বাংলাদেশে করোনায় মে মাসেই মৃত্যু ৪৮২,আক্রান্ত ৩৯ হাজার ৩৮৬

  • Update Time : ০৩:০৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০
  • / 205

চলতি বছরের শুরু থেকেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে বেড়েই চলেছে। নতুন করে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

তবে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ মাসটি ছিল মে মাস এই একমাসেই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রাণ গেছে ৪৮২ জনের। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৮৬ জন।

গত ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো দেশে তিন জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

এরপর থেকে গণপরিবহনসহ মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে জরুরি পরিবহন ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘোষণা করা হয় লকডাউন। বিভিন্ন শপিংমল, গার্মেন্টসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।

করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে আরোপ করা হয় বিধিনিষেধ।

তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধি নিষেধ শিথিল করেছে সরকার। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মের পর আর বাড়ানো হয়নি। সরকারি, বেসরকারি অফিস চালু হয়েছে ৩১ মে থেকে। তারও আগে চালু হয়েছে গার্মেন্ট। এছাড়া ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু কিছু শপিংমল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও চালু করা হয়।

১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু হয়েছে বাস। ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বাসের। এছাড়া ট্রেন, লঞ্চ ও বিমানও চালু হয়েছে সীমিত আকারে।

মার্চে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১ জন। এছাড়া ছয়জনের মৃত্যু হয়। এপ্রিলে আরও ১৬০ জন এই ভাইরাসের প্রাণ হারান। এপ্রিল মাসে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ৭ হাজার ৬১৬ জন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাংলাদেশে করোনায় মে মাসেই মৃত্যু ৪৮২,আক্রান্ত ৩৯ হাজার ৩৮৬

Update Time : ০৩:০৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

চলতি বছরের শুরু থেকেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে বেড়েই চলেছে। নতুন করে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

তবে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ মাসটি ছিল মে মাস এই একমাসেই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রাণ গেছে ৪৮২ জনের। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৮৬ জন।

গত ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো দেশে তিন জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

এরপর থেকে গণপরিবহনসহ মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে জরুরি পরিবহন ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘোষণা করা হয় লকডাউন। বিভিন্ন শপিংমল, গার্মেন্টসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।

করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে আরোপ করা হয় বিধিনিষেধ।

তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধি নিষেধ শিথিল করেছে সরকার। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মের পর আর বাড়ানো হয়নি। সরকারি, বেসরকারি অফিস চালু হয়েছে ৩১ মে থেকে। তারও আগে চালু হয়েছে গার্মেন্ট। এছাড়া ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু কিছু শপিংমল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও চালু করা হয়।

১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু হয়েছে বাস। ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বাসের। এছাড়া ট্রেন, লঞ্চ ও বিমানও চালু হয়েছে সীমিত আকারে।

মার্চে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১ জন। এছাড়া ছয়জনের মৃত্যু হয়। এপ্রিলে আরও ১৬০ জন এই ভাইরাসের প্রাণ হারান। এপ্রিল মাসে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ৭ হাজার ৬১৬ জন।