নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ওপরে

  • Update Time : ০৬:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
  • / 138
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বন্যা সতর্কীকরণ পূর্বাভাস সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢল নেমে আসায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে তিস্তা অববাহিকায় আশপাশের গ্রামগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে।
.
নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ী মৌজায় প্রায় ৮শ পরিবার, ৯নং টেপাখড়ি ইউনিয়নের ৫৫০ টি পরিবার এবং ৫নং গয়াবাড়ী ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডে প্রায় ২৫০ টি পরিবার পানি বন্দী জীবনযাপন করছে। এছাড়াও ৪ নং খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত ছাতনাই ও ১০ নং পুর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।
.
ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ী গ্রাম পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়।এসময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাউর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম ও ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান, ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হামিদুর রহমান, ইউপি সচিব সুবাস চন্দ্র রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রানী রায় গৃহহারা পানি বন্দী ২২ টি পরিবারকে নগদ ২ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা এবং শুকনো খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।
.
এ ব্যপারে ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি ফুলে ফেঁপে ওঠায় এরই মধ্যে প্রায় ২২ টি পরিবার বাড়ী ভেঙ্গে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। তিস্তার পানি যদি অপরিবর্তীত অবস্থায় থাকে তবে আরও বাড়ী ভাঙ্গনের সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন জানান, তাঁর ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, তাঁর ইউনিয়নের ঝারসিংহেশ্বর গ্রামের প্রায় আড়াইশ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পরেছে।
.
৯ নং টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বলেন, এবারে হটাৎ করে একনাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় এবং ভারত থেকে উজানের পানির ঢল আসায় আগাম বন্যার সৃষ্টি হল। আমার ইউনিয়নটি তিস্তা পাড় ঘেঁষে তাই অত্র ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম পানির নিচে।অনেক ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলছি।
.
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় জানান, আমরা সর্বদা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি এবং বন্যার্তদের খোঁজখবর নিচ্ছি। তাদের সহায়তায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ওপরে

Update Time : ০৬:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বন্যা সতর্কীকরণ পূর্বাভাস সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢল নেমে আসায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে তিস্তা অববাহিকায় আশপাশের গ্রামগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে।
.
নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ী মৌজায় প্রায় ৮শ পরিবার, ৯নং টেপাখড়ি ইউনিয়নের ৫৫০ টি পরিবার এবং ৫নং গয়াবাড়ী ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডে প্রায় ২৫০ টি পরিবার পানি বন্দী জীবনযাপন করছে। এছাড়াও ৪ নং খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত ছাতনাই ও ১০ নং পুর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।
.
ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ী গ্রাম পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়।এসময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাউর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম ও ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান, ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হামিদুর রহমান, ইউপি সচিব সুবাস চন্দ্র রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রানী রায় গৃহহারা পানি বন্দী ২২ টি পরিবারকে নগদ ২ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা এবং শুকনো খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।
.
এ ব্যপারে ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি ফুলে ফেঁপে ওঠায় এরই মধ্যে প্রায় ২২ টি পরিবার বাড়ী ভেঙ্গে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। তিস্তার পানি যদি অপরিবর্তীত অবস্থায় থাকে তবে আরও বাড়ী ভাঙ্গনের সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন জানান, তাঁর ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, তাঁর ইউনিয়নের ঝারসিংহেশ্বর গ্রামের প্রায় আড়াইশ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পরেছে।
.
৯ নং টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বলেন, এবারে হটাৎ করে একনাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় এবং ভারত থেকে উজানের পানির ঢল আসায় আগাম বন্যার সৃষ্টি হল। আমার ইউনিয়নটি তিস্তা পাড় ঘেঁষে তাই অত্র ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম পানির নিচে।অনেক ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলছি।
.
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় জানান, আমরা সর্বদা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি এবং বন্যার্তদের খোঁজখবর নিচ্ছি। তাদের সহায়তায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।