সাহেদের গ্রেফতার বিএনপির কথাকে অবান্তর প্রমাণ করেছে: তথ্যমন্ত্রী

  • Update Time : ০১:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০
  • / 158

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি যে ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে তা সাহেদের গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে।

বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এসময় বিএনপি’র সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘দুর্নীতি-অনিয়মে সরকারি মদদ’ -এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী একথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাহেদের দুর্নীতি সরকারই উদ্ঘাটন করেছে এবং সাহেদের প্রতিষ্ঠানের এমডিকে গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠানের আরো অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছিল, সহসা সাহেদকে গ্রেপ্তার করতে তারা সক্ষম হবে। শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাহেদকে গ্রেফতার করেছে। এতে প্রমাণিত হয়, বিএনপি ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে এবং এ নিয়ে বিএনপি এতোদিন যা বলে এসেছিল, সেগুলো তারই ধারাবাহিকতা।’

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি অনিয়মের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এ ক্ষেত্রে কে কোন দল বা মতের সেটি কখনই দেখা হয়নি। যদি আওয়ামী লীগের কেউ হয়, এমনকি পদধারী নেতাও যদি হয়, তার বিরুদ্ধেও কিন্তু অতীতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

‘আর যদি সাহেদের মদদদাতা ধরতে হয়, তাহলে হাওয়া ভবন থেকে যারা মদদ দিয়েছিল এবং স্কাইপিতে যখন তারেক রহমানের সাথে সে কথা বলে, সে ব্যাপারে বিএনপি কি বলবে’ প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী। অবশ্যই সাহেদের অপকর্মের সাথে যদি অন্য কেউ যুক্ত থাকে, তদন্তে যদি সেটি বেরিয়ে আসে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে, বলেন তিনি।

‘এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে’- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, ‘বিক্ষোভ যে কারো বিরুদ্ধেই হতে পারে, যে কেউ তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে, এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিরই অংশ।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, স্বাস্থ্য অধিদফতর যখন বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে চুক্তি করে, তখন প্রথম থেকেই তাদের আরো সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন ছিল। তাহলে সাহেদের রিজেন্ট কিম্বা জেকেজি’র মতো প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পেতো না।’

অনলাইন সংবাদ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আবেদন করা অনলাইনগুলোর বিষয়ে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে ১৬শ’র বেশি এবং আরেকটি সংস্থা থেকে একশ’র মতো তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এ মাসের মধ্যেই আরো তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনলাইনগুলোকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করবো। যে সমস্ত অনলাইনের ব্যাপারে নেতিবাচক প্রতিবেদন এসেছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা সেগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

আর যে সমস্ত অনলাইন গুজব ছড়ায়, তাদের অনেকগুলোই আবার ক্ষণে ক্ষণে পরিচয় পরিবর্তন করে, দেশে বা বিদেশ থেকে যেসমস্ত অনলাইন পোর্টাল এভাবে পরিচয় পরিবর্তন করে পরিচালনা করছে, সেগুলোর ব্যাপারে প্রযুক্তিগতভাবে আমরা আরো দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কোনো অনলাইনের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সাহেদের গ্রেফতার বিএনপির কথাকে অবান্তর প্রমাণ করেছে: তথ্যমন্ত্রী

Update Time : ০১:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি যে ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে তা সাহেদের গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে।

বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এসময় বিএনপি’র সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘দুর্নীতি-অনিয়মে সরকারি মদদ’ -এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী একথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাহেদের দুর্নীতি সরকারই উদ্ঘাটন করেছে এবং সাহেদের প্রতিষ্ঠানের এমডিকে গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠানের আরো অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছিল, সহসা সাহেদকে গ্রেপ্তার করতে তারা সক্ষম হবে। শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাহেদকে গ্রেফতার করেছে। এতে প্রমাণিত হয়, বিএনপি ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে এবং এ নিয়ে বিএনপি এতোদিন যা বলে এসেছিল, সেগুলো তারই ধারাবাহিকতা।’

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি অনিয়মের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এ ক্ষেত্রে কে কোন দল বা মতের সেটি কখনই দেখা হয়নি। যদি আওয়ামী লীগের কেউ হয়, এমনকি পদধারী নেতাও যদি হয়, তার বিরুদ্ধেও কিন্তু অতীতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

‘আর যদি সাহেদের মদদদাতা ধরতে হয়, তাহলে হাওয়া ভবন থেকে যারা মদদ দিয়েছিল এবং স্কাইপিতে যখন তারেক রহমানের সাথে সে কথা বলে, সে ব্যাপারে বিএনপি কি বলবে’ প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী। অবশ্যই সাহেদের অপকর্মের সাথে যদি অন্য কেউ যুক্ত থাকে, তদন্তে যদি সেটি বেরিয়ে আসে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে, বলেন তিনি।

‘এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে’- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, ‘বিক্ষোভ যে কারো বিরুদ্ধেই হতে পারে, যে কেউ তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে, এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিরই অংশ।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, স্বাস্থ্য অধিদফতর যখন বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে চুক্তি করে, তখন প্রথম থেকেই তাদের আরো সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন ছিল। তাহলে সাহেদের রিজেন্ট কিম্বা জেকেজি’র মতো প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পেতো না।’

অনলাইন সংবাদ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আবেদন করা অনলাইনগুলোর বিষয়ে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে ১৬শ’র বেশি এবং আরেকটি সংস্থা থেকে একশ’র মতো তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এ মাসের মধ্যেই আরো তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনলাইনগুলোকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করবো। যে সমস্ত অনলাইনের ব্যাপারে নেতিবাচক প্রতিবেদন এসেছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা সেগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

আর যে সমস্ত অনলাইন গুজব ছড়ায়, তাদের অনেকগুলোই আবার ক্ষণে ক্ষণে পরিচয় পরিবর্তন করে, দেশে বা বিদেশ থেকে যেসমস্ত অনলাইন পোর্টাল এভাবে পরিচয় পরিবর্তন করে পরিচালনা করছে, সেগুলোর ব্যাপারে প্রযুক্তিগতভাবে আমরা আরো দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কোনো অনলাইনের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।