বদলে গেল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত

  • Update Time : ১০:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১
  • / 147

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ১৫০ বছরের পুরাতন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত বদলে গেছে। ২০২১ সালের শুরু থেকে এই সংশোধনী কার্যকর করা হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলে।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইনে আগে বলা ছিল – ‘আমরা তরুণ, আমরা মুক্ত’। এই লাইনে পরিবর্তন এনে এখন বলা হচ্ছে -‘আমরা সবাই এক, আমরা মুক্ত’।

এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, জাতি হিসেবে তুলনামূলক নবীন হলেও অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক প্রাচীন ইতিহাস। জাতীয় সংগীতে বদলের ফলে তেমন কিছুই হবে না আবার অনেক কিছুই হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

প্রসঙ্গত, ১৭৮৮ সালে প্রথম ব্রিটেনের জাহাজ অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে নোঙ্গর করে। যার মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে নবীন এই রাষ্ট্রের উত্থান ঘটলেও সেখানে আদিবাসীদের বসবাসের ইতিহাস ৬৫ হাজার বছরের পুরাতন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ঘোষণার পর ২০২১ এর ১ জানুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়ানরা তাঁদের জাতীয় সংগীতের একটি ভিন্ন সংস্করণ গাইবেন। জাতীয় সংগীতে অস্ট্রেলিয়াকে আর ‘ইয়াং অ্যান্ড ফ্রি’ হিসেবে অভিহিত করা হবে না। জাতীয় সংগীতের মধ্যে আদিবাসীদের সুদীর্ঘ ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই পরিবর্তন।

অন্যদিকে, আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আনার দাবি ছিল অনেক দিন থেকেই। কিন্তু, ডানপন্থি রাজনীতিকদের বিরোধিতায় এ পরিবর্তন এতদিন সম্ভব হয়নি।

পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা নানাভাবেই সামাজিক বৈষম্যের শিকার। আদিবাসী শিশু মৃত্যুর হার দেশটিতে বসবাস করা অন্য জাতিগোষ্ঠীর দ্বিগুণ। তাছাড়া, গত তিন দশকে চারশ আদিবাসী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক অবস্থায় মারা গেছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বদলে গেল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত

Update Time : ১০:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ১৫০ বছরের পুরাতন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত বদলে গেছে। ২০২১ সালের শুরু থেকে এই সংশোধনী কার্যকর করা হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলে।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইনে আগে বলা ছিল – ‘আমরা তরুণ, আমরা মুক্ত’। এই লাইনে পরিবর্তন এনে এখন বলা হচ্ছে -‘আমরা সবাই এক, আমরা মুক্ত’।

এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, জাতি হিসেবে তুলনামূলক নবীন হলেও অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক প্রাচীন ইতিহাস। জাতীয় সংগীতে বদলের ফলে তেমন কিছুই হবে না আবার অনেক কিছুই হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

প্রসঙ্গত, ১৭৮৮ সালে প্রথম ব্রিটেনের জাহাজ অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে নোঙ্গর করে। যার মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে নবীন এই রাষ্ট্রের উত্থান ঘটলেও সেখানে আদিবাসীদের বসবাসের ইতিহাস ৬৫ হাজার বছরের পুরাতন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ঘোষণার পর ২০২১ এর ১ জানুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়ানরা তাঁদের জাতীয় সংগীতের একটি ভিন্ন সংস্করণ গাইবেন। জাতীয় সংগীতে অস্ট্রেলিয়াকে আর ‘ইয়াং অ্যান্ড ফ্রি’ হিসেবে অভিহিত করা হবে না। জাতীয় সংগীতের মধ্যে আদিবাসীদের সুদীর্ঘ ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই পরিবর্তন।

অন্যদিকে, আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আনার দাবি ছিল অনেক দিন থেকেই। কিন্তু, ডানপন্থি রাজনীতিকদের বিরোধিতায় এ পরিবর্তন এতদিন সম্ভব হয়নি।

পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা নানাভাবেই সামাজিক বৈষম্যের শিকার। আদিবাসী শিশু মৃত্যুর হার দেশটিতে বসবাস করা অন্য জাতিগোষ্ঠীর দ্বিগুণ। তাছাড়া, গত তিন দশকে চারশ আদিবাসী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক অবস্থায় মারা গেছেন।