ঈদ মৌসুমে নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের যত প্রস্তুতি

  • Update Time : ০৭:০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
  • / 245

ঈদের ছুটিতে ও আগে-পরে নিরাপত্তা শঙ্কা এড়াতে নানা পদক্ষেপ ও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। চামড়া সন্ত্রাস ও পশুর হাটে চাঁদাবাজিসহ সবধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়াতে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপনসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকাগুলোতে টহল বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনও জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কন্ট্রোল রুম, থানা কিংবা ৯৯৯-এর সহযোগিতা নিতেও নাগরিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও ঈদ মৌসুমের কারণে কিছু কিছু অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মলম ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে যায় এ সময়ে। এছাড়া সুযোগসন্ধানী দুর্বৃত্তরা নাশকতা চালানোরও সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সেজন্য সাদা পোশাকে এবং ভার্চুয়ালি নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সারাদেশের সব পুলিশ ইউনিটগুলোকে টহল বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোরবানির পশু পরিবহনকে কেন্দ্র করে যেন কোনও ধরনের চাঁদাবাজি না হয়, সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ কোনও দোকান বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, পশুর হাটে খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে মানুষকে অজ্ঞান করে সব কিছু লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা। এজন্য হাটের ইজারাদাররা হাটে শুধুমাত্র স্থায়ী খাবার দোকান ও চায়ের দোকান বসাতে পারবেন। যিনি স্থায়ী খাবার দোকান দেবেন তার বিস্তারিত পরিচয় থানায় জমা দিতে হবে ইজারাদারকে। যাতে যেকোনও অঘটনের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশের জন্য সুবিধা হয়।

পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি মো. সো‌হেল রানা বলেন, পুলিশ সদর দফতর থেকে ইতোমধ্যে সারাদেশের সব ইউনিটকে ঈদের আগে-পরে এবং ঈদের ছুটিতে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে কোনও প্রকার সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, জোর জবরদস্তি না হয় সেজন্য পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে।

পশুর হাটের নিরাপত্তায় ডিএমপির ব্যবস্থা

প্রয়োজনে দ্রুত শনাক্তের জন্য গরু নিয়ে হাটে আসা ট্রাকের নম্বর ও ড্রাইভারের নাম-পরিচয় এবং তার ছবি তুলে ‍পুলিশ সংরক্ষণ করবে। সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াও থাকবে ওয়াচ টাওয়ার ও পুলিশ কন্ট্রোলরুম। প্রতিটি থানায় ও কন্ট্রোলরুমে মানি এসকর্ট টিম স্ট্যান্ডবাই থাকবে। পশু বিক্রির টাকা ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর থাকবে। জাল টাকার বিস্তার রোধ ও পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার ও অন্যান্য অপরাধীকে তৎপরতা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম ও ওয়াচ টাওয়ারে জন সচেতনতামূলক ব্যানার স্থাপন করা হবে।

সার্বক্ষণিক মেডিক্যাল টিম ও ভেটেরিনারি অফিসার (পশুর ডাক্তার) রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চামড়া সন্ত্রাস প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা

চামড়া সন্ত্রাস প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। এজন্য চামড়া ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ নিয়ে নিরাপদ স্থানে রাত যাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চামড়া কেনাবেচার ক্ষেত্রে কেউ যাতে সিন্ডিকেট তৈরি করে জোর জবরদস্তি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। বেশি পরিমাণ নগদ অর্থ বহনের সময় যানবাহন সরবরাহ সাপেক্ষে পুলিশের মানি এসকর্ট নেওয়া যাবে। কাঁচা চামড়া পাচার রোধে ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথগুলোতে চেকপোস্ট এবং নদীপথে নৌ-টহলের ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকার বাইরে থেকেও শুধু কাঁচা চামড়া পরিবহনকারী যানবাহন ঢাকায় ঢুকতে পারবে। কোনও কাঁচা চামড়া পরিবহনকারী যানবাহন ঢাকা থেকে বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।

ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমিন বাজার টার্মিনালের পাশে রাস্তার ওপর কাঁচা চামড়া রাখা যাবে না। হাজারীবাগ এলাকায় রাস্তার ওপর রাত ১১ টার পর কাঁচা চামড়া রাখা যাবে না। কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চালক, হেলপার ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকেও মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়। টিকেট কালোবাজারি ও যাত্রী হয়রানি যাতে না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করা যাবে না। পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী পরিবহন বাস ও ট্রেনের ছাদে করে ভ্রমণ করা যাবে না। প্রতিটি বাস টার্মিনালে ওয়াচ টাওয়ার এবং প্রতিটি বাস, লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশনে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম  বলেন, ঈদ নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নগরবাসীর নিরাপত্তা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পশু বেচাকেনার টাকা নিরাপদ রাখতে হাটে ব্যাংকের অস্থায়ী বুথ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জালটাকা শনাক্তে হাটে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জালটাকা শনাক্তকরণ মেশিন বসানো হবে।

ঈদের ছুটিতে রাজধানীর নিরাপত্তা

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে রাজধানীর প্রতিটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় পুলিশের কঠোর নজরদারি থাকবে। স্বর্ণের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি ও ভাড়াটিয়াদের নিরাপত্তায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে। বাসা, অ্যাপার্টমেন্ট ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রাইভেট নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের লক্ষ্যে মোবাইল পেট্রল, ফুট পেট্রল ও চেকপোস্টের মাধ্যমে দৃশ্যমান পুলিশিং নজরদারি বাড়ানো হবে।

পুলিশের সহায়তা নিতে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ৯৯৯ এর সহযোগিতা নিতে বলা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঈদ মৌসুমে নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের যত প্রস্তুতি

Update Time : ০৭:০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০

ঈদের ছুটিতে ও আগে-পরে নিরাপত্তা শঙ্কা এড়াতে নানা পদক্ষেপ ও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। চামড়া সন্ত্রাস ও পশুর হাটে চাঁদাবাজিসহ সবধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়াতে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপনসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকাগুলোতে টহল বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনও জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কন্ট্রোল রুম, থানা কিংবা ৯৯৯-এর সহযোগিতা নিতেও নাগরিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও ঈদ মৌসুমের কারণে কিছু কিছু অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মলম ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে যায় এ সময়ে। এছাড়া সুযোগসন্ধানী দুর্বৃত্তরা নাশকতা চালানোরও সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সেজন্য সাদা পোশাকে এবং ভার্চুয়ালি নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সারাদেশের সব পুলিশ ইউনিটগুলোকে টহল বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোরবানির পশু পরিবহনকে কেন্দ্র করে যেন কোনও ধরনের চাঁদাবাজি না হয়, সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ কোনও দোকান বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, পশুর হাটে খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে মানুষকে অজ্ঞান করে সব কিছু লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা। এজন্য হাটের ইজারাদাররা হাটে শুধুমাত্র স্থায়ী খাবার দোকান ও চায়ের দোকান বসাতে পারবেন। যিনি স্থায়ী খাবার দোকান দেবেন তার বিস্তারিত পরিচয় থানায় জমা দিতে হবে ইজারাদারকে। যাতে যেকোনও অঘটনের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশের জন্য সুবিধা হয়।

পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি মো. সো‌হেল রানা বলেন, পুলিশ সদর দফতর থেকে ইতোমধ্যে সারাদেশের সব ইউনিটকে ঈদের আগে-পরে এবং ঈদের ছুটিতে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে কোনও প্রকার সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, জোর জবরদস্তি না হয় সেজন্য পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে।

পশুর হাটের নিরাপত্তায় ডিএমপির ব্যবস্থা

প্রয়োজনে দ্রুত শনাক্তের জন্য গরু নিয়ে হাটে আসা ট্রাকের নম্বর ও ড্রাইভারের নাম-পরিচয় এবং তার ছবি তুলে ‍পুলিশ সংরক্ষণ করবে। সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াও থাকবে ওয়াচ টাওয়ার ও পুলিশ কন্ট্রোলরুম। প্রতিটি থানায় ও কন্ট্রোলরুমে মানি এসকর্ট টিম স্ট্যান্ডবাই থাকবে। পশু বিক্রির টাকা ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর থাকবে। জাল টাকার বিস্তার রোধ ও পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার ও অন্যান্য অপরাধীকে তৎপরতা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম ও ওয়াচ টাওয়ারে জন সচেতনতামূলক ব্যানার স্থাপন করা হবে।

সার্বক্ষণিক মেডিক্যাল টিম ও ভেটেরিনারি অফিসার (পশুর ডাক্তার) রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চামড়া সন্ত্রাস প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা

চামড়া সন্ত্রাস প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। এজন্য চামড়া ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ নিয়ে নিরাপদ স্থানে রাত যাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চামড়া কেনাবেচার ক্ষেত্রে কেউ যাতে সিন্ডিকেট তৈরি করে জোর জবরদস্তি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। বেশি পরিমাণ নগদ অর্থ বহনের সময় যানবাহন সরবরাহ সাপেক্ষে পুলিশের মানি এসকর্ট নেওয়া যাবে। কাঁচা চামড়া পাচার রোধে ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথগুলোতে চেকপোস্ট এবং নদীপথে নৌ-টহলের ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকার বাইরে থেকেও শুধু কাঁচা চামড়া পরিবহনকারী যানবাহন ঢাকায় ঢুকতে পারবে। কোনও কাঁচা চামড়া পরিবহনকারী যানবাহন ঢাকা থেকে বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।

ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমিন বাজার টার্মিনালের পাশে রাস্তার ওপর কাঁচা চামড়া রাখা যাবে না। হাজারীবাগ এলাকায় রাস্তার ওপর রাত ১১ টার পর কাঁচা চামড়া রাখা যাবে না। কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চালক, হেলপার ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকেও মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়। টিকেট কালোবাজারি ও যাত্রী হয়রানি যাতে না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করা যাবে না। পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী পরিবহন বাস ও ট্রেনের ছাদে করে ভ্রমণ করা যাবে না। প্রতিটি বাস টার্মিনালে ওয়াচ টাওয়ার এবং প্রতিটি বাস, লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশনে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম  বলেন, ঈদ নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নগরবাসীর নিরাপত্তা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পশু বেচাকেনার টাকা নিরাপদ রাখতে হাটে ব্যাংকের অস্থায়ী বুথ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জালটাকা শনাক্তে হাটে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জালটাকা শনাক্তকরণ মেশিন বসানো হবে।

ঈদের ছুটিতে রাজধানীর নিরাপত্তা

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে রাজধানীর প্রতিটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় পুলিশের কঠোর নজরদারি থাকবে। স্বর্ণের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি ও ভাড়াটিয়াদের নিরাপত্তায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে। বাসা, অ্যাপার্টমেন্ট ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রাইভেট নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের লক্ষ্যে মোবাইল পেট্রল, ফুট পেট্রল ও চেকপোস্টের মাধ্যমে দৃশ্যমান পুলিশিং নজরদারি বাড়ানো হবে।

পুলিশের সহায়তা নিতে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ৯৯৯ এর সহযোগিতা নিতে বলা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।