রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য ৩শ’ কোটি টাকা দিবে ইইউ

  • Update Time : ০৪:০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০
  • / 192

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মায়ানমারের রাখাইন থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলার জন্য প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা দিবে।

বৃহস্পতিবার ইইউ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, সে প্রয়াসে সহায়তা দিতেই এই অর্থ প্রদান করা হচ্ছে।

এই অর্থ থেকে ১১৪ কোটি টাকা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এবং ১৯০ কোটি টাকা স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তাও পুষ্টি, পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতার (হাত ধোয়া) মতো মৌলিক সেবা এবং তাদের সহনশীলতা ও সুরক্ষা জোরদার করতে ব্যয় করা হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ’র রাষ্ট্রদূত রেঞ্জে টিরিংকের উদ্ধৃতি দিতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রতিবেশী মায়ানমারের বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের অব্যাহত উদার ও মানবিকতার প্রয়াসে এই ৩২ মিলিয়ন ইউরো’র তহবিলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, এ সহায়তা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় টিম ইউরোপের আন্তর্জাতিক প্রয়াসের একটি অংশ।

ইইউ অর্থায়ন মূলতবালিকা ও নারীদের সুরক্ষা, যৌন ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা এবং মানসিক-সামাজিক পরিস্থিতিতে সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হবে।

এই সহায়তা চলমান কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবলাসহ স্ট্র্যাটেজিক অবজেকটিভ অব দ্য ইউএন জয়েন্ট রেসপন্স প্লান ২০২০ এর সাথে সঙ্গতি রেখে ২০৩০ এজেন্ডার আহ্বান ‘কাউকে পিছনে ফেলে যাবেন না’ অর্জনে অবদান রাখবে।ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ ও ইউএনওপিএস এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য ৩শ’ কোটি টাকা দিবে ইইউ

Update Time : ০৪:০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মায়ানমারের রাখাইন থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলার জন্য প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা দিবে।

বৃহস্পতিবার ইইউ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, সে প্রয়াসে সহায়তা দিতেই এই অর্থ প্রদান করা হচ্ছে।

এই অর্থ থেকে ১১৪ কোটি টাকা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এবং ১৯০ কোটি টাকা স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তাও পুষ্টি, পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতার (হাত ধোয়া) মতো মৌলিক সেবা এবং তাদের সহনশীলতা ও সুরক্ষা জোরদার করতে ব্যয় করা হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ’র রাষ্ট্রদূত রেঞ্জে টিরিংকের উদ্ধৃতি দিতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রতিবেশী মায়ানমারের বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের অব্যাহত উদার ও মানবিকতার প্রয়াসে এই ৩২ মিলিয়ন ইউরো’র তহবিলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, এ সহায়তা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় টিম ইউরোপের আন্তর্জাতিক প্রয়াসের একটি অংশ।

ইইউ অর্থায়ন মূলতবালিকা ও নারীদের সুরক্ষা, যৌন ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা এবং মানসিক-সামাজিক পরিস্থিতিতে সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হবে।

এই সহায়তা চলমান কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবলাসহ স্ট্র্যাটেজিক অবজেকটিভ অব দ্য ইউএন জয়েন্ট রেসপন্স প্লান ২০২০ এর সাথে সঙ্গতি রেখে ২০৩০ এজেন্ডার আহ্বান ‘কাউকে পিছনে ফেলে যাবেন না’ অর্জনে অবদান রাখবে।ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ ও ইউএনওপিএস এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।