মৌলভীবাজারে বেসরকারি চাকরি করতেন সুনামগঞ্জের সজল কুমার দাশ। ঈদের ছুটিতে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে সকালে ফিরছিলেন দিরাইয়ের গ্রামের বাড়ি। তবে হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনা ফেরা হলো না বাড়ি।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তাজপুর বাজারের কাছে চানপুর এলে তাদের প্রাইভেটকারটির সঙ্গে সিলেট থেকে কুমিল্লাগামী একটি দ্রুতগতির বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৫ জন। নিহতরা হলেন: স্বপন কুমার দাস, তার স্ত্রী লাভলী রানী সরকার, আট বছরের জমজ সহোদর শৈবাল ও সাজন এবং প্রাইভেটকার চালক।
আহত সজল কুমার দাশের অপর সন্তান সৌরভকে গুরুতর অবস্থায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাসটি জব্দ করা হলেও চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হবিগঞ্জের বাহুবলে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী। ঈদের ছুটিতে গাজীপুর থেকে সুনামগঞ্জে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তিন গার্মেন্টস শ্রমিক। শুক্রবার সকালে মহাসড়কের পুটিজুরী এলাকার আব্দানারায়ণ কালিবাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত প্রাইভেটকারের যাত্রীরা হলেন: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দশঘর গ্রামের রুহেল মিয়ার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৩৫), ফিরোজ মিয়ার মেয়ে মালেহা বেগম (৩৫) ও প্রাইভেটকার চালকের পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় আহত তিন গার্মেন্টস কর্মী আমিনুল ইসলাম, রুহুল মিয়া ও নাজমা বেগম বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নুনদহ ব্রীজ এলাকায় প্রাইভেটকার ও টাইলস বোঝাই কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরো ৬ জন। নিহতরা হলেন: রংপুরের পীরগঞ্জের সাহেদ মিয়া (৪০), কাজল মিয়া (৩২) ও গঙ্গাচড়া উপজেলার শাকিল ইসলাম( ৫৬)। হতাহতরা সবাই টাইলস বোঝাই কাভার্ডভ্যানের যাত্রী। তারা সবাই ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।