সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে, নিশ্চিত করা হবে মুক্ত গণমাধ্যম : তথ্য উপদেষ্টা

  • Update Time : ১২:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / 30

সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

এছাড়া স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের প্রাথমিক পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করা হবে। সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা হবে। তবে, সেন্সর বোর্ড থাকবে কিনা তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম আরও জানান, নিবর্তনমূলক আইন যেগুলো গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতার জন্য অন্তরায়, সেগুলোর ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে জুলাই গণহত্যার প্রকৃতচিত্র তুলে ধরে তদন্তে সহায়তায় গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে দলাদলি চাই না, মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার চর্চা হোক।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গাটা হচ্ছে নিরপেক্ষতা। কিন্তু আমাদের দেশে গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে দেখি, আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র মতো গণমাধ্যমেও দুইটা ভাগ থাকে। এই বিষয়গুলো সাংবাদিকরা বিবেচনা করবেন, যাতে এ ধরনের দলীয় কোন ভাগ সাংবাদিকদের মধ্যে না দেখি। যাতে তারা একটি নিরপেক্ষ জায়গা থেকে জনগণের জন্য কথা বলতে পারেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে, নিশ্চিত করা হবে মুক্ত গণমাধ্যম : তথ্য উপদেষ্টা

Update Time : ১২:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

এছাড়া স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের প্রাথমিক পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করা হবে। সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা হবে। তবে, সেন্সর বোর্ড থাকবে কিনা তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম আরও জানান, নিবর্তনমূলক আইন যেগুলো গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতার জন্য অন্তরায়, সেগুলোর ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে জুলাই গণহত্যার প্রকৃতচিত্র তুলে ধরে তদন্তে সহায়তায় গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে দলাদলি চাই না, মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার চর্চা হোক।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গাটা হচ্ছে নিরপেক্ষতা। কিন্তু আমাদের দেশে গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে দেখি, আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র মতো গণমাধ্যমেও দুইটা ভাগ থাকে। এই বিষয়গুলো সাংবাদিকরা বিবেচনা করবেন, যাতে এ ধরনের দলীয় কোন ভাগ সাংবাদিকদের মধ্যে না দেখি। যাতে তারা একটি নিরপেক্ষ জায়গা থেকে জনগণের জন্য কথা বলতে পারেন।