করোনা প্রতিরোধে সোচ্চার হউন এবং নিজকে সময় দিন: আর্টিস্ট দেলোয়ার রিপন

  • Update Time : ০৭:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
  • / 330
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাস( কোবিড-১৯) এখন সারা বিশ্বে মহামারিতে রুপ নিয়েছে। বাংলাদেশে এখন করোনায় মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮১১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৩৯১ জন।
.
ইতিমধ্যে লকডাউনও শিথিল করা হয়েছে। এই দুর্যোগ মহামারি থেকে সবাই নিজের জীবন ও দেশকে বাঁচাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান করেছেন তরুণ চিত্রশিল্পী ও অভিনেতা দেলোয়ার রিপন।
.
তরুণ এই অভিনেতা বলেন, আপনারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য সর্বদা বাসায় থাকুন। বিনা প্রয়োজনে বাসার বাইরে যাবেন না, এই ভয়ংকর করোনা ভাইরাস এড়াতে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলুন।
.
বাইরে যাওয়ার খুব প্রয়োজন হলে মাস্ক ব্যবহার করুন এবং বাসায় ফিরে সবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। সামাজিক দুরুত্ব মেনে চলুন। লকডাউন খোলার কারনে এখন কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে আমাদের, সেজন্য এখানেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে।
.
.
চিত্র শীল্পি রিপন বলেন, পত্রপত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশনসহ অনেক অফিসই এখন খোলা। সরকারি অফিস বন্ধ হলেও এরই মধ্যে কিছু অফিস, কল-কারখানায় সীমিত পর্যায়ে হলেও কাজ চলছে। কিন্তু এ কথা ভালো করে খেয়াল রাখা উচিত যে অফিস বা কর্মক্ষেত্রটি পরিপাটি হলেও সেখানে থাকতে পারে অজানা জীবাণু, যা সংক্রমণ ঘটাতে পারে করোনাসহ নানা রোগের। কিন্তু কিছু নিয়ম মানলে আপনি কর্মক্ষেত্রে নানা জীবাণুর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারবেন। এ জন্য যা করতে পারেন :
.
১। নিজের ডেস্কে কাজ করার সময় হাঁচি বা কাশি দিলে সেই জীবাণু আপনার আপাত পরিপাটি ডেস্ক এবং কম্পিউটারের কি-বোর্ডে লেগে থাকতে পারে। তাই অ্যালকোহল দিয়ে নিজের ডেস্ক সব সময় পরিষ্কার রাখুন। কি-বোর্ড বা মাউস অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না। ডেস্কে বসে খাওয়াদাওয়া থেকেও বিরত থাকুন।
.
২।অফিসের বিশ্রামকক্ষ, বাথরুম ইত্যাদিতে ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্মায়। এ ছাড়া টয়লেট ফ্লাশ, দরজার তালা, পানির ট্যাপগুলোতেও জীবাণু থাকে। তাই এ জায়গাগুলো সব সময় পরিষ্কার রাখুন এবং কাজ করার আগে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে কাজ করতে বসুন।
.
৩।স্মার্টফোন এবং অন্য গ্যাজেটগুলো ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের অন্যতম আবাসস্থল। সেলফোনের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়াতে পারে বা ফোনের স্ক্রিনেও জীবাণু থাকতে পারে, যা সক্রিয় থাকতে পারে কয়েক দিন। এ জন্য সেলফোনটি সঠিকভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করে তুলতে হবে। স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ওয়াটারপ্রুফ হলে সেগুলো পরিষ্কার করতে সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। আর ওয়াটারপ্রুফ না হলে স্ক্রিনটি নরম ও স্যাঁতসেঁতে মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে দিনে দুইবার পরিষ্কার করুন এবং কাপড়টি ফেলে দিন। এরপর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আবার ফোন ব্যবহার করবেন। তবে স্মার্টফোনের স্ক্রিনটি অ্যালকোহল দিয়ে মুছবেন না, ক্লিনার, অ্যারোসল স্প্রে ব্যবহার করবেন না। এতে স্ক্রিন নষ্ট হতে পারে।
.
.
বিডিসমাচার এর একান্ত সাক্ষাতকারে এই করোনায় কিভাবে সময় পার করছেন জানতে চাইলে এই উদীয়মান তরুণ চিত্রশিল্পী ও অভিনেতা বলেন,প্রথমত করোনার এই খারাপ সময়টাতে নিজেকে বাঁচাতে হবে। সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।করোনার কারনে লম্বা একটা সময় পাচ্ছি আমরা নিজেকে দেয়ার এবং নিজেকে তৈরি করার। নিজের ভালো লাগার কাজ,এবং নিজের দুর্বলতার জায়গাগুলো কে পাকা করার বিশাল একটা সময়।নিজেকে দেয়ার জন্য এ রকম লম্বা সময় হয়তো আর পাবো না।
.
তরুণ চিত্রশিল্পী বলেন, শিল্প চর্চা আমার নেশা ও পেশা।তাই চেষ্টা করছি বাসায় থেকে যতটুকও শিল্পচর্চার মধ্যেই থাকা যায়, প্রত্যেকদিন অন্তত একটি করে হলেও ছবি আঁকছি, হাতে এবং ডিজিটাল মিডিয়ায়, পাশাপাশি অভিনয়টা আমার ভালোবাসার একটি বিশাল জায়গা, যেই প্লাটফর্মে নিজেকে নতুন ভাবে খোঁজে পাই। করোনায় আউটডোরের কাজ বন্ধ। তাই বাসায় বসে টুকি টাকি সচেতনমূলক ও সময় পার করার জন্য কিছু ফানি ভিডিও বানাচ্ছি।সাম্প্রতিক #Marks #FamilyFunMoments এর আয়োজনে করোনায় সচেতনমূলক ভিডিও কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছি।
.
.
তিনি আরো বলেন, স্বপ্ন দেখা এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণাটা আসলে এখানেই।মানুষের ভালোবাসা ও সাপোর্ট। চেষ্টা করছি ভালো কাজে নিজেকে কিভাবে ব্যস্ত রাখা যায় ।শিল্পচর্চার মধ্যেই থাকতে চাই, কাজের মাধ্যমেই বেঁচে থাকতে চাই।আর বেঁচে থাকার জন্য আমাদের এই করুন মুহূর্তে নিজেদেরকে অনেক সচেতন থাকতে হবে, এবং প্রত্যেকের প্রিয় কাজগুলো নিয়ে আমরা ব্যস্ত থাকলে অহেতুক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই সচেতন থাকি,নিজেকে সময় দেই,নিজের পরিবারকে সময় দেই,নিজকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাই।
.
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


করোনা প্রতিরোধে সোচ্চার হউন এবং নিজকে সময় দিন: আর্টিস্ট দেলোয়ার রিপন

Update Time : ০৭:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাস( কোবিড-১৯) এখন সারা বিশ্বে মহামারিতে রুপ নিয়েছে। বাংলাদেশে এখন করোনায় মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮১১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৩৯১ জন।
.
ইতিমধ্যে লকডাউনও শিথিল করা হয়েছে। এই দুর্যোগ মহামারি থেকে সবাই নিজের জীবন ও দেশকে বাঁচাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান করেছেন তরুণ চিত্রশিল্পী ও অভিনেতা দেলোয়ার রিপন।
.
তরুণ এই অভিনেতা বলেন, আপনারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য সর্বদা বাসায় থাকুন। বিনা প্রয়োজনে বাসার বাইরে যাবেন না, এই ভয়ংকর করোনা ভাইরাস এড়াতে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলুন।
.
বাইরে যাওয়ার খুব প্রয়োজন হলে মাস্ক ব্যবহার করুন এবং বাসায় ফিরে সবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। সামাজিক দুরুত্ব মেনে চলুন। লকডাউন খোলার কারনে এখন কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে আমাদের, সেজন্য এখানেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে।
.
.
চিত্র শীল্পি রিপন বলেন, পত্রপত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশনসহ অনেক অফিসই এখন খোলা। সরকারি অফিস বন্ধ হলেও এরই মধ্যে কিছু অফিস, কল-কারখানায় সীমিত পর্যায়ে হলেও কাজ চলছে। কিন্তু এ কথা ভালো করে খেয়াল রাখা উচিত যে অফিস বা কর্মক্ষেত্রটি পরিপাটি হলেও সেখানে থাকতে পারে অজানা জীবাণু, যা সংক্রমণ ঘটাতে পারে করোনাসহ নানা রোগের। কিন্তু কিছু নিয়ম মানলে আপনি কর্মক্ষেত্রে নানা জীবাণুর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারবেন। এ জন্য যা করতে পারেন :
.
