নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরে ১৫ লাখ ১৮ হাজার পিস নকল ব্যান্ডরোল উদ্ধার করেছে রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। যা এ যাবতকালে এ কমিশনারেটের আওতাধীন সবচেয়ে বড় নকল ব্যান্ডরোল উদ্ধার।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) জেলার হারাগাছ পশ্চিম পোদ্দার পাড়া এলাকা থেকে রংপুর বিভাগীয় দপ্তরের প্রিভেন্টিভ টিম এসব ব্যান্ডরোল উদ্ধার করে। রংপুর ভ্যাট কমিশনার শওকত আলী সাদী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১১ জুলাই (শনিবার) রংপুর বিভাগীয় দপ্তরের প্রিভেন্টিভ টিম ব্যান্ডরোল বিহীন, ব্যবহৃত ব্যান্ডরোলযুক্ত ও চালান বিহীন ২৯ লাখ ১২ হাজার শলাকা বিড়ি বিরাট একটি চালান আটক করা হয়েছে। বিড়ির রাজস্ব আরোপযোগ্য মূল্য ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৪০ টাকা। জড়িত রাজস্ব ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮৮ টাকা।
কমিশনার শওকত আলী সাদী জানান, দেশের বিরাজমান কভিড-১৯ পরিস্থিতি সত্ত্বেও রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় অভিযান চালানো হচ্ছে। একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নকল ও জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার বিড়ি ও সিগারেট বাজারজাত করে আসছে। এর মাধ্যমে বিপুল রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছে। রাজস্ব ফাঁকি রোধে সম্প্রতি সবগুলো বিভাগীয় কার্যালয়কে অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরই অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রংপুর বিভাগীয় দপ্তরের প্রিভেন্টিভ টিম রংপুর হারাগাছ, পশ্চিম পোদ্দার পাড়া এলাকার একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ১৫ লাখ ১৮ হাজার পিস নকল ব্যান্ডরোল উদ্ধার করে। যার মূল্য এক কোটি ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার ৬২০ টাকা। এটি এ কমিশনারেটের আওতাধীন এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় চালান।
কমিশনার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বাড়ির মালিক জাল ব্যান্ডরোল ব্যবসায়ী দলের সক্রিয় সদস্য। প্রিভেন্টিভ টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জড়িত জাল ব্যান্ডরোল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারা-২৫ অনুযায়ী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কমিশনার শওকত আলী সাদী বলেন, অভিযান জোরদার করতে আটটি বিভাগীয় ভ্যাট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরো জুলাই ও আগস্ট মাস সাঁড়াশি অভিযান চলবে। রাজস্ব ফাঁকিবাজদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।