বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

  • Update Time : ০৫:০৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / 19

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বুধবার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজকোর্ট এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান আদালতে আদালতে শিবলী রুবাইয়াতের দেশত্যাগে (বিদেশ গমন) নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়, শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুদকে অনুসন্ধান চলমান আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

তবে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম দেশে আছেন, নাকি ইতোমধ্যে গোপনে দেশ ছেড়ে গেছেন- কোনো সূত্র থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের ঠিক ২ দিন আগে তিনি কানাডা থেকে দেশে ফিরেছিলেন। গত ১০ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর শনিবার ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে তিনি বিএসইসির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পতিত আওয়ামীলীগ সরকার ২০২০ সালের ১৭ মে তাকে ৪ বছরের মেয়াদে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। পরে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল তাকে একই পদে আরও ৪ বছরের জন্য পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয়।

শিবলী রুবাইয়াতের ৫ বছর কার্যকালে খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজার কারসাজিকারী ও লুটেরাদের নিরাপদ প্রশ্রয়ের জায়গায় পরিণত হয়েছিল বলে আভিযোগ আছে। বিতর্কিত বেক্সিমকো গ্রুপকে বন্ডের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া, ঘনিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কারসাজি করার অবাধ সুযোগ দেওয়া, দূর্বল কোম্পানির আইপিও অনুমোদন, বোর্ড পুনর্গঠনের নামে নিজের ঘনিষ্ট ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে বসানো, তালিকাচ্যুত ও ওটিসির কোম্পানিকে বাজারে ফিরিয়ে আনার নামে নতুন কারসাজির বীজ বপণসহ নানা কৌশলে বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

Update Time : ০৫:০৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বুধবার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজকোর্ট এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান আদালতে আদালতে শিবলী রুবাইয়াতের দেশত্যাগে (বিদেশ গমন) নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়, শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুদকে অনুসন্ধান চলমান আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

তবে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম দেশে আছেন, নাকি ইতোমধ্যে গোপনে দেশ ছেড়ে গেছেন- কোনো সূত্র থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের ঠিক ২ দিন আগে তিনি কানাডা থেকে দেশে ফিরেছিলেন। গত ১০ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর শনিবার ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে তিনি বিএসইসির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পতিত আওয়ামীলীগ সরকার ২০২০ সালের ১৭ মে তাকে ৪ বছরের মেয়াদে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। পরে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল তাকে একই পদে আরও ৪ বছরের জন্য পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয়।

শিবলী রুবাইয়াতের ৫ বছর কার্যকালে খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজার কারসাজিকারী ও লুটেরাদের নিরাপদ প্রশ্রয়ের জায়গায় পরিণত হয়েছিল বলে আভিযোগ আছে। বিতর্কিত বেক্সিমকো গ্রুপকে বন্ডের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া, ঘনিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কারসাজি করার অবাধ সুযোগ দেওয়া, দূর্বল কোম্পানির আইপিও অনুমোদন, বোর্ড পুনর্গঠনের নামে নিজের ঘনিষ্ট ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে বসানো, তালিকাচ্যুত ও ওটিসির কোম্পানিকে বাজারে ফিরিয়ে আনার নামে নতুন কারসাজির বীজ বপণসহ নানা কৌশলে বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি।