বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ড: নেপথ্যে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং!
- Update Time : ০২:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
- / 16
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি হত্যায় নড়েচড়ে বসেছে মুম্বাই পুলিশ। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে আটককৃত দুই সন্দেহভাজন দাবি করেছে, তারা মুম্বাইয়ের আলোচিত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। তবে পুলিশ এখনও এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। আর গ্যাংটিও এখনও হত্যার দায় স্বীকার করে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানায়নি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
শনিবার রাতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেন, ‘মুম্বাই পুলিশ প্রধান আমাকে জানিয়েছেন, দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর একজন উত্তরপ্রদেশের, অন্যজন হরিয়ানার। তৃতীয় হামলাকারী পলাতক থাকলেও পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা করছে’।
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাবা সিদ্দিকিকে খুনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল মাসখানেক আগে। গত ২৫-৩০ দিন ধরে রেকি করে তারা। শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে গুলি করে খুন করা হয় বাবা সিদ্দিকিকে।
শনিবার রাতে বান্দ্রা ওয়েস্ট এলাকায় বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিসের বাইরে তাকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে ছয়টি গুলি ছুঁড়া হয়, যার মধ্যে চারটি তার বুকে লাগে।
বিনোদন জগত এবং বলিউডে বেশ প্রভাব রয়েছে বাবা সিদ্দিকির। অভিনেতা শাহরুখ খান, সালমান খানের সঙ্গেও বেশ সুসম্পর্ক ছিল তার। এমনকি তার মধ্যস্থতাতেই শাহরুখ ও সালমানের মধ্যে বিবাদ মেটে বলে ধারণা করা হয়। হিন্দুস্তান টাইমস তাদের প্রতিবেদনে বলছে, বাবা সিদ্দিকি একরকম ‘পকেটে রাখতেন’ দুই খানকে। শুধু তাই নয়, বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে হাজিরা দিতেন বলিউডের প্রথম সারির তারকারা।
এর আগে সালমান খানকে খুনের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি, তার বাড়ির বাইরেও গুলি চালায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। জানা গেছে, বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ কৃষ্ণসার বা চিংকার হরিণকে পবিত্র বলে মনে করে, বলতে গেলে তারা পূজা করে। কৃষ্ণ হরিণ খুন মামলার জেরেই সালমান লরেন্সের টার্গেটে উঠে আসেন বলে জানা যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, লরেন্স এই মুহূর্তে জেলে রয়েছে। কিন্তু জেলে থাকলেও চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বড় বড় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করছে তার গ্যাং।
৬৬ বছর বয়সি বাবা সিদ্দিকি মহারাষ্ট্রের বান্দ্রা পশ্চিম নির্বাচনি এলাকা থেকে তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি খাদ্য ও বেসামরিক সেবা সরবরাহ এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এছাড়া কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে তিনি প্রায় পাঁচ দশক যুক্ত ছিলেন এই রাজনীতিক। তবে কংগ্রেস ছেড়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন।