ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ও বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক যৌথভাবে ভার্চুয়াল সভায় নাটোরে জয়কালী মাতার পুনর্নির্মিত মন্দির উদ্বোধন করেন।সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম এবং নাটোরের মেয়র উমা চৌধুরী জলিও এ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর নাটোরের লালবাজারে জয়কালী মাতার মন্দিরটি পুনর্নির্মাণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ভারত সরকারের ৯৭ লাখ (বাংলাদেশি) টাকা অনুদান এবং হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টস (এইচআইসিডিপি) স্কিমের আওতায় মোট ১.৩৩ কোটি টাকা অর্থায়নে এ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে জয়কালী মাতার মন্দির কমিটি।
অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার বলেন, ‘ভারতীয় হাই কমিশন নাটোরের জয়কালী মাতার মন্দিরের সংস্কার কাজে সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত। এ মন্দিরটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মন্দির। আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে ভারত বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার। যা আমাদের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করে। ’
জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘নাটোরকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলব। এ উন্নয়নের লক্ষ্যে পথ চলায় ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে থাকবে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত। সফটওয়্যার শিল্পে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি, তা কাজে লাগিয়ে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ভারত তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করবে।’
জয়কালী মন্দিরটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এবং বাংলাদেশের নাটোর জেলার অন্যতম প্রাচীন মন্দির। অষ্টাদশ শতাব্দির শুরুর দিকে এ মন্দির নির্মাণ করেন শ্রী দয়ারাম রায় (১৬৮০ – ১৭৬০), যিনি ছিলেন দিঘাপতিয়া রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও নাটোরের রানী ভবানীর (১৭১৬ – ১৭৯৫) প্রভাবশালী দেওয়ান। প্রতিবছর অত্যন্ত উদ্দীপনা এবং উৎসাহের সঙ্গে এ মন্দিরে দুর্গা ও কালীপূজার মতো বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব হয়। মন্দিরের প্রাঙ্গণে শিবমন্দিরও রয়েছে।