গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা খুন, মির্জা ফখরুলের কড়া বিবৃতি

  • Update Time : ০১:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 14

পরাজিত শক্তি দোসররা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল বলেন, হামলাকারীরা নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়ীবহরেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। সন্ত্রাসীদের কর্তৃক এ ধরনের পৈশাচিক ও কাপুরুষোচিত রক্তাক্ত ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার আশঙ্কায় দীর্ঘদিন গোপালগঞ্জ জেলাধীন কোটালীপাড়া থানার অন্তর্গত পাটগাতিস্থ নিজ গ্রামে যেতে পারেননি জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল- কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী। আওয়ামী স্বৈরশাহীর পতনের পর আজ টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জ সদর থানার গুনাপাড়া এলাকায় আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীরা এস এম জিলানীর গাড়ীবহরে বেপরোয়া হামলা চালায়।

তিনি বলেন, এ সময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদারকে খুন এবং এস এম জিলানী ও তার সহধর্মিনী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না ও তাদের দুই ছেলেসহ গাড়িবহরের নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। অবৈধ আওয়ামী শাসনামলে এই সন্ত্রাসীরা অনেক কালো টাকা উপার্জন করেছে, সেই কালো টাকা তারা এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লাগাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র—জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ জন্যই বিএনপি এবং অন্যান্য সমমনা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ জনগণের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে খুন ও তাদেরকে গুরুতর জখম করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে ফখরুল আরও বলেন, আজ গোপালগঞ্জে দুষ্কৃতিকারীরা এস এম জিলানীর গাড়িবহরে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদারকে খুন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীসহ অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার ঘটনা একটি গভীর দেশি-বিদেশি চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা হাসিল করতে না পারে সেজন্য ছাত্র-জনতাসহ সকল গণতন্ত্রমণা মানুষকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে এখনো ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে হবে। আর তাহলেই দেশ থেকে ষড়যন্ত্রকারী ও দুষ্কৃতিকারীদের মূলোৎপাটনসহ দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা, প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এস এম জিলানীর গাড়িবহরে পৈশাচিক হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদারকে খুন এবং এস এম জিলানী ও তার সহধর্মিনীসহ নেতৃবৃন্দের ওপর হামলাকারী দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান। তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media


গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা খুন, মির্জা ফখরুলের কড়া বিবৃতি

Update Time : ০১:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পরাজিত শক্তি দোসররা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল বলেন, হামলাকারীরা নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়ীবহরেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। সন্ত্রাসীদের কর্তৃক এ ধরনের পৈশাচিক ও কাপুরুষোচিত রক্তাক্ত ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার আশঙ্কায় দীর্ঘদিন গোপালগঞ্জ জেলাধীন কোটালীপাড়া থানার অন্তর্গত পাটগাতিস্থ নিজ গ্রামে যেতে পারেননি জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল- কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী। আওয়ামী স্বৈরশাহীর পতনের পর আজ টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জ সদর থানার গুনাপাড়া এলাকায় আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীরা এস এম জিলানীর গাড়ীবহরে বেপরোয়া হামলা চালায়।

তিনি বলেন, এ সময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদারকে খুন এবং এস এম জিলানী ও তার সহধর্মিনী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না ও তাদের দুই ছেলেসহ গাড়িবহরের নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। অবৈধ আওয়ামী শাসনামলে এই সন্ত্রাসীরা অনেক কালো টাকা উপার্জন করেছে, সেই কালো টাকা তারা এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লাগাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র—জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ জন্যই বিএনপি এবং অন্যান্য সমমনা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ জনগণের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে খুন ও তাদেরকে গুরুতর জখম করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে ফখরুল আরও বলেন, আজ গোপালগঞ্জে দুষ্কৃতিকারীরা এস এম জিলানীর গাড়িবহরে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদারকে খুন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীসহ অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার ঘটনা একটি গভীর দেশি-বিদেশি চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা হাসিল করতে না পারে সেজন্য ছাত্র-জনতাসহ সকল গণতন্ত্রমণা মানুষকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে এখনো ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে হবে। আর তাহলেই দেশ থেকে ষড়যন্ত্রকারী ও দুষ্কৃতিকারীদের মূলোৎপাটনসহ দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা, প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এস এম জিলানীর গাড়িবহরে পৈশাচিক হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদারকে খুন এবং এস এম জিলানী ও তার সহধর্মিনীসহ নেতৃবৃন্দের ওপর হামলাকারী দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান। তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।