার বিষয়টি আরো জানাজানি হয়।

নববধূর সন্তান প্রসবের খবর দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে শহরের আনাচে কানাচে। এ ঘটনাকে ঘিরে সৃষ্টি হয় নানা আলোচনা-সমালোচনার। এদিকে এ ঘটনার পরই হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সোনালী খাতুনকে গতকাল রবিবার দুপুরে তালাকনামা পাঠায় স্বামী মুস্তাকিন।

নববধূ সোনালীর বাবা আব্দুল হালিমের অভিযোগ, স্বামী মুস্তাকিনের পরিবারের লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ডেকে এনে তাদেরকে নানা ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করে। একপর্যায়ে তালাকনামা নিয়ে এসেও তার মেয়ের কাছ থেকে জোড়পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।

নববধূ সোনালী জানান, কয়রাডাঙ্গা গ্রামের জনৈক এক যুবকের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের আগে থেকেই ওই যুবকের সাথে তার ঘনিষ্ঠতাও ছিল।

স্বামী মুস্তাকিনের বড়ভাই আশরাফুল ইসলাম আলামিন বলেন, ‘জন্ম দেয়া সন্তান আমার ভাইয়ের নয়। আমরা কেন ওই সন্তানের তার দায়ভার নিব। তাই আমরা বাধ্য হয়ে তালাকনামা পাঠিয়েছি।’

তবে এ ব্যাপারে কোন পক্ষ এখনো আইনের দারস্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিয়ের দুই মাস ১০ দিনের মাথায় সন্তান প্রসব, যা জানালেন সেই নববধূ

Update Time : ১২:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

বিয়ে হয়েছিল আজ থেকে তিন মাস আগে। সংসারও চলছিল ভালোই। সুখের সংসারে মাত্র তিন মাস পরেই নববধূর কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে পুত্র সন্তান। কিন্তু এই তিন মাসের ব্যবধানে সন্তান প্রসব কিভাবে সম্ভব? এমন রহস্যজনক প্রশ্ন ঘুরছে চুয়াডাঙ্গার ভিমরুল্লা এলাকা থেকে পুরো শহরে। ঘটনা এখানেই শেষ নয় ওই তরুণী হাসপাতালে আসলে বিষয়টি আরো জানাজানি হতে থাকে। একপর্যায়ে হাসপাতালের বেডেই কাতরানো তরুণীর হাতে পৌঁছায় ডিভোর্সের চিঠি।

জানা যায়, মাস তিনেক আগে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হালিমের মেয়ে সোনালী আক্তারের (১৮) সাথে চুয়াডাঙ্গা শহরের ভিমরুল্লা গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে মুস্তাকিন (২০) পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই তারা বেশ ফুরফুরে মেজাজে সংসার করে আসছিল। দাম্পত্য জীবনেও ছিলনা কলহ। তাদের সেই সুখের সংসারে বাঁধ সাধে একটি পুত্র সন্তান।

গতপরশু শনিবার রাত ১২ টার দিকে শশুর বাড়িতে অবস্থানকালে বাথরুমের ভিতরেই একটি পূত্র সন্তানের জন্ম দেয় নববধূ সোনালী। পরে তার শ^শুড় বাড়ীর লোকজন প্রাথমিকভাবে বিষয়টি বুঝতে পেরে সোনালীর পরিবারকে জানায়। সে রাতেই সোনালীর পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নবজাতক ও মা দুজনই হাসপাতালে ভর্তি হলে গতকাল রোববার বিষয়টি আরো জানাজানি হয়।

নববধূর সন্তান প্রসবের খবর দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে শহরের আনাচে কানাচে। এ ঘটনাকে ঘিরে সৃষ্টি হয় নানা আলোচনা-সমালোচনার। এদিকে এ ঘটনার পরই হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সোনালী খাতুনকে গতকাল রবিবার দুপুরে তালাকনামা পাঠায় স্বামী মুস্তাকিন।

নববধূ সোনালীর বাবা আব্দুল হালিমের অভিযোগ, স্বামী মুস্তাকিনের পরিবারের লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ডেকে এনে তাদেরকে নানা ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করে। একপর্যায়ে তালাকনামা নিয়ে এসেও তার মেয়ের কাছ থেকে জোড়পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।

নববধূ সোনালী জানান, কয়রাডাঙ্গা গ্রামের জনৈক এক যুবকের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের আগে থেকেই ওই যুবকের সাথে তার ঘনিষ্ঠতাও ছিল।

স্বামী মুস্তাকিনের বড়ভাই আশরাফুল ইসলাম আলামিন বলেন, ‘জন্ম দেয়া সন্তান আমার ভাইয়ের নয়। আমরা কেন ওই সন্তানের তার দায়ভার নিব। তাই আমরা বাধ্য হয়ে তালাকনামা পাঠিয়েছি।’

তবে এ ব্যাপারে কোন পক্ষ এখনো আইনের দারস্ত হয়নি বলে জানা গেছে।