“সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত

  • Update Time : ০২:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / 18

"সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে" শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত

“সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ শে অক্টোবর) সকাল ১০:০০ টায় “সংস্কার সংঘের” উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ড. আবদুল ওয়াহিদের সভাপতিত্বে এবং সা’দ মুসান্নার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে সংস্কার সংঘের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মো. মাহফুজ এলাহী।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, “বর্তমানে যে সংবিধান আছে সেটা কি আদৌ একটা সংবিধান; নাকি এটা এটা শেখ হাসিনার গারবেজ? কারণ হলো শেখ হাসিনা এই সংবিধানকে একটা ফ্যাসিবাদী দলীলে রুপানরিত করেছে। সুতরাং এই ফ্যাসিবাদী দলীল দিয়ে কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হতে পারেনা।

এছাড়াও তিনি বলেন ” আমরা যদি বাহাত্তরের এর সংবিধানেও ফিরে যাই এটা বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলন করেছিলো এটা একটা বড় প্রশ্ন”।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. আসমা সিদ্দিকা, সাবেক ডীন, আইন অনুষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; মাহমুদ রেজা চৌধুরী, মার্কিন প্রবাসী সমাজবিজ্ঞানী; ড. এম নজরুল ইসলাম, রাজনীতি বিজ্ঞানী, শাবিপ্রবি; মোতাহার হোসেন, সাবেক সচিব; অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; শাহ আব্দুল হালিম, সাবেক ব্যাংকার ও কলামিস্ট।

প্রধান আলোচক ছিলেন ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, সাবেক ভিসি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. তারেক ফজল, রাজনীতি বিজ্ঞানী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

ড. তারেক ফজল জনগণের মালিকানা প্রয়োগের উপায় কিভাবে হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে উল্লেখ করেন যে, প্রজাতন্ত্রের ধারণাটি রাজার অধীন একটি ভাবকে প্রকাশ করে। যার প্রকৃত পরিচয় হওয়া উচিত জনতন্ত্র। এবং সেটি জনগণের শাসনের তন্ত্র নয় হতে হবে জনগণের গঠনের তন্ত্র। সেই সাথে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনায় রেখে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে একটি ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞান ও মানবীয় শ্রেষ্ঠত্ব ও উন্নত মানবীয় গুণাবলির বিকাশের মূলনীতি গ্রহণ করতে হবে।

ড. এম নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন বাঙালী জাতীয়বাদের সাথে ইসলামের কোন দ্বন্দ্ব নাই। এমনকি ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত কোন দলই এধরণের বক্তব্য উপস্থাপন করেনি। এটি পরবর্তীতে চাপিয়ে দেয়া একটি বয়ান।

আলোচকবৃন্দ নতুন আলোকে নতুন একটি সংবিধান প্রনয়নের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media


“সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত

Update Time : ০২:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

“সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ শে অক্টোবর) সকাল ১০:০০ টায় “সংস্কার সংঘের” উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ড. আবদুল ওয়াহিদের সভাপতিত্বে এবং সা’দ মুসান্নার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে সংস্কার সংঘের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মো. মাহফুজ এলাহী।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, “বর্তমানে যে সংবিধান আছে সেটা কি আদৌ একটা সংবিধান; নাকি এটা এটা শেখ হাসিনার গারবেজ? কারণ হলো শেখ হাসিনা এই সংবিধানকে একটা ফ্যাসিবাদী দলীলে রুপানরিত করেছে। সুতরাং এই ফ্যাসিবাদী দলীল দিয়ে কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হতে পারেনা।

এছাড়াও তিনি বলেন ” আমরা যদি বাহাত্তরের এর সংবিধানেও ফিরে যাই এটা বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলন করেছিলো এটা একটা বড় প্রশ্ন”।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. আসমা সিদ্দিকা, সাবেক ডীন, আইন অনুষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; মাহমুদ রেজা চৌধুরী, মার্কিন প্রবাসী সমাজবিজ্ঞানী; ড. এম নজরুল ইসলাম, রাজনীতি বিজ্ঞানী, শাবিপ্রবি; মোতাহার হোসেন, সাবেক সচিব; অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; শাহ আব্দুল হালিম, সাবেক ব্যাংকার ও কলামিস্ট।

প্রধান আলোচক ছিলেন ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, সাবেক ভিসি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. তারেক ফজল, রাজনীতি বিজ্ঞানী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

ড. তারেক ফজল জনগণের মালিকানা প্রয়োগের উপায় কিভাবে হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে উল্লেখ করেন যে, প্রজাতন্ত্রের ধারণাটি রাজার অধীন একটি ভাবকে প্রকাশ করে। যার প্রকৃত পরিচয় হওয়া উচিত জনতন্ত্র। এবং সেটি জনগণের শাসনের তন্ত্র নয় হতে হবে জনগণের গঠনের তন্ত্র। সেই সাথে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনায় রেখে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে একটি ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞান ও মানবীয় শ্রেষ্ঠত্ব ও উন্নত মানবীয় গুণাবলির বিকাশের মূলনীতি গ্রহণ করতে হবে।

ড. এম নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন বাঙালী জাতীয়বাদের সাথে ইসলামের কোন দ্বন্দ্ব নাই। এমনকি ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত কোন দলই এধরণের বক্তব্য উপস্থাপন করেনি। এটি পরবর্তীতে চাপিয়ে দেয়া একটি বয়ান।

আলোচকবৃন্দ নতুন আলোকে নতুন একটি সংবিধান প্রনয়নের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।