বিসিবির বৃহস্পতিবারের সভাতেই আসবে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা!

  • Update Time : ০৯:১৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / 18

বিশেষ সংবাদদাতা:

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুই সিনিয়র পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস পদে নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত ওই ২ পরিচালককে বাদ দিয়ে ফারুক আহমেদ আর নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে বোর্ড পরিচালক হিসেবে মনোনীত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

তবে স্ট্যান্ডিং কমিটি ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধানের পদ শূন্যই আছে। ওই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসবেন কে? জালাল ইউনুসের জায়গায় ক্রিকেট অপস আর আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির পরিবর্তে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করা হবে কোন দুজনকে?

ফারুক আহমেদ নতুন সভাপতি হওয়ার পর থেকেই ক্রিকেট পাড়ায় এ কৌতুহলী প্রশ্ন। সেটাই শেষ নয়। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নাজমুল হাসান পাপনও লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছেন। শোনা যায় তিনি দেশের বাইরে। এবং সেখান থেকেই তিনি আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র মেইলে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

পাপন বোর্ড প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেও এ বোর্ডে যারা সরাসরি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ও সম্পৃক্ত তারা আর বোর্ডে আসেননি। তাদের মধ্যে আছেন আ জ ম নাসির, নাইমুর রহমান দুর্জয়, শেখ সোহেল, নাদেল চৌধুরী, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, তানভির আহমেদ টিটু, অ্যাডভোকেট আনোয়ার, গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, আহমেদ নজিব, মঞ্জুর কাদের প্রমুখ পরিচালক।

যতদূর জানা গেছে, তারা যোগাযোগ করেননি। আবার বোর্ডে ফিরবেন, সে সম্ভাবনাও কম। এছাড়া ৪ পরিচালক ছুটি চেয়ে আবেদন করে রেখেছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের কাছে।

শুধু মাহবুব আনাম, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম, ফাহিম সিনহা, সাইফুল আলম চৌধুরী স্বপন ও মঞ্জুর আলমরা বোর্ডে আসছেন। ধরেই নেওয়া হচ্ছে, এ কয়জন পরিচালকই বোর্ডে থেকে যাবেন।

যে পরিচালকরা আসছেন না বা আর আসবেন না বলে ধরা হচ্ছে, তাদের বেশ কয়েকজন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন। এখন সেই পদগুলোর কী হবে?

সিলেটের নাদেল চৌধুরী নারী ক্রিকেট উইংয়ের চেয়ারম্যান ছিলেন। ইসমাইল হায়দার মল্লিক ছিলেন ফিনান্স বা অর্থ কমিটি প্রধান, তানভির টিটু ছিলেন মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যান। শেখ সোহেল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান পদে কাজ করেছেন। ওই পদগুলো এখন একপ্রকার শূন্য। সেই সব পদে কারা বসবেন? তা নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় জোর জল্পনা-কল্পনা।

কে কোন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হবেন, খোঁজ নিতে গিয়ে কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে-আগামীকাল ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবারের বোর্ড সভায় এসব নির্ধারিত হতে পারে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি অফিস কক্ষে বর্তমান বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

একদম ভেতরের খবর, নাজমুল আবেদিন ফাহিম ক্রিকেট অপস প্রধান হতে পারেন। বিসিবির সাবেক পরিচালক আফজালুর রহমান সিনহার ছেলে ফাহিম সিনহাকে ইসমাইল হায়দায় মল্লিকের জায়গায় ফিন্যান্স কমিটি চেয়ারম্যান পদে বসানো হতে পারে।

অন্যদিকে আম্পায়ার্স কমিটি প্রধান হিসেবে থাকা ইফতেখার রহমান মিঠু পেতে পারেন মিডিয়া কমিটি প্রধানের দায়িত্ব। জাতীয় দলের দুই সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান লজিস্টিক কমিটি আর খালেদ মাহমুদ সুজন গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান পদেই থাকার সম্ভাবনা বেশি। এদের দুজনার মধ্যে আকরাম খান বাড়তি দায়িত্ব পেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

একইভাবে বেঙ্গল টাইগার্স কমিটি প্রধান কাজী ইনামকে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া মাহবুব আনাম ছিলেন গ্রাউন্ডস কমিটি প্রধান, তাকে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কমিটি প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদই হয়তো ওই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে।

Please Share This Post in Your Social Media


বিসিবির বৃহস্পতিবারের সভাতেই আসবে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা!

Update Time : ০৯:১৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

বিশেষ সংবাদদাতা:

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুই সিনিয়র পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস পদে নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত ওই ২ পরিচালককে বাদ দিয়ে ফারুক আহমেদ আর নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে বোর্ড পরিচালক হিসেবে মনোনীত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

তবে স্ট্যান্ডিং কমিটি ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধানের পদ শূন্যই আছে। ওই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসবেন কে? জালাল ইউনুসের জায়গায় ক্রিকেট অপস আর আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির পরিবর্তে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করা হবে কোন দুজনকে?

ফারুক আহমেদ নতুন সভাপতি হওয়ার পর থেকেই ক্রিকেট পাড়ায় এ কৌতুহলী প্রশ্ন। সেটাই শেষ নয়। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নাজমুল হাসান পাপনও লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছেন। শোনা যায় তিনি দেশের বাইরে। এবং সেখান থেকেই তিনি আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র মেইলে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

পাপন বোর্ড প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেও এ বোর্ডে যারা সরাসরি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ও সম্পৃক্ত তারা আর বোর্ডে আসেননি। তাদের মধ্যে আছেন আ জ ম নাসির, নাইমুর রহমান দুর্জয়, শেখ সোহেল, নাদেল চৌধুরী, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, তানভির আহমেদ টিটু, অ্যাডভোকেট আনোয়ার, গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, আহমেদ নজিব, মঞ্জুর কাদের প্রমুখ পরিচালক।

যতদূর জানা গেছে, তারা যোগাযোগ করেননি। আবার বোর্ডে ফিরবেন, সে সম্ভাবনাও কম। এছাড়া ৪ পরিচালক ছুটি চেয়ে আবেদন করে রেখেছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের কাছে।

শুধু মাহবুব আনাম, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম, ফাহিম সিনহা, সাইফুল আলম চৌধুরী স্বপন ও মঞ্জুর আলমরা বোর্ডে আসছেন। ধরেই নেওয়া হচ্ছে, এ কয়জন পরিচালকই বোর্ডে থেকে যাবেন।

যে পরিচালকরা আসছেন না বা আর আসবেন না বলে ধরা হচ্ছে, তাদের বেশ কয়েকজন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন। এখন সেই পদগুলোর কী হবে?

সিলেটের নাদেল চৌধুরী নারী ক্রিকেট উইংয়ের চেয়ারম্যান ছিলেন। ইসমাইল হায়দার মল্লিক ছিলেন ফিনান্স বা অর্থ কমিটি প্রধান, তানভির টিটু ছিলেন মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যান। শেখ সোহেল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান পদে কাজ করেছেন। ওই পদগুলো এখন একপ্রকার শূন্য। সেই সব পদে কারা বসবেন? তা নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় জোর জল্পনা-কল্পনা।

কে কোন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হবেন, খোঁজ নিতে গিয়ে কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে-আগামীকাল ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবারের বোর্ড সভায় এসব নির্ধারিত হতে পারে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি অফিস কক্ষে বর্তমান বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

একদম ভেতরের খবর, নাজমুল আবেদিন ফাহিম ক্রিকেট অপস প্রধান হতে পারেন। বিসিবির সাবেক পরিচালক আফজালুর রহমান সিনহার ছেলে ফাহিম সিনহাকে ইসমাইল হায়দায় মল্লিকের জায়গায় ফিন্যান্স কমিটি চেয়ারম্যান পদে বসানো হতে পারে।

অন্যদিকে আম্পায়ার্স কমিটি প্রধান হিসেবে থাকা ইফতেখার রহমান মিঠু পেতে পারেন মিডিয়া কমিটি প্রধানের দায়িত্ব। জাতীয় দলের দুই সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান লজিস্টিক কমিটি আর খালেদ মাহমুদ সুজন গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান পদেই থাকার সম্ভাবনা বেশি। এদের দুজনার মধ্যে আকরাম খান বাড়তি দায়িত্ব পেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

একইভাবে বেঙ্গল টাইগার্স কমিটি প্রধান কাজী ইনামকে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া মাহবুব আনাম ছিলেন গ্রাউন্ডস কমিটি প্রধান, তাকে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কমিটি প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদই হয়তো ওই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে।