আজ সোমবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বেলা ১২টার কিছু আগে চিফ মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নেয়া হয় ডা. সাবরীনা আরিফ চৌধুরীকে। পুলিশ চার দিনের রিমান্ড চাইলে শুনানি শেষে আদালত তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, রবিবার দুপুরে তেজগাঁও উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে টানা চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার প্রতারণার মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বামী আরিফুল হক আগেই এই মামলায় গ্রেপ্তার আছেন।
রবিবার সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. হারুনুর রশীদ জানিয়েছিলেন, হাজারো মানুষকে করোনার ভুয়া রিপোট দিয়ে তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে জেকেজি। আর চেয়ারম্যান হিসেবে সাবরীনা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।
তিনি আরো জানান, তেজগাঁও থানার প্রতারণার মামলায় সাবরীনাকে ১৩ই জুলাই আদালতে তোলা হবে। সেখানে সাবরীনার ৪ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ। রিমান্ডে সাবরীনার কাছ থেকে জেকেজির প্রতারণার সব তথ্য বের হয়ে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে সাবরীনাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে। কতৃপক্ষ জানায়, সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সরকারের অনুমতি ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান থাকা এবং অর্থ আত্মসাত ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তাই ডা. সাবরীনাকে বিধি অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতাপ্রাপ্ত হবেন।