১। নিজের ডেস্কে কাজ করার সময় হাঁচি বা কাশি দিলে সেই জীবাণু আপনার আপাত পরিপাটি ডেস্ক এবং কম্পিউটারের কি-বোর্ডে লেগে থাকতে পারে। তাই অ্যালকোহল দিয়ে নিজের ডেস্ক সব সময় পরিষ্কার রাখুন। কি-বোর্ড বা মাউস অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না। ডেস্কে বসে খাওয়াদাওয়া থেকেও বিরত থাকুন।
.
২।অফিসের বিশ্রামকক্ষ, বাথরুম ইত্যাদিতে ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্মায়। এ ছাড়া টয়লেট ফ্লাশ, দরজার তালা, পানির ট্যাপগুলোতেও জীবাণু থাকে। তাই এ জায়গাগুলো সব সময় পরিষ্কার রাখুন এবং কাজ করার আগে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে কাজ করতে বসুন।
.
৩।স্মার্টফোন এবং অন্য গ্যাজেটগুলো ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের অন্যতম আবাসস্থল। সেলফোনের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়াতে পারে বা ফোনের স্ক্রিনেও জীবাণু থাকতে পারে, যা সক্রিয় থাকতে পারে কয়েক দিন। এ জন্য সেলফোনটি সঠিকভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করে তুলতে হবে। স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ওয়াটারপ্রুফ হলে সেগুলো পরিষ্কার করতে সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। আর ওয়াটারপ্রুফ না হলে স্ক্রিনটি নরম ও স্যাঁতসেঁতে মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে দিনে দুইবার পরিষ্কার করুন এবং কাপড়টি ফেলে দিন। এরপর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আবার ফোন ব্যবহার করবেন। তবে স্মার্টফোনের স্ক্রিনটি অ্যালকোহল দিয়ে মুছবেন না, ক্লিনার, অ্যারোসল স্প্রে ব্যবহার করবেন না। এতে স্ক্রিন নষ্ট হতে পারে।
.
.
বিডিসমাচার এর একান্ত সাক্ষাতকারে এই করোনায় কিভাবে সময় পার করছেন জানতে চাইলে এই উদীয়মান তরুণ চিত্রশিল্পী ও অভিনেতা বলেন,প্রথমত করোনার এই খারাপ সময়টাতে নিজেকে বাঁচাতে হবে। সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।করোনার কারনে লম্বা একটা সময় পাচ্ছি আমরা নিজেকে দেয়ার এবং নিজেকে তৈরি করার। নিজের ভালো লাগার কাজ,এবং নিজের দুর্বলতার জায়গাগুলো কে পাকা করার বিশাল একটা সময়।নিজেকে দেয়ার জন্য এ রকম লম্বা সময় হয়তো আর পাবো না।
.
তরুণ চিত্রশিল্পী বলেন, শিল্প চর্চা আমার নেশা ও পেশা।তাই চেষ্টা করছি বাসায় থেকে যতটুকও শিল্পচর্চার মধ্যেই থাকা যায়, প্রত্যেকদিন অন্তত একটি করে হলেও ছবি আঁকছি, হাতে এবং ডিজিটাল মিডিয়ায়, পাশাপাশি অভিনয়টা আমার ভালোবাসার একটি বিশাল জায়গা, যেই প্লাটফর্মে নিজেকে নতুন ভাবে খোঁজে পাই। করোনায় আউটডোরের কাজ বন্ধ। তাই বাসায় বসে টুকি টাকি সচেতনমূলক ও সময় পার করার জন্য কিছু ফানি ভিডিও বানাচ্ছি।সাম্প্রতিক #Marks #FamilyFunMoments এর আয়োজনে করোনায় সচেতনমূলক ভিডিও কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছি।
.
.
তিনি আরো বলেন, স্বপ্ন দেখা এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণাটা আসলে এখানেই।মানুষের ভালোবাসা ও সাপোর্ট। চেষ্টা করছি ভালো কাজে নিজেকে কিভাবে ব্যস্ত রাখা যায় ।শিল্পচর্চার মধ্যেই থাকতে চাই, কাজের মাধ্যমেই বেঁচে থাকতে চাই।আর বেঁচে থাকার জন্য আমাদের এই করুন মুহূর্তে নিজেদেরকে অনেক সচেতন থাকতে হবে, এবং প্রত্যেকের প্রিয় কাজগুলো নিয়ে আমরা ব্যস্ত থাকলে অহেতুক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই সচেতন থাকি,নিজেকে সময় দেই,নিজের পরিবারকে সময় দেই,নিজকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাই।
.