দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

  • Update Time : ০৫:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / 24

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

সচিবালয় কাভার করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের বিষয়টির সঙ্গে অনেক কিছুই জড়িত। বন্যার কারণে অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। সে জন্য জোগান এবং চাহিদার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। অন্যান্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের একটা বড় প্রভাব আছে। সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য আমরা কাজ করছি।’

বিগত সময়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনকে দুর্বল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ভাবছি যে আমাদের হার্ডলাইনে যেতে হবে। না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা টাফ হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইনেও…যারা সিন্ডিকেটের কী পারসন (মূল ব্যক্তি) আছেন, প্রয়োজনে করপোরেট যেসব কোম্পানিগুলো এসব (সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো) করছে ইচ্ছাকৃতভাবে, আমাদের কাছে কিছু রেকর্ড আছে, তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অ্যারেস্ট করব।’

আওয়ামী লীগের লোকজন টিসিবির ডিলার ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা এখন নেই। তাই টিসিবির কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে আছে। টিসিবির কার্যক্রম আবার জোরদার করার কথা ভাবছি। ‘আমরা যখন একটা রিজনেবল প্রাইসে পণ্য দিতে পারব, তখন যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ওপর চাপ পড়বে। তারা পণ্য তো রেখে দিতে পারবে না, বিক্রি করতেই হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত আওয়ামী লীগ সরকার। সিন্ডিকেটের মধ্যে তো ব্যবসায়ীরাই বসে ছিল। মধ্যস্বত্বভোগীরা, তারা তো এখনও রয়ে গেছেন।

‘তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ বাঁচানোর জন্য কোনো না কোনো রাজনৈতিক, কারও না কারও সঙ্গে লিয়াজোঁর মাধ্যমে সিন্ডিকেটটা টিকিয়ে রেখেছে। সে ক্ষেত্রে আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’

কারওয়ানবাজারে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সমস্যা হলো অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) করা হলে সেখানে আবার রিপ্লেসড হয়ে যায়। গোড়াগুলো কোথায় সেটা, আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

‘এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহযোগিতা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি আগের সেই ইভিল প্র্যাকটিসগুলোতে ঢুকে যায়, তাহলে আল্টিমেটলি যে পরিবর্তনটার জন্য এত মানুষ জীবন দিল সেটা সম্ভব হবে না।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এখন আমরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে একটা অলআউট অ্যাকশনে যাব। একই সঙ্গে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধেও।’

Please Share This Post in Your Social Media


দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

Update Time : ০৫:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

সচিবালয় কাভার করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের বিষয়টির সঙ্গে অনেক কিছুই জড়িত। বন্যার কারণে অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। সে জন্য জোগান এবং চাহিদার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। অন্যান্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের একটা বড় প্রভাব আছে। সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য আমরা কাজ করছি।’

বিগত সময়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনকে দুর্বল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ভাবছি যে আমাদের হার্ডলাইনে যেতে হবে। না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা টাফ হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইনেও…যারা সিন্ডিকেটের কী পারসন (মূল ব্যক্তি) আছেন, প্রয়োজনে করপোরেট যেসব কোম্পানিগুলো এসব (সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো) করছে ইচ্ছাকৃতভাবে, আমাদের কাছে কিছু রেকর্ড আছে, তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অ্যারেস্ট করব।’

আওয়ামী লীগের লোকজন টিসিবির ডিলার ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা এখন নেই। তাই টিসিবির কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে আছে। টিসিবির কার্যক্রম আবার জোরদার করার কথা ভাবছি। ‘আমরা যখন একটা রিজনেবল প্রাইসে পণ্য দিতে পারব, তখন যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ওপর চাপ পড়বে। তারা পণ্য তো রেখে দিতে পারবে না, বিক্রি করতেই হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত আওয়ামী লীগ সরকার। সিন্ডিকেটের মধ্যে তো ব্যবসায়ীরাই বসে ছিল। মধ্যস্বত্বভোগীরা, তারা তো এখনও রয়ে গেছেন।

‘তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ বাঁচানোর জন্য কোনো না কোনো রাজনৈতিক, কারও না কারও সঙ্গে লিয়াজোঁর মাধ্যমে সিন্ডিকেটটা টিকিয়ে রেখেছে। সে ক্ষেত্রে আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’

কারওয়ানবাজারে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সমস্যা হলো অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) করা হলে সেখানে আবার রিপ্লেসড হয়ে যায়। গোড়াগুলো কোথায় সেটা, আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

‘এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহযোগিতা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি আগের সেই ইভিল প্র্যাকটিসগুলোতে ঢুকে যায়, তাহলে আল্টিমেটলি যে পরিবর্তনটার জন্য এত মানুষ জীবন দিল সেটা সম্ভব হবে না।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এখন আমরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে একটা অলআউট অ্যাকশনে যাব। একই সঙ্গে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধেও।’