পদত্যাগ করলেন তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফখফখ

  • Update Time : ১২:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০
  • / 158
তিউনিশিয়ার সংসদে সবচেয়ে বেশি আসনের অধিকারী আন-নাহদা পার্টি সমর্থন প্রত্যাহারের পর পদত্যাগ করেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী এলিস ফখফখ।
.

করোনাভাইরাসের মধ্যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতাসহ নানা অভিযোগ ছিল ফখফখের বিরুদ্ধে।

তিউনিশিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামি মনোভাব সম্পন্ন দল আন-নাহদা নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে অবহিত করার পর প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। এরপর গতকাল বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাপত্র জমা দেন ফখফখ।

অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অনিয়মের একটি অভিযোগের তদন্ত চলছে। তবে তিনি এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম করেননি বলে দাবি করেছেন।

গত অক্টোবরের নির্বাচনে জয়লাভ করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করতে হয়েছিল আন-নাহদাকে। তারা একজনকে প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করলেও সংসদের সমর্থন লাভে ব্যর্থ হয়। এভাবে টানা চার মাস নানা টানাপোড়েনের পর সাবেক অর্থমন্ত্রী এলিস ফখফখকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট।

সংসদে কোনো দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পদত্যাগ করলেন তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফখফখ

Update Time : ১২:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০
তিউনিশিয়ার সংসদে সবচেয়ে বেশি আসনের অধিকারী আন-নাহদা পার্টি সমর্থন প্রত্যাহারের পর পদত্যাগ করেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী এলিস ফখফখ।
.

করোনাভাইরাসের মধ্যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতাসহ নানা অভিযোগ ছিল ফখফখের বিরুদ্ধে।

তিউনিশিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামি মনোভাব সম্পন্ন দল আন-নাহদা নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে অবহিত করার পর প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। এরপর গতকাল বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাপত্র জমা দেন ফখফখ।

অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অনিয়মের একটি অভিযোগের তদন্ত চলছে। তবে তিনি এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম করেননি বলে দাবি করেছেন।

গত অক্টোবরের নির্বাচনে জয়লাভ করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করতে হয়েছিল আন-নাহদাকে। তারা একজনকে প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করলেও সংসদের সমর্থন লাভে ব্যর্থ হয়। এভাবে টানা চার মাস নানা টানাপোড়েনের পর সাবেক অর্থমন্ত্রী এলিস ফখফখকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট।

সংসদে কোনো দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।