তারুণ্যের ভাবনায় বঙ্গবন্ধু

  • Update Time : ০৯:০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০
  • / 227
হাছিবুল বাসার মানিক:
অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ সজ্জিত নদী পাড়ের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী মধ্যবিত্ত শেখ পরিবারে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম নেন বাঙ্গালির জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি ও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রেরও স্রষ্টা।মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তরুণ প্রজন্মের কাছে এক মহান আদর্শ ব্যক্তিত্ব।
.
তিনি তারুণ্যের চোখে অপ্রতিরোধ্য শক্তি ও অনুপ্রেরণার বাতিঘর।তরুণদের কাছে তিনি একাধারে জীবন সংগ্রামের, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ও আদর্শের প্রতীক; অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কারিগর, উদার ব্যক্তিত্ব, সফল রাজনীতিবিদ।অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী, রাজনৈতিক দূরদর্শী নেতা,বাঙালির প্রিয় ভালোবাসার মানুষ, অসাধারণ মেধার অধিকারী বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শন তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন। অমিত আত্মবিশ্বাস,রাজনৈতিক প্রজ্ঞা,প্রগতিশীল নেতৃত্ব, সাধারণের লালিত স্বপ্নের প্রতি অবিচল আস্থা, মানুষের সাথে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণমুখী চিন্তাধারার গুনাবলী বঙ্গবন্ধুকে তরুণ প্রজন্মের কাছে অবিসংবাদিত নেতা করে তুলেছে।তাছাড়া অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারা,ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাব পোষণের ক্ষমতা তাকে একজন খাঁটি বাঙ্গালিরও পরিচয় দিয়েছে।তরুণদের মনে বঙ্গবন্ধু ভাবনা জন্মালে দেশ এগিয়ে যাবে।
.
তরুণদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের চেতনা গড়ে দিতে যা প্রয়োজনঃ
.
১.তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও বঙ্গবন্ধুর চেতনা পৌঁছে দিতে বঙ্গবন্ধুর লেখা প্রকাশিত তিনটি বই “অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারে রোজনামচা,আমার দেখা নয়াচীন” বইগুলো সবার আগে পৌঁছে দিতে হবে।এতে তরুণরা বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আরোহনের পাশাপাশি জীবনকর্মের সঠিক ইতিহাস পাঠোদ্ধারে সক্ষম হবে।
.
২.স্কুল-কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই দিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার সৃষ্টি করা যেতে পারে।যা ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে দেখা মেলে।ফলে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য ক্রমশই আগ্রহী হবে।
.
৩.বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতিবান মানুষ ছিলেন।তাই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে গেঁথে দেওয়া সম্ভব।কেননা সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে তরুণদের আকৃষ্ট যাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিটি পরিবারকে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে তরুণদের মধ্যে গেঁথে দেওয়া কেবল রাষ্ট্রের একক দায় হিসেবে দেখলেই হবে না। আমাদেরকে সামাজিক ও জাতীয় দায়বোধের দিক থেকে ভাবতে হবে।
.
লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

Please Share This Post in Your Social Media


তারুণ্যের ভাবনায় বঙ্গবন্ধু

Update Time : ০৯:০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০
হাছিবুল বাসার মানিক:
অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ সজ্জিত নদী পাড়ের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী মধ্যবিত্ত শেখ পরিবারে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম নেন বাঙ্গালির জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি ও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রেরও স্রষ্টা।মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তরুণ প্রজন্মের কাছে এক মহান আদর্শ ব্যক্তিত্ব।
.
তিনি তারুণ্যের চোখে অপ্রতিরোধ্য শক্তি ও অনুপ্রেরণার বাতিঘর।তরুণদের কাছে তিনি একাধারে জীবন সংগ্রামের, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ও আদর্শের প্রতীক; অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কারিগর, উদার ব্যক্তিত্ব, সফল রাজনীতিবিদ।অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী, রাজনৈতিক দূরদর্শী নেতা,বাঙালির প্রিয় ভালোবাসার মানুষ, অসাধারণ মেধার অধিকারী বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শন তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন। অমিত আত্মবিশ্বাস,রাজনৈতিক প্রজ্ঞা,প্রগতিশীল নেতৃত্ব, সাধারণের লালিত স্বপ্নের প্রতি অবিচল আস্থা, মানুষের সাথে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণমুখী চিন্তাধারার গুনাবলী বঙ্গবন্ধুকে তরুণ প্রজন্মের কাছে অবিসংবাদিত নেতা করে তুলেছে।তাছাড়া অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারা,ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাব পোষণের ক্ষমতা তাকে একজন খাঁটি বাঙ্গালিরও পরিচয় দিয়েছে।তরুণদের মনে বঙ্গবন্ধু ভাবনা জন্মালে দেশ এগিয়ে যাবে।
.
তরুণদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের চেতনা গড়ে দিতে যা প্রয়োজনঃ
.
১.তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও বঙ্গবন্ধুর চেতনা পৌঁছে দিতে বঙ্গবন্ধুর লেখা প্রকাশিত তিনটি বই “অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারে রোজনামচা,আমার দেখা নয়াচীন” বইগুলো সবার আগে পৌঁছে দিতে হবে।এতে তরুণরা বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আরোহনের পাশাপাশি জীবনকর্মের সঠিক ইতিহাস পাঠোদ্ধারে সক্ষম হবে।
.
২.স্কুল-কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই দিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার সৃষ্টি করা যেতে পারে।যা ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে দেখা মেলে।ফলে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য ক্রমশই আগ্রহী হবে।
.
৩.বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতিবান মানুষ ছিলেন।তাই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে গেঁথে দেওয়া সম্ভব।কেননা সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে তরুণদের আকৃষ্ট যাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিটি পরিবারকে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে তরুণদের মধ্যে গেঁথে দেওয়া কেবল রাষ্ট্রের একক দায় হিসেবে দেখলেই হবে না। আমাদেরকে সামাজিক ও জাতীয় দায়বোধের দিক থেকে ভাবতে হবে।
.
লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।