পঞ্চগড়ে প্রেমের টানে দুই সন্তানের জননী প্রেমিকের বাসায়

  • Update Time : ০৭:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
  • / 171
মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পঞ্চগড়।।
পঞ্চগড় স্বামী ও দুই সন্তান রেখে পরকীয়ার টানে প্রেমিক ফারুকের বাসায় মুক্তা নামের এক গৃহবধূ অবস্থান নিয়েছে।
.
পঞ্চগড় সদরের ১ নং অমরখানা ইউনিয়নের সাবেক পূর্ব অমরখানার গাছবাড়ি গ্রামের জহিরুল ইসলামের বাড়িতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন জহিরুল ইসলামের পিতা হারুনুর রশিদ।
.
গত ২২ জুন, ২০২০ তারিখে আনুমানিক রাত ১:৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। যেখানে ফারুক মিয়া এবং মুক্তা আকতারকে উলঙ্গ অস্বাভাবিক অবস্থায় দেখতে পান জহিরুল ইসলামের পিতা, তাদের রান্নাঘরে।এরপর তিনি তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে উভয় মিলে তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় রান্না ঘর থেকে।
.
জহিরুল ইসলামের জবানবন্দি থেকে জানা যায় তার স্ত্রী মুক্তা বেগম প্রায়ই তাকে রাতের বেলায় খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়াতো এবং ফারুকের সাথে অসামাজিক যৌন মিলনে লিপ্ত থাকতো। উক্ত ঘটনার পর ফারুক মিয়াকে আর এলাকায় আর দেখা যায়নি। যার কারণে মুক্তা আক্তার তার সন্তান দুইটিকে ছেড়ে সাবেক পূর্ব অমরখানার গাছবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ মকবুল হোসেন এর পুত্র ফারুক মিয়ার ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন।
.
মুক্তা আকতার তার পুরোনো স্বামীকে রেখে ফারুক মিয়ার ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হোন সে। এ ঘটনার জেরে গত চারদিন আগে ১ নং অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদে উভয় পক্ষে বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন চেয়ারম্যান। কিন্তু তাদের পক্ষে রায় না হওয়াতে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মেনে নেননি হারুনুর রশিদ এবং তার পরিবারবর্গ। তারা বলেন বর্তমান যুগে যাদের টাকা আছে তাদের বিচার আছে, আমরা অসহায় বলে আমাদের কোনো বিচার নেই। গত ২৬ জুন ২০২০, আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে মুক্তা আক্তার ফারুক মিয়ার ঘরে ঢুকার চেষ্টা করে ব্যার্থ হোন। কারণ ফারুক মিয়ার বাড়িতে ছিলোনা তার পরিবারের কেউ।
শুধুমাত্র ছিলো তার ছোটবোন।
.
তার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি জানান তার ভাই ফারুক মিয়ার সাথে জহিরুল ইসলামের স্ত্রী মুক্তা আক্তারের গোপন সম্পর্কের কথা জানতেন না তিনি।
.
এদিকে মুক্তা আক্তারের জবানবন্দি হতে জানা যায় ফারুক মিয়ার সাথে তার এই পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো ১ বছর ধরে, যেখানে ফারুক মিয়া তাকে ৮ মাস আগে অন্য একটি সিম কার্ড ও ফোন দিয়েছিলেন তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য। তার কাছ থেকে আরোও জানা যায় যে ফারুক মিয়া তার ছোট সন্তানকে মেনে নিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে একাধিকবার যৌন মিলন করে।
.
এদিকে ২২ জুন,২০২০ তারিখ থেকেই লাপাত্তা হয়ে যান ফারুক মিয়া। যার কারণে গত ২৬ জুন, ২০২০ তারিখে ফারুক মিয়ার ঘরে উঠার চেষ্টা করেন মুক্তা আকতার।অপরদিকে ফারুক মিয়ার পরিবারের কেউ তাকে মেনে না নেওয়ায় তিনি এখনো তাদের বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
.
 এ বিষয়ে মুক্তার কাছে জানতে চাইলে , তিনি জানান  যদি তাকে ফারুক মিয়া মেনে নিয়ে বিয়ে না করেন তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পঞ্চগড়ে প্রেমের টানে দুই সন্তানের জননী প্রেমিকের বাসায়

Update Time : ০৭:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পঞ্চগড়।।
পঞ্চগড় স্বামী ও দুই সন্তান রেখে পরকীয়ার টানে প্রেমিক ফারুকের বাসায় মুক্তা নামের এক গৃহবধূ অবস্থান নিয়েছে।
.
পঞ্চগড় সদরের ১ নং অমরখানা ইউনিয়নের সাবেক পূর্ব অমরখানার গাছবাড়ি গ্রামের জহিরুল ইসলামের বাড়িতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন জহিরুল ইসলামের পিতা হারুনুর রশিদ।
.
গত ২২ জুন, ২০২০ তারিখে আনুমানিক রাত ১:৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। যেখানে ফারুক মিয়া এবং মুক্তা আকতারকে উলঙ্গ অস্বাভাবিক অবস্থায় দেখতে পান জহিরুল ইসলামের পিতা, তাদের রান্নাঘরে।এরপর তিনি তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে উভয় মিলে তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় রান্না ঘর থেকে।
.
জহিরুল ইসলামের জবানবন্দি থেকে জানা যায় তার স্ত্রী মুক্তা বেগম প্রায়ই তাকে রাতের বেলায় খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়াতো এবং ফারুকের সাথে অসামাজিক যৌন মিলনে লিপ্ত থাকতো। উক্ত ঘটনার পর ফারুক মিয়াকে আর এলাকায় আর দেখা যায়নি। যার কারণে মুক্তা আক্তার তার সন্তান দুইটিকে ছেড়ে সাবেক পূর্ব অমরখানার গাছবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ মকবুল হোসেন এর পুত্র ফারুক মিয়ার ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন।
.
মুক্তা আকতার তার পুরোনো স্বামীকে রেখে ফারুক মিয়ার ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হোন সে। এ ঘটনার জেরে গত চারদিন আগে ১ নং অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদে উভয় পক্ষে বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন চেয়ারম্যান। কিন্তু তাদের পক্ষে রায় না হওয়াতে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মেনে নেননি হারুনুর রশিদ এবং তার পরিবারবর্গ। তারা বলেন বর্তমান যুগে যাদের টাকা আছে তাদের বিচার আছে, আমরা অসহায় বলে আমাদের কোনো বিচার নেই। গত ২৬ জুন ২০২০, আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে মুক্তা আক্তার ফারুক মিয়ার ঘরে ঢুকার চেষ্টা করে ব্যার্থ হোন। কারণ ফারুক মিয়ার বাড়িতে ছিলোনা তার পরিবারের কেউ।
শুধুমাত্র ছিলো তার ছোটবোন।
.
তার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি জানান তার ভাই ফারুক মিয়ার সাথে জহিরুল ইসলামের স্ত্রী মুক্তা আক্তারের গোপন সম্পর্কের কথা জানতেন না তিনি।
.
এদিকে মুক্তা আক্তারের জবানবন্দি হতে জানা যায় ফারুক মিয়ার সাথে তার এই পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো ১ বছর ধরে, যেখানে ফারুক মিয়া তাকে ৮ মাস আগে অন্য একটি সিম কার্ড ও ফোন দিয়েছিলেন তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য। তার কাছ থেকে আরোও জানা যায় যে ফারুক মিয়া তার ছোট সন্তানকে মেনে নিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে একাধিকবার যৌন মিলন করে।
.
এদিকে ২২ জুন,২০২০ তারিখ থেকেই লাপাত্তা হয়ে যান ফারুক মিয়া। যার কারণে গত ২৬ জুন, ২০২০ তারিখে ফারুক মিয়ার ঘরে উঠার চেষ্টা করেন মুক্তা আকতার।অপরদিকে ফারুক মিয়ার পরিবারের কেউ তাকে মেনে না নেওয়ায় তিনি এখনো তাদের বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
.
 এ বিষয়ে মুক্তার কাছে জানতে চাইলে , তিনি জানান  যদি তাকে ফারুক মিয়া মেনে নিয়ে বিয়ে না করেন তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।