করোনা সংকটে দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয় সে জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা ঠিক করোনা ভাইরাস আমাদের অনেকটা পিছিয়ে দিচ্ছে। তারপরও আমাদের কৃষির যে অগ্রগতি এটা ধরে রাখতে হবে। আমাদের মানুষের আর যাই হোক তাদের খাদ্যের অভাবটা যেন না হয়। সেটা আমাদের দেখতে হবে।
তিনি বলেন, খাবারের ব্যবস্থাটা যদি আমরা ঘরে রাখতে পারি। তাহলে অন্য কোনোদিকে খুব একটা সমস্যা হবে না। আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
নগদ অর্থসহায়তা, কৃষকদের সার, উন্নতমানের বীজসহ অন্য কৃষি উপকরণ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এভাবে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। এভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানো এটাই আমাদের কাজ।
করোনা সংকটকালীন যারা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য উৎপাদন, বিশেষ করে ধান কাটার ব্যাপারে আমাদের সংগঠনের প্রতিটি সহযোগী সংগঠন, আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগ প্রতিটি নেতা-কর্মী তারাও কিন্তু মাঠে নেমে গেছে। নিজের হাতে ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিয়েছে। এই কাজ করতে যেয়ে আমাদের অনেকে কিন্তু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অনেকে মৃত্যুবরণও করেছে। যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
বাংলাদেশ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজিও আমরা অর্জন করবো। বিশেষ করে এসডিজির ১৭টি মূল নির্দেশনা রয়েছে। তার মধ্যে যে কয়টা আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য, আমাদের সবগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করার দরকার নেই। ঠিক যে কয়টা আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন সেগুলো আমাদের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সেগুলো আমরা সংযুক্ত করে নিয়েছি। সেগুলো বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আমরা তা অর্জন করতে পারবো। এটা ঠিক করোনা ভাইরাস আমাদের অনেকটা পিছিয়ে দিচ্ছে